তথ্য প্রযুক্তির বিস্ময়কর এবং প্রতিযোগিতা ময় এই সময়ে কচ্ছপ গতিতে চলা বাংলাদেশ কে যখন তথ্যদৈত্য গুগলে আপনি সার্চ দিবেন দেখবেন হতদরিদ্র , ক্ষুধা মন্দার কিছুর ভয়াল চিত্র । এর মানে একটি অর্থনৈতিক ভঙ্গুর ও রাজনৈতিক অসহিস্নু কাঠামোর বহিঃপ্রকাশ । তা হবে না কেন এখানে নির্বাচিত হোক আর অনির্বাচিত হোক প্রত্যেক সরকারই গণতন্ত্রের বুলি ছাড়িয়ে ক্ষমতায় এসে ব্যক্তিতন্ত্রকে প্রতিষ্টিত করে গণতান্ত্রিক কায়দা কানুন গুলোকে উত্তম মধ্যম করা হয় । এই ধরনের নিয়মতন্ত্র কিংম্বা শাসনতন্ত্র বিশ্বের আর কোথাও হয়ত নাই যার কারনে একে বাংলাদেশতন্ত্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া যায় । এই তন্ত্রের একটা মৌলিক পরিচয় হচ্ছে সরকারে যে আসবে তার মূল কাজটি হবে বিরোধীদলকে বিভিন্ন ভাবে হেস্তনেস্ত করা এবং কিভাবে যুগযুগ দরে ক্ষমতায় থাকা যায় তার বিভিন্ন পথ সৃষ্টি করা । এক্ষেত্রে সরকারী কিংবা বিরোধীদলের কোন নেতা যদি তার দলের নেয়া সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কথা বলে তবে তাকে সংস্কার পন্থি অবহিত করা হচ্ছে । সব চাইতে বিস্ময়কর ব্যাপারটা হল নির্বাচিত সাংসদ যদি দলের কোন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলে দলীয় পদ হারায় সাথে সাথে তার সংসদ সদস্য পদও হারাবে । সংবিধান দলকে সে অধিকার দিয়েছে । যার ফলে যথারীতি স্ফীত হারে দলকানা রাজনীতিক সৃষ্টি হচ্ছে দেশপ্রেমিক রাজনীতিকের চেয়ে । একটা বিষয় নিভিড় ভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে আমরা দেশের প্রতিটা নাগরিক প্রাথমিকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে বন্দি সরকারের হাতে নয়। কেননা সরকার গঠন করার আগ পর্যন্ত রাজনৈতিক দল গুলো কেবলই রাজনৈতিক শক্তি । কাজেই রাজনৈতিক শক্তি থাকা অবস্থায় যদি তাদের ভিতরে থাকা দেশ ,জাতি কিংবা ধর্ম ,সংস্কৃতি ,দর্শন যা দেশকে আধুনিকায়ন করার পথে বাঁধা এমন ত্রুটি গুলো সংশোধন করা না হয় এবং সেই ত্রুটি নিয়েই যদি তারা সরকার গঠন করে তাহলে দেশের উন্নয়ন কখনো সম্ভব নয় ।
Comments (2)
কবিতা জুড়ে ভাললাগা...
সুন্দর লিখছেন
"সেই চিঠি লিখবার পর আর চিঠি লিখলে না
জানি না এখন তুমি অন্য পাখির হয়েছ কিনা !"
ভাল লাগলো পড়ে।
শুভ কামনা রইল।