এযুগের প্রধান সমস্যাই হলো- কেউ ভালো মানূষ হতে চায় না।
আমি কারো মুখে আজ পর্যন্ত শুনিনি- কেউ বলেছে- 'আমি ভালো মানূষ হতে চাই।' সবাই বলে, আমি ডাক্তার হবো, আমি লেখক হবো, আমি একজন ভালো ফোটোগ্রাফার হবো, আমি হেন হবো, আমি তেন হবো। এখন কথা হলো- তুমি ডাক্তার হও, ইঞ্জিনিয়ার হও বা লেখক হও- কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তুমি যদি একজন ভালো মানূষ না হও- তাহলে তো ভাই সমস্যা। তোমার ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার দরকার নাই। তুমি একজন মুদি দোকানদার হও- কিন্তু একজন ভালো মানূষ হও। সহজ সরল সত্য কথা হলো- আমাদের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা একজন লেখকের চেয়ে একজন ভালো মানূষ খুব বেশি দরকার। ভালো মানূষেরাই পারে সচ্ছভাবে দেশকে ভালোবাসতে, দেশের মানূষকে ভালোবাসতে। সর্বোপরি দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
যাই হোক, আমার আজকের আলোচনার বিষয় হলো- 'লেখক'। আমি মনে করি- একজন লেখক হবে সহজ সরল ভালো মানুষ। তার মধ্যে কোনো লোভ থাকবে না, কোনো হিংসা থাকবে না, কোনো কুটিলতা থাকবে না। কিন্তু সমস্যা হলো- আমি চারপাশে তাকিয়ে দেখি- মানুষ লেখক হওয়ার জন্য হা করে বসে আছে। প্রতু বইমেলাতে দু'টা চারটা বই বের করতে পারলেই যেন জাতে ওঠা যায়। বইমেলা এলে কিছু লোক পাগল হয়ে যায়। তারা লিখতে শুরু করে নানান বিষয় নিয়ে। খুব'ই সস্তা লেখা। তাদের দিয়ে কোনো দিনই মহান সাহিত্য লেখা সম্ভব নয়। তাদের মন-মানসিকতা ভয়াবহ নোংরা, তারা ভয়াবহ কুটিল এবং জটিল। তারা দালাল এবং তারা ভন্ড। এখন, এই সমস্ত লোক যদি লেখক হয় বা নিজেকে লেখক দাবী করে তাহলে তো সমস্যা। -এই সমস্ত তথাকথিত লেখকদের দিয়ে জাতি কি পাবে? খোঁজ করলে জানা যাবে তাদের ১০টা ১২টা করে বই বের হয়ে গেছে। তারা জোর করেই পরিচিত জনদের দিয়ে বই কেনায়। তারা কথায় কথায় নিজেকে লেখক বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলে। তাদের অত্যাচারে ফেসবুকে ঢুকা যায় না। ইনবক্সে হাতজোর করে তাদের বই কেনার জন্য।
একজন দালাল, একজন ভন্ড অথবা একজন লোভী মানুষ কি করে লেখক হয়? একজন লেখক অনেক বড় ব্যাপার। তাদের অনেক দায়-দায়িত্ব। উইকিপিডিয়াতে লেখা আছে- 'যে ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ সৃষ্টিশীল কোন লেখনী কিংবা লেখাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন, তিনিই লেখকরূপে গণ্য হয়ে থাকেন।' একমাত্র হুমায়ূন আহমেদ ছাড়া আর তো কাউকে ফুলটাইম লেখাজীবি হিসেবে দেখি না। সবার বুঝা উচিত- আপনি ভালো হলে আপনার এ ভালো হওয়ার সুফল শুধু আপনি একাই উপভোগ করবেন না, করবে আপনাকে ঘিরে চারপাশে যারা আছে তারা সবাই। কাজেই আগে ভালো মানুষ হন। তাহলে আপনাকে দিয়ে অসাধ্য সাধন করা যাবে। শুধু আশে পাশের মানুষের কাছ থেকে সস্তা বাহবা পাওয়ার জন্য বই বের করে লেখক নাম নিয়ে কোনো লাভ নেই। শুধু আপনাদের টাকা নষ্ট।
কথায় বলে - গাইতে গাইতে গায়ক, লিখতে লিখতে লেখক। কিন্তু ব্যাপারটা কী এতো সহজ? লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাইলে মনে লালিত স্বপ্নের বাস্তব রূপায়ন ঘটাতে হবে। এ জন্য পাড়ি দিতে হবে সাফল্যের দুর্গম সিড়ি। যার জন্য জানা থাকা চাই প্রয়োজনীয় সব বিষয়। ঠিক আছে আপনারা লেখালেখি করেন। কিন্তু সবাই নামী দামী হইতে চায় কিন্তু আসল যে কাজ ভালো মানুষ সেটা হতে চায় না কেউই! সবার মনের আশা ধরে নিলাম পুরন হলো সবাই বিশাল নামী দামী লোক হলো কিন্তু ভালো মানুষ না হলে তার কি মুল্য???
যারা ভালো, আদর্শবান, শ্রেষ্ঠ মানুষ তাদের জীবনের সৌন্দর্যের আলোতেই আলোকিত হয় পরিবার, সমাজ, জাতি, রাষ্ট্রসহ গোটা বিশ্ব। তারা সমাজ, জাতি, রাষ্ট্রের মণিমুক্তাতুল্য অমূল্য রত্ন, যারা হবে সকলের জন্য অনুকরণীয়, অনুসরণীয়, মডেল বা আদর্শ। নব্য লেখকদের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা প্রচুর পড়াশোনা করেন। প্রচুর। বই পড়ে-পড়ে আগে ভালো মানুষ হোন। অনেক অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করেন। তারপর লিখতে শুরু করেন। যদি আপনার লেখার মান ভালো হয়- তাহলে আপনাকে বই বের করে ধারে ধারে ঘুরতে হবে না, প্রকাশককে তেল দিতে হবে না। বড় ভাইদের ধরতে হবে না।
আমি কারো মুখে আজ পর্যন্ত শুনিনি- কেউ বলেছে- 'আমি ভালো মানূষ হতে চাই।' সবাই বলে, আমি ডাক্তার হবো, আমি লেখক হবো, আমি একজন ভালো ফোটোগ্রাফার হবো, আমি হেন হবো, আমি তেন হবো। এখন কথা হলো- তুমি ডাক্তার হও, ইঞ্জিনিয়ার হও বা লেখক হও- কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তুমি যদি একজন ভালো মানূষ না হও- তাহলে তো ভাই সমস্যা। তোমার ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার দরকার নাই। তুমি একজন মুদি দোকানদার হও- কিন্তু একজন ভালো মানূষ হও। সহজ সরল সত্য কথা হলো- আমাদের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা একজন লেখকের চেয়ে একজন ভালো মানূষ খুব বেশি দরকার। ভালো মানূষেরাই পারে সচ্ছভাবে দেশকে ভালোবাসতে, দেশের মানূষকে ভালোবাসতে। সর্বোপরি দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
যাই হোক, আমার আজকের আলোচনার বিষয় হলো- 'লেখক'। আমি মনে করি- একজন লেখক হবে সহজ সরল ভালো মানুষ। তার মধ্যে কোনো লোভ থাকবে না, কোনো হিংসা থাকবে না, কোনো কুটিলতা থাকবে না। কিন্তু সমস্যা হলো- আমি চারপাশে তাকিয়ে দেখি- মানুষ লেখক হওয়ার জন্য হা করে বসে আছে। প্রতু বইমেলাতে দু'টা চারটা বই বের করতে পারলেই যেন জাতে ওঠা যায়। বইমেলা এলে কিছু লোক পাগল হয়ে যায়। তারা লিখতে শুরু করে নানান বিষয় নিয়ে। খুব'ই সস্তা লেখা। তাদের দিয়ে কোনো দিনই মহান সাহিত্য লেখা সম্ভব নয়। তাদের মন-মানসিকতা ভয়াবহ নোংরা, তারা ভয়াবহ কুটিল এবং জটিল। তারা দালাল এবং তারা ভন্ড। এখন, এই সমস্ত লোক যদি লেখক হয় বা নিজেকে লেখক দাবী করে তাহলে তো সমস্যা। -এই সমস্ত তথাকথিত লেখকদের দিয়ে জাতি কি পাবে? খোঁজ করলে জানা যাবে তাদের ১০টা ১২টা করে বই বের হয়ে গেছে। তারা জোর করেই পরিচিত জনদের দিয়ে বই কেনায়। তারা কথায় কথায় নিজেকে লেখক বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলে। তাদের অত্যাচারে ফেসবুকে ঢুকা যায় না। ইনবক্সে হাতজোর করে তাদের বই কেনার জন্য।
একজন দালাল, একজন ভন্ড অথবা একজন লোভী মানুষ কি করে লেখক হয়? একজন লেখক অনেক বড় ব্যাপার। তাদের অনেক দায়-দায়িত্ব। উইকিপিডিয়াতে লেখা আছে- 'যে ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ সৃষ্টিশীল কোন লেখনী কিংবা লেখাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন, তিনিই লেখকরূপে গণ্য হয়ে থাকেন।' একমাত্র হুমায়ূন আহমেদ ছাড়া আর তো কাউকে ফুলটাইম লেখাজীবি হিসেবে দেখি না। সবার বুঝা উচিত- আপনি ভালো হলে আপনার এ ভালো হওয়ার সুফল শুধু আপনি একাই উপভোগ করবেন না, করবে আপনাকে ঘিরে চারপাশে যারা আছে তারা সবাই। কাজেই আগে ভালো মানুষ হন। তাহলে আপনাকে দিয়ে অসাধ্য সাধন করা যাবে। শুধু আশে পাশের মানুষের কাছ থেকে সস্তা বাহবা পাওয়ার জন্য বই বের করে লেখক নাম নিয়ে কোনো লাভ নেই। শুধু আপনাদের টাকা নষ্ট।
কথায় বলে - গাইতে গাইতে গায়ক, লিখতে লিখতে লেখক। কিন্তু ব্যাপারটা কী এতো সহজ? লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাইলে মনে লালিত স্বপ্নের বাস্তব রূপায়ন ঘটাতে হবে। এ জন্য পাড়ি দিতে হবে সাফল্যের দুর্গম সিড়ি। যার জন্য জানা থাকা চাই প্রয়োজনীয় সব বিষয়। ঠিক আছে আপনারা লেখালেখি করেন। কিন্তু সবাই নামী দামী হইতে চায় কিন্তু আসল যে কাজ ভালো মানুষ সেটা হতে চায় না কেউই! সবার মনের আশা ধরে নিলাম পুরন হলো সবাই বিশাল নামী দামী লোক হলো কিন্তু ভালো মানুষ না হলে তার কি মুল্য???
যারা ভালো, আদর্শবান, শ্রেষ্ঠ মানুষ তাদের জীবনের সৌন্দর্যের আলোতেই আলোকিত হয় পরিবার, সমাজ, জাতি, রাষ্ট্রসহ গোটা বিশ্ব। তারা সমাজ, জাতি, রাষ্ট্রের মণিমুক্তাতুল্য অমূল্য রত্ন, যারা হবে সকলের জন্য অনুকরণীয়, অনুসরণীয়, মডেল বা আদর্শ। নব্য লেখকদের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা প্রচুর পড়াশোনা করেন। প্রচুর। বই পড়ে-পড়ে আগে ভালো মানুষ হোন। অনেক অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করেন। তারপর লিখতে শুরু করেন। যদি আপনার লেখার মান ভালো হয়- তাহলে আপনাকে বই বের করে ধারে ধারে ঘুরতে হবে না, প্রকাশককে তেল দিতে হবে না। বড় ভাইদের ধরতে হবে না।