একসাথে কাজ করলে বা অনেকটা সময় পাশাপাশি থাকলেই আমি দেখেছি সেখানে একজন আরেকজনের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে । কখনো বিয়েতে গড়ায় অথবা ছাড়াছাড়ি । ভালবাসা এমন এক মোহ । একবার মোহে পড়লে বেটা মোহ ছাই দিয়া ধরে । বোবা কালা আন্ধা কানি, কালী কিছুই বুঝে না প্রেম । ভালবাসা অন্ধ প্রেম অন্ধ হয়ে শেষ পরিণতি বিয়েতে গিয়ে ঠেকে । যাদের কথা বলছি তারা সবাই আমার প্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রি । এদেরকে আরেকটা কারণেও ভাল লাগে যেমন অভিনয় তেমনি তাদের বাস্তবতা উপলব্ধি । ভালবাসার পর বিয়ে যা এখনো টিকে আছে সংসার । বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে সবারই সুখি সংসার । হয়তো মাঝে মধ্যে খুনসুঁটি ঝগড়া মনোমালিন্য এসব হয় হবে হয়ে থাকে তবুও এরা সুখি নিজেদের সংসার গন্ডির ভিতরে । |
১। মৌসুমী ও ওমরসানি |
ফাটাফাটি একটি ছবি মৌসুমির মৌসুমীরে আমার বেসম্ভব পছন্দ । তিনি সৌন্দর্য এখনো ধরে রাখতে পেরেছেন । অভিনয় মোটামুটি ভাল লাগে কিন্তু মৌসুমীর চুলগুলো বেশী ভাল লাগে আমার । আর ওমর সানি রে মোটেও পছন্দ না ...... এত সুন্দর মৌসুমী কেমনে যে কি হইল । কথায় আছে না প্রেমের মরা জলে ডুবে না । অথবা যার লাইগা যার মজে মন....... বিষ্টা হইয়া যায় চন্দন । কিন্তু এদের সম্পর্ক এখনো সুন্দরভাবেই টিকে আছে । দুটি সন্তানও আছে তাদের ঘরে । একেবারে সুখি সংসার । ১৯৯৩ না ৯৪ সালে বোধয় উনারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন । এখনো মৌসুমী ওমর সানির সুখী দাম্পত্য জীবন অনেকের কাছে ঈর্ষণীয়। |
|
২। বিপাশা ও তৌকির আহমেদ
|
আগে এদের নাটকই বেশী দেখা হতো । যে কোন নাটকই হতো নায়ক কিংবা নায়িকা যাই হোক যে কোন উপায়ে তাদের নাটক দেখতাম মনোযোগ দিয়ে । অভিনয় করতে করতেই তারা একে অপরের প্রেমে পড়েন । তারপর দুই পরিবারের সংলাপের মাধ্যমেই তাদের বিয়া হয় । তৌকির আহমেদ নির্মাতা হিসাবেও সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন । এরা যখন জামাই শ্বশুড় মেয়ে মিলে অভিনয় করে তখন বিরাট ভাল লাগে । এত মিল সবার মধ্যে । সবাই সবার আপন । পুরো সম্পর্কটাই আমার কাছে মধুর লাগে । বিপাশা তৌকির ১৯৯৯ সালে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন । এদের ঘরেও আছে দুই সন্তান । সুন্দর দাম্পত্য জীবন টিকে থাক অনন্তকাল ধরে এই কামনাই করি ।
|
৩। শাবনাজ ও নাঈম |
শাবনাজ নাঈমের সিনেমাও প্রচুর দেখেছি আগে । চাঁদনী সিনেমার মাধ্যমে এই নায়িকার আবির্ভাব । অভিনয় করার মাঝে এরা প্রেমে পড়েন তার শাদী করেন ১৯৯৬ সালে। খুব সুন্দর সংসার উনাদের যা এখনো টিকে আছে ভালবাসার মাঝেই ।
|
৪। আলী যাকের-সারা যাকের
|
ইশ সারা যাকেরকে কি যে ভাল লাগত । সাদাসিদে একজন নারী । আলী যাকেরের অভিনয়ও অনেক বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয় । দুইজনই নাটক করতেন । সারা যাকেরের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে প্রেমে পড়েন আলী যাকের । ১৯৭৭ সালে মনে হয় তাদের বিয়ে । তাদের একে অপরের আস্থা আর বিশ্বাস প্রচুর । ইতিমধ্যে ইরেশ যাকের অভিনয়ে উপস্থাপনায় তার জায়গা তৈরী করে নিয়েছেন । এদের স্বপরিবারকেই আমার ভাল লাগে । সুখি দাম্পত্য জীবন দেখলে মনে শান্তি লাগে ।
|
৫। জাহিদ হাসান ও সাদিয়া ইসলাম মৌ
|
জাহিদ হাসান আমার দৃষ্টিতে অভিনেতাদের মধ্যে এক নম্বর স্থানে । যে কোন চরিত্রেই তিনি তুখর অভিনয় করেন । হুমায়ূন আহমেদের নাটকেই তারে বেশী ভাল লাগে । আমার বড় ছেলে তো ছোট বেলা নাটক দেখলেই তাকে বাবা বলে ডাকত । জাহিদ হাসান টিভি পর্দায় আসলেই বলতো ওই যে বাবা । আমাদের বাসার সবাই জাহিদ হাসানের ভক্ত একমাত্র তার অভিনয়ের গুনে । অপরদিকে মৌ হলে নৃত্যশিল্পী তারে আমার মতে নৃত্যতেই মানায় । তার অভিনয় তেমন ভাল লাগে না । অভিনয় করতে গিয়েই বুঝি এরা প্রেমে পড়েন । দুই বছর প্রেম করে তারপর বিয়ে করেন । সুন্দর সংসার যা এখনো টিকে আছে প্রেমের বিয়ে । বেশ ভাল আছেন তারা তাদের সংসারে তাদের দুই সন্তানকে নিয়ে । |
|
৬। তাহসান-মিথিলা : |
মিষ্টি সুন্দর উচ্ছল দম্পত্তি তাহসান মিথিলা । দুইজনেই হ্যান্ডসাম সুন্দরী । তাহসানের গান মাঝে মাঝে ভালই লাগে আবার কখনো বা ভাল লাগে না । মিথিলার অভিনয় খুব ভাল লাগে । মিষ্টি মেয়ে মিথিলা । দুইজনেই প্রাণোচ্ছল । গান নিয়ে কথাবার্তার সময়ই তারা একে অপরের কাছে চলে আসেন মানে প্রেম প্রেম খেলা । দুই পরিবারের সম্মত্তিক্রমেই তারা বিয়ে করেন ২০০৬ সালে । আজও সুখ দম্পত্তি হিসাবে একে অপরের পাশে আছেন এবং থাকবেনও এই আশা করছি । মিথিলাও নাকি গান করেন তবে তার গান এখনো শুনিনি ।
|
৭। ফারুকী-তিশা : |
এরার প্রেম ভালবাসাটাও সুন্দর । যেমন নির্মাতা হিসাবে ফারুকীর যথেষ্ট নামডাক অপরদিকে অভিনয়েও ফাটাফাটি তিশা । তিশা যেমন অভিনয় করেন তেমন অনেক সুন্দরীও বটে । ফারুকীর নাটক করতে করতেই প্রেমের পড়েন একে অপরের । ৫/৬ বছর তারা প্রেম করেন । অবশেষে ২০১০ সালে বিয়ে হয় তাদের । সুন্দর সম্পর্ক এখনো টিকে আছে ভালবাসার মধ্যে দিয়েই । |
৮। চাঁদনী ও বাপ্পা
|
বাপ্পা কত গান যে আমার এত্তগুলা প্রিয় বলে বুঝাতে পারবো না । সখি সূর্য স্নানে চল এ গানটা এখন বিড় বিড় করে গাইছি । আর চাঁদনী যেমন সুন্দর তেমনি ভাল নাচেন আর অভিনয়ও ভাল করেন । খুব ভাল লাগে চাঁদনীর অভিনয় । অনেকদিন ধরে তার অভিনয় নৃত্য মিস করছি । কয়েকমাস মন দেয়া নেয়ার মাধ্যমে এরা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন ২০০৮ সালে । দুইজন দুই ধর্মের ছিলেন । কিন্তু প্রেমই শুধু ধর্ম এক করে দিল । দুই পরিবারের সম্মতি নিয়েই তারা বিয়ে করেন । বিয়ের আগেই বাপ্পা ধর্মান্তরিত হন । তার নাম এখন আহমেদ বাপ্পা মজুমদার। সুখি সুন্দর উচ্ছল দাম্পত্য জীবন নিয়ে তারা এখনো সংসার করছেন ভালবাসা দিয়ে সংসার সাজিয়ে । অনন্তকাল টিকে থাকুক ভালবাসার বন্ধ । ভালবাসা বিয়ে তারপর আজীবন টিকে থাকা ঠিক তখনইতো পাবে প্রেমের পুর্ণতা।
|
ছবিগুলো নেট থেকে সংগৃহীত ...... |
Comments (2)
বর্নাআহমেদ
তুমি আমার অহংকার, তুমি নক্ষত্রের ভালবাসা
অনেক সুন্দর কবিতা।ধন্যবাদ বর্না।
তুমি আমার মায়ের সর্বরত্ন অলংকার
বর্ণমালায় গাঁথি আমি আমার কণ্ঠহার।
----এক কথায় অসাধারণ...!
অসাধারণ !!!