এরশাদ চাচা আবারো তার মত বদলেছেন। তবে শেষ কবে বদলেছেন তা বলা মুশকিল। কারন তিনি প্রতিনিয়ত কথা বদলিয়েই চলেছেন। ধারনা করা হয়েছিল এরশাদ নির্বাচনে যাচ্ছেন এবঙ সেই মোতাবেক মনোনয়ন সেল করেছেন। ইতিমধ্য তিনি ২৯৯ আসনে মনোনয়ন দিয়েছেনও। শুধু তাই নয় জাতীয় পার্টি থেকে ৬জনকে মন্ত্রী বানানো হয়েছে।
কিন্তু শেষ বেলায় এসে আবারো মত পাল্টালেন এরশাদ। তিনি নির্বাচনে যাবেননা। এমনকি মরে গেলেও না। তিনি ঘোষনা দিয়ে বাড়ী থেকে চলে গেলেন। কোথায় গেলেন কেউ বলতে পারলেননা। প্রায় ২৬ ঘন্টা নিকোজ থাকার পর ফিরে এলেন। ইতিমধ্যে তার বাড়ী চারিদিকে পুলিশ সাংবাদিক আর কর্মী সর্মথকদের কোলাহলে মুখরিত। তিনি এলেন বটে বাড়ির পিছন দরোজা দিয়ে।যাতে কেউ তাকে দেখতে না পায়। অবশেষে পুলিশ বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলো। কেউ কেউ বললেন এরশাদ এরেস্ট হতে পারেন। এবার ঘোষনা দিয়ে বসলেন গ্রেফতার হলে আত্নহত্যা করবেন। সে কি বিপদ। মরিয়া হয়ে এবার সরকার তার পিস্তলে লাইসেন্সের ব্যপারে নতুন করে ভাবতে বসলেন।
এরশাদের পতন কোন কালেই হয়নি। স্বৈরাচারও না। তিনি আছেন তিনি থাকবেন। তিনি আবারো মত পাল্টেছেন। দুটি শর্তে তিনি নির্বাচনে যাবেন। এক সব দলের অংশগ্রহন থাকতে হবে। দুই মনোয়নের জমা দেয়ার সময় ১০ দিন বাড়াতে হবে। তাকে নিয়ে বিব্রত দুটি দল। সরকার দর কষকষিতে বসেছেন তাকে নির্বাচনে আনার জন্য। আর বিরোধীদল মরিয়া দুরে রাখার জন্য। দেখা যাক কি হয়? কে ক্ষমতা আসে সেইটা বিষয়না। কিন্ত এরশাদ থাকেন বরাবরই বিজয়ী। এবার দেখি কি হয়। তবে শেষ বিজয়ের হাসি এরশাদই হাসবেন।