Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ধ্রুব তারা

১০ বছর আগে

ডাইনোসর সম্পর্কে বাইবেল কি বলে

 

বাইবেলে ডাইনোসরের অস্তিত্ব সম্পর্কে আলোচনা ও বিতর্ক খ্রীষ্টিয়ান সমাজে যুগের পর যুগ ধরে ব্যাপকভাবে চলে আসছে, যদিও আদিপুস্তকের আলোচনায় এবং তাদের দৈহিক উপস্থিতির প্রমাণ এই পৃথিবীতে আমাদের চারিদিকে দেখতে পাওয়া যায়। যারা এই পৃথিবীর বয়স অনেক বলে বিশ্বাস করে, তারা এও বিশ্বাস করে যে, বাইবেলে ডাইনোসরের কথা বলা হয় নাই। কারণ তাদের উদাহরণ মতে, ডাইনোসর লক্ষাধিক বছর আগে, প্রথম মানুষের পদার্পনের আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যে ব্যক্তিরা বাইবেল লিখেছেন, তারা জীবিত ডাইনোসর দেখতে পান নাই।

যারা এই পৃথিবীর বয়স অত বেশী নয় বলে মনে করে, তারা বিশ্বাস করে যে, বাইবেলে ডাইনোসরের কথা বলা হয়েছে, যদিও ডাইনোসরশব্দটি ব্যবহার করা হয় নাই। এই শব্দটির বদলে হিব্রু ভাষায় তারা ব্যবহার করেছে টানিয়ান’, যা ইংরেজী বাইবেলে বিভিন্ন ভাবে অনুবাদ করা হয়েছে। কোন সময় তা জল দানব”, কোন সময়দানব বা সাপবলা হয়েছে। আবার খুবই সাধারণভাবে ড্রাগনও বলা হয়েছে। টানিয়ান মানে খুবই বিশাল দৈত্যাকৃতির সরীসৃপ মনে করা হয়। এইরকম সরীসৃপের কথা পুরাতন নিয়মে প্রায় ত্রিশ বারের মত বলা হয়েছে, যা জলে ও মাটিতে উভয় জায়গায় দেখা গিয়েছিল।

এছাড়াও, এইরকম বিশাল আকৃতির সরীসৃপের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে বাইবেল বেশ কিছু প্রাণীর কথা এমনভাবে বলেছে, যার ফলে কোন কোন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, লেখকেরা সম্ভবত ডাইনোসরের কথাই উল্লেখ করেছেন। ঈশ্বরের সৃষ্ট সকল প্রাণীর মধ্যে বহেমৎকেসবচেয়ে শক্তিশালী দৈত্যাকৃতি বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যার লেজ এরস (সিডার) গাছের মত (ইয়োব ৪০:১৫)। কোন কোন বিশেষজ্ঞ বহেমৎকে হাতি বা হিপোপটেমাস বলে চিহ্নিত করতে চেষ্টা করেছেন, যাদের রয়েছে খুবই সরু লেজ এবং তা কোনভাবেই এরস গাছের সাথে তুলনা করা যায় না। অন্যদিকে, ব্রাকিয়োসরাস বা ডিপলোডোকাসের মতই ডাইনোসরেরও বিশাল লম্বা লেজ ছিল, যা অনায়াসে একটা এরস গাছের সাথে তুলনা করা যায়।

প্রতিটি প্রাচীন সভ্যতায় এইরকম বিরাটকায় সরীসৃপ জাতীয় প্রাণীদের ছবি চিত্রিত করা হয়েছে। উত্তর আমেরিকাতে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক যুগে পাথরের উপরে মানুষের আঁকা চিত্রকর্ম, এমন কি মাটি দিয়ে তৈরী ছোট ছোট সরীসৃপের মূর্তি আধুনিক কালের চিত্রায়িত ডাইনোসরের মতই মনে হয়। আবার, দক্ষিণ আমেরিকাতে পাথরের উপরে আঁকা রেখাচিত্রে ডিপলোডোকাস সদৃশ প্রাণীর পিঠে চড়া মানুষের মূর্তি আশ্চর্যভাবে ট্রিসেরোটপস সদৃশ, পেট্রোডাকটিল সদৃশ ও ট্রাইনোসর রাজা-সদৃশ প্রাণীর পরিচয় বহন করে। রোমীয়দের পাথরের কারুকাজ, মায়াদের মাটির কাজ এবং বাবিলীয়দের দেয়াল চিত্র থেকে এই প্রাণীদের সম্পর্কে মনোমুগ্ধকর সাক্ষ্য পাওয়া যায়, যা আন্ত-সংস্কৃতির ভৌগোলিক সীমারেখা ছাড়িয়ে বিস্তার লাভ করেছে। মার্কোপলোর লেখা দ্বিতীয় মিলিয়োনিতে এইসব প্রাণীদের নিয়ে অদ্ভূত উপকথা বর্ণীত হয়েছে। তাছাড়াও, মানুষ ও ডাইনোসরদের সম্পর্কে অনেক নৃতাত্বিক ও ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায়, যেমন উত্তর আমেরিকা ও মধ্য এশিয়ার কোন কোন স্থানে জীবাশ্ম (ফসিল) হয়ে যাওয়া মানুষ ও ডাইনোসরের পায়ের ছাপ এর বাস্তব প্রমাণ দেখা গেছে।

তাহলে, বাইবেলে ডাইনোসরের অস্তিত্ব আছে কি? এটা পুরোপুরি নিশ্চিত করা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। এটা নির্ভর করে, আপনি কিভাবে বর্তমানে পাওয়া প্রমাণগুলো ব্যাখ্যা করবেন এবং আপনার চারিদিকের পৃথিবীকে কি চোখে দেখবেন। যদি আক্ষরিক অর্থে বাইবেল ব্যাখ্যা করা হয়, তাহলে এই তরুণ পৃথিবীতেই মানুষ ও ডাইনোসরের একই সময়ের উপস্থিতি মেনে নেওয়া যেতে পারে। যদি মানুষ ও ডাইনোসরের একত্র উপস্থিতি ছিল বলে মেনে নেই, তবে ডাইনোসরদের কি হোল? যেহেতু, বাইবেল এই বিষয়ে কোন আলোচনা করে নাই, তবু বলা যায় যে, সম্ভবত ডাইনোসর বন্যা পরবর্তী সময়ে নাটকীয় আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে এবং মানুষের নিষ্ঠুর শিকারের ফলেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

 

১ Likes ৯ Comments ০ Share ৫৪১ Views

Comments (9)

  • - রোদেলা

    নাদিরা মজুমদার সহ আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা।

    - ইকবাল মাহমুদ ইকু

     

    - শাহ মাইদুল ইসলাম

    লেখাটি ভাল লাগল খুব।

    Load more comments...