Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ঠগ শো – আজকের আমাদের অতিথি ১৬ কোটি সোহেল, সিরিয়াল কিলার রশু খাঁ, হলমার্ক চেয়ারম্যান তানভীর, আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার মকিম গাজী,আর এরশাদ সিকদারের প্রেতাত্মা ।

প্রিয় দর্শকবৃন্দ আমি দেওয়ান কামরুল হাসান রথি আপনাদের সবাইকে নক্ষত্র টিভি থেকে শুভেচ্ছা দিয়ে শুরু করছি আজকে আমাদের গভীর রাত্রের ঠগ শো, চলুন আজকের শো এর অথিতিবৃন্দ সাথে পরিচয় হওয়া যাক, প্রথম আমার ডান পাশে যিনি আছেন তাকে আপনারা অবশ্যই সবাই চিনবেন তিনি হলেন ব্যাংক ডাকাত থুক্কু সিঁদেল চোর সোহেল ওরফে হাবিব, তার পরে আছেন লাভার বয় সিরিয়াল কিলার রশু খাঁ এবার চলুন বাম দিকের অথিতিদের সাথে পরিচয় হওয়া যাক হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান তানভীর, আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার মকিম গাজী এবং সর্বশেষ আছেন এরশাদ সিকদারের প্রেতাত্মা।

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় হল তাদের জীবনের সাফল্য শেষ পর্যায়ে এসে কেনো ব্যার্থতায় রূপ নিলো।

প্রথমে আমরা আজকে শুরু করছি হলমার্ক গ্রুপের
চেয়ারম্যান তানভীর সাহেব কে দিয়ে ।

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি – তানভীর সাহেব কেমন আছেন ?
হলমার্ক তানভীর – রথি ভাই কাজটা খারাপ করলেন ,এই চোর চোট্টা দের সাথে আমাকে ডাকা আপনার উচিত হইনি।
মকিম গাজী – তানভীর আপনি কি কইলেন আবার কনতো? আমরা চোর চোট্টা আর আপনি কে আমরা তো মানুষের বাসায় ডাকাতি করছি, আর আপনি কি করছেন , আপনি তো মিয়া লুটেরা ব্যাংক লুটেরা সরকারের টাকা লুট কইরা সরকারকে বিপদে ফালাইছেন, আমারে চেতাইয়েন না অতীত নিয়া টান মারলে ......থাক আর কইলাম না পাবলিক শো সবাই দেখতাছে আমাগো।
দেওয়ান কামরুল হাসান রথি – মকিম গাজী উত্তেজিত হবেন না, এটা একটা লাইভ অনুষ্ঠান সাড়া বাংলাদেশের মানুষ আজকে আপনাদের দেখছে ।
এরশাদ সিকদারের প্রেতাত্মা – আমি তো মরে যাবো , চলে যাবো রেখে যাবো সবি, তা নাহলে তানভীর আর সোহেল তোরা কেমনে খাবি। আমি তো রেখে যাবো।
দেওয়ান কামরুল হাসান রথি – আরে বা, এরশাদ সিকদার আপনি তো ভালো গান করেন, সিঁধেল চোর সোহেল আপনাকে এতো বিমর্ষ দেখাচ্ছে কেনো।
সিঁধেল চোর সোহেল – কি বলিব দুখের কথা একটা মেয়ের জন্য সর্বাঙ্গে ব্যাথা, ক্যান যে প্রেম করলাম আর কেন যে ফোনে কল দিলাম।
দেওয়ান কামরুল হাসান রথি – আচ্ছা তা না হয় বুঝলাম যে একটা মেয়ের জন্য আজ আপনার এ দূর অবস্থা, কিন্তু সর্বাঙ্গে ব্যাথা কেন এটি আমাদের কে একটু বিস্তারিত বুঝিয়ে বলুন?
ব্যাংক ডাকাত সোহেল – টানা দুই বছর সুড়ঙ্গ খুঁড়ছি আবার একটা মাইয়ার জন্য মাত্র দুই দিনের মাথায় ধরা খাইছি, দুই বছর সুড়ঙ্গ খুইরা সর্বাঙ্গে ব্যাথা ওইদিকে ধরা পড়ার পর আবার মাইর, অবস্থা বোঝেন আমার।
মকিম গাজী – সোহেল জেলখানাতে তোমার খবর পেপারে পইড়া মনে করছিলাম আমি জেলে যাওয়ার পর তুমি আমার নামডা রাখবা, অনেক দিন পরে আমার এক উত্তরসূরি পাইলাম মনে হয়। কিন্তু তুমি মিয়া দেখি বলদ তুমি আমার নাম ডুবাইছো।
দেওয়ান কামরুল হাসান রথি – আচ্ছা আপনারা সব কথা বলবেন নাকি? দয়া করে অন্যদের কে বলার সুযোগ দিন। সিরিয়াল কিলার রশু খাঁ কেমন আছেন কেমন কাটছে আপনার দিনকাল। আপনার জীবন নিয়ে কিছু বলুন কেনো এই মৌনতা কেনো আপনার এই ব্যার্থতা।
সিরিয়াল কিলার রশু খাঁ – ভালা না ভালা না এতো বৈষম্য কেন এই পৃথিবীতে?
দেওয়ান কামরুল হাসান রথি – বৈষম্য দেখলেন কই আপনি? একটু বুঝিয়ে বলবেন কি?
সিরিয়াল কিলার রশু খাঁ - জেলখানাতে কোনো মেয়ে নাই কেন? সব ছেলে ক্যান।
দেওয়ান কামরুল হাসান রথি – কেউ আপনাকে এই ভুল কথাগুলি বলেছে, জেলখানাতে ছেলে মেয়ে উভয় আছেন, কিন্তু তাদের থাকার জায়গাখানা আলাদাভাবে বানানো হয়েছে যেনো চাইলেও আপনি মেয়েদের সেলে যেতে পারবেন না।
সিরিয়াল কিলার রশু খাঁ – কন কি ভাই? কন কি ভাই? আমার আশেপাশে মেয়ে আছে আর আমি জানবার পারলাম না । কন কি ভাই ? কন কি ভাই ?
দেওয়ান কামরুল হাসান রথি – রশু খাঁ অতিরিক্ত মাত্রায় উত্তেজিত হবেন না, প্রেশার বেড়ে গেলে হার্ট অ্যাটাক হতে পরে। ঠাণ্ডা হোন ঠাণ্ডা হোন।
সিরিয়াল কিলার রশু খাঁ - কন কি ভাই? আমারে কি শুনাইলেন?
দেওয়ান কামরুল হাসান রথি – দর্শক বৃন্দ আপনারা দেখতে পাচ্ছেন রশু খাঁ প্রচণ্ড মাত্রায় উত্তেজিত , আর আমিও এই ফাঁকে নিচ্ছি উমুক চা বিজ্ঞাপন বিরতি।
টিভি অ্যাড – জনাকীর্ণ রেল স্টেশন বাবা তার ছেলে আর মেয়েকে সাথে করে নিয়ে এসেছেন, ছেলে বিদায় নিচ্ছে বাবার কাছ থেকে, ট্রেন ছেড়ে দিলো । বাবা মন খারাপ করে স্টেশন এর চায়ের দোকানে মেয়েকে নিয়ে এ বসে আছেন আর চা পান করছেন ।
- পাশ থেকে একটি ছেলে, আঙ্কেল কাকে বিদায় দিলেন ?
- বাবা ছেলেটাকে বিদায় দিলাম
- নো টেনশন চা খান সব ঠিক হয়ে যাবে
- মাজখানে আজাইরা কিছু কাহিনী
- আঙ্কেল পরের বার এসে আপনার মেয়েকে নিয়ে যাবো কিন্তু ।
উমুক চা খান চা খাওয়া শেষে আঙ্কেলের মেয়েকে নিয়ে চলে যান।

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি – দর্শক বৃন্দ , আপনাদের কে আবারো স্বাগতম জানাচ্ছি আমাদের নক্ষত্র টিভিতে, আপনাদের কে দ্বিতীয় বার বলার প্রয়োজন নেই আজকে আমাদের অতিথিগন কে কে। রশু খাঁ আপনার অবস্থা কি? আপনি কি এখন সুস্থ।
সিরিয়াল কিলার রশু খাঁ – বিস্তীর্ণ ও রহস্যময় হাসি, স্যার টিভিতে যে চায়ের অ্যাডখান দেখলাম আপাটা কেডা?
দেওয়ান কামরুল হাসান রথি – কে আবার হবে উনি একজন বিজ্ঞাপনের মডেল।
সিরিয়াল কিলার রশু খাঁ – স্যার আমিও ওই চা খাইতে চাই?
এরশাদ সিকদারের প্রেতাত্মা – স্যার আমারেও দিয়েন, আমিও চা খামু ।
দেওয়ান কামরুল হাসান রথি – বিজ্ঞাপন বিরতিতে আপনাদের তো ওই কোম্পানির চা খেতে দেওয়া হয়েছে । এখন আর সম্ভব না চলুন অন্য প্রসঙ্গে আলাপ করা যাক । আমরা আমাদের মূল প্রসঙ্গ থেকে অনেক দূরে চলে এসেছি। আজকে আমাদের প্রসঙ্গ আপনাদের জীবনের ব্যার্থতা নিয়ে আলোচনা এবং গভীরভাবে পর্যালোচনা। তানভীর সাহেব আপনাকে খুব চিন্তিত মনে হচ্ছে ? আপনার চিন্তিত হওয়ার কারন আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর আপনি বা ব্যার্থ হলেন কেনো। আপনার সাম্রাজ্য কেনো আজ ধুলোতে মিশলো।
হলমার্ক তানভীর – একদা মোর ছিলো অঢেল অর্থ, ছিলো নরম গদি, ছিলো এসি আর আজ আমি জেলখানায় ফুল গাছে পানি দিতেছি। কি কপাল?
দেওয়ান কামরুল হাসান রথি – আপনি টপিক এর বাহিরে কথা বলছেন কেন। আপনাকে যে প্রশ্ন করা হয়েছে উত্তর দেন।
সিরিয়াল কিলার রশু খাঁ – তানভীর ভাই ভাবী কই?
হলমার্ক তানভীর – চুপ হারামি তোর দরকার কি।
মকিম গাজী – তানভীর এভাবে কথা কইলে উস্টা দিমু কিন্তু।
দেওয়ান কামরুল হাসান রথি – নো তুই তোকারি মকিম সাহেব সবাইকে সন্মান করুন।
এরশাদ সিকদারের প্রেতাত্মা – আমি তো মরে যাবো চলে যাবো রেখে যাবো সবি ।
হলমার্ক তানভীর – চোপ চোপ, চুপ কর বেয়াদপ তুই কি রাখছস। আমি যা রাখছি তুই কি রাখছস ।
সিরিয়াল কিলার রশু খাঁ – তানভীর ভাই ভাবী কই ?
হলমার্ক তানভীর – আজ তোর একদিন কি আমার একদিন তোরে একটু সাইজ কইরা লই ।
মকিম গাজী - দাড়া আমিও আসতেছি ।
দেওয়ান কামরুল হাসান রথি – আরে ভাই করেন করেন কি নো মারামারি ওই ক্যামেরা অফ করেন, ভাই অবস্থা খুব খারাপ আজকের মতো আমাদের ঠগ শোর এখানেই সমাপ্তি ,এখান থেকে বিদায় নিলাম।

০ Likes ১৫ Comments ০ Share ৪৩৭ Views

Comments (15)

  • - তাহমিদুর রহমান

    পড়তে ভাল লাগছে। পরের পর্বের অপেক্ষায়। 

    • - জাবেদ ভুঁইয়া

      ধন্যবাদ ভাই। পরের পর্ব রাতে দেব।