স্বাগদিক দেশ হয়েও 'সরাসরি' টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা হচ্ছে না বাংলাদেশের। বাছাই পর্ব পেরিয়ে আসা ছয়টি দল ও জিম্বাবুয়ের সঙ্গে খেলে প্রথম রাউন্ডের বাধা পেরুতে পারলেই কেবল 'আসল' টুর্নামেন্ট 'সুপার টেন'-এ উঠবে স্বাগতিকরা।
আইসিসি জানায়, ১২টির বদলে এবার ১৬টি দল অংশ নিতে যাওয়ায় ছেলেদের টুর্নামেন্টের ফরম্যাট বদলাতে হয়েছে। ২০১২ সালের ৮ অক্টোবরের আইসিসি টি-টোয়েন্টির দলীয় র্যাঙ্কিং অনুযায়ী আটটি দেশ সরাসরি সুপার টেন –এ খেলার সুযোগ পেয়েছে। বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে শীর্ষ আটের বাইরে থাকায় সুপার টেনে যেতে হলে তাদের বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা ছয়টি দলের সঙ্গে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ খেলতে হবে। আগামী ১৫ থেকে ৩০ নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাছাই পর্ব থেকে আসবে এই ছয়টি দল। প্রথম রাউন্ডের এই আটটি দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে, যার দুই শীর্ষ দল সুপার টেনে উঠবে। প্রথম রাউন্ডের ম্যাচগুলো হবে ১৬ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত।
প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশ পড়েছে 'এ' গ্রুপে আর জিম্বাবুয়ে 'বি' গ্রুপে। আসল' টুর্নামেন্ট শুরু হবে ২১ মার্চ ঢাকায় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দিয়ে। সুপার টেন -এর গ্রুপ-১ এ আছে শ্রীলংকা, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউ জিল্যান্ড ও গ্রুপ 'বি' থেকে শীর্ষ বাছাই দলটি। সুপার টেনের গ্রুপ-২ এ আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও গ্রুপ 'এ' থেকে শীর্ষ বাছাই দলটি (বাংলাদেশের গ্রুপ)।
বাংলাদেশ যদি সুপার টেন -এ পৌঁছায় তবে তাদের সবগুলো ম্যাচ হবে ঢাকায়। সুপার টেনে উঠলে বাংলাদেশ ২৫ মার্চ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২৮ মার্চ ভারত, ২০ মার্চ পাকিস্তান ও ১ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলবে।