· নরমাল খাবার আগে যা খেতেন তাই খাবেন,কিন্তু পরিমানে একটু বেশি করে।সাস্থ্য বাড়ানোর জন্য জিম করলে তা বিকালে করা ভালো(দুপুরের খাবার খাওয়ার ২/৩ ঘন্টা পর)।কারন তখন খাবার গুলো গ্লুকোজ হয়ে যায়,ফলে জিম এর সময় এনার্জি বডি থেকে না টেনে খাবার থেকে টানে।বডি থেকে এনার্জি গেলে কিন্তু ওই পরিমার খাবার বডি না পেলে উলটা সাস্থ্য কমে অসুস্থ্য হয়ে যেতে পারেন।
· রোজ দুইটা ডিম খাবেন(জিম শেষ করার এক ঘন্টার ভিতরে),কারন ওই টাইমএ বডি খাবার চায়।
· পানি খাওয়া বাড়ায় দিবেন,নাহলে অতিরিক্ত ঘাম ঝরার কারনে জন্ডিস হয়ে যাবে।
· নতুন কেউ জিম এ ভর্তি হলে একটা বেপার ঘটে,অনেক উপদেষ্টা আসে,তারা সাপ্লিমেন্ট(হাই প্রটিন) নিতে বলে তাড়াতাড়ি বডি বাড়াইতে।ওদের প্রধান কাজ এগুলা বিক্রি করা।এসব নেয়া ঠিক না,অন্তত শুরুতে তো না ই।বডি যখন সেইপে চলে আসবে তখন নেয়া যায়,তাও দেশের বাইরে থেকে
আনায় নেয়া ভালো।এদেশে সস্তায় ইন্ডিয়ান যেটা পাওয়া যায় ওটা অতটা ভালো হয় না।না খাওয়াটা বেশি ভালো।
· যেই দিন থেকে জিম শুরু করবেন,ওই দিন ভুলেও এক সাথে পুরা রুটিন ফলো করবেন না।তাহলে আমাকে গালি দিয় জিম ছেড়ে দিবেন।আর ব্যাথায় তো রাতের ঘুম হারাম হবেই।(জিম এর শুরুর দিন বডির টিস্যু ছিড়বে এবং এক্সপান্ড করবে।ভয়ের কারন নাই,এই ব্যাথা ৩ দিন থাকে,এই ব্যাথার কারনে ওষুধ খাওয়া ঠিক না।আর ব্যাথার ভয়ে জিম না ছেড়ে হাল্কা হাল্কা ব্যাথার উপর জিম করা ভালো,ব্যাথা দ্রুত কমবে তাতে।
· জিম এ ঢুকেই নিজে যতটা পারেন তার চেয়ে বেশি ওয়েট নিয়ে টানাটানি শুরু করবেন না,এখানে পাওয়ার দেখানোর দরকার নাই,আস্তে আস্তে এনার্জি বাড়বে,তখন হেভি ওয়েট নিতে পারবেন(অতিরিক্ত ওয়েট নেয়ার কারনে লিগামেন্ট ছিড়ে যেতে পারে,মেরুদন্ডে টান খেতে পারেন,যা আজীবন ভোগাবে)।
· কাঁচা ছোলা ধ্রুত মাসল বিল্ড করে,কলা বেশ কাজে লাগে,রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ ভালো কাজ করে,মাছ আর মাংস পাইলে ধুমায়ে খান,চর্বি ছাড়া হলে ভালো,ডিম কুসুম ছাড়া খাওয়া ভালো,যাদের বডি বেশি শুকনা তারা একটা কুসুম খেতে পারে(ডিমের সাদা অংশ প্রটিন,কুসুম এ ফ্যাট)
ওহ.. একটা কথা বলতে ভুলেই গেছি... কারো যদি এই নিয়ম কানুন ভাল লাগে তাহলে এই নোটটি শেয়ার করবেন।
আরো কিছু জানতে চাইলে প্রশ্ন করতে পারেন,আমার জানা থাকলে হেল্প করবো। ভুল হলে সরি,যদি কারো উপকারে আসে তাহলেই আমি খুশি।
Comments (1)
বন্ধুকে ভালোবাসা বিলিয়ে দিলেন, কাব্য ভালো লেগেছে শ্রদ্ধাভাজন।