শান্ত নদীটি পটে আঁকা ছবিটি...
ধরা যাক একটা মোবাইল চার্জ করতে হবে৷ কিংবা জ্বালাতে হবে ছোট একটা আলো৷ বহু জায়গাতেই সেসব ছোটখাটো বিদ্যুতের জন্য ব্যবহার করা যায় স্বপ্নালু ছোট ছোট নদী কিংবা জলধারাকে৷ সেই বুদ্ধিটাই বের করে ফেলেছেন জার্মান গবেষকরা৷
ভার্নভ নদীর ধারে হাঁটুর ওপর ল্যাপটপ নিয়ে তাই জার্মান গবেষকদের দেখা যাচ্ছে গভীর মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে৷ ভার্নভ এমন একটা নদী, যাকে অলস বললেও কম বলা হয়৷ সে চলে খুবই ধীরগতিতে৷ বলা যায়, তার গতির মধ্যে কোথাও কোন তাড়াই নেই৷ কিন্তু দেখা গেছে, তার স্রোতের যেটুকু বেগ, তাতেও একটা ছোট্ট জলবিদ্যুৎ তৈরির যন্ত্র বা পেডাল মিনিটে পাঁচবার করে ঘুরতে পারে৷ আর তাতেই কেল্লা ফতে৷ সেই পেডাল পাঁচবার ঘুরে যে বিদ্যুৎ তৈরি করছে তাতে চার্জ করা যাবে মোবাইল, কিংবা জ্বালানো যাবে কয়েকটা ছোট ছোট আলোর বালব৷
তাহলে সেই সবুজ বিদ্যুৎটুকুকেই বা ছেড়ে দেওয়া কেন? এতে আর যাই হোক, পরিবেশের কোন ক্ষতি তো হচ্ছে না! দিব্যি কাজও চলে যাচ্ছে৷ জার্মান গবেষকরা তাই বলছেন, বহু জায়গাতেই এরকম ভার্নভ-এর মত যেসব স্বপ্নালু ছোট ছোট নদী রয়েছে, তাদেরকে এভাবে কাজে লাগানোই যায়৷ কাজটা সম্ভব৷
কাজটা সম্ভব তার কারণ নদী কখনোই থামে না৷ তার জলধারা সতত প্রবহমান৷ সারাদিন সারারাত৷ আর সেই প্রবহমানতা থেকেই তৈরি হচ্ছে সবুজ বিদ্যুৎ৷ যা কিনা গৃহস্থালীর কাজে দিব্যি ব্যবহার করা যায়৷
২০০৮ সালে দশটি ইউরোপীয় বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রযোজনায় শুরু হয়েছে এই গবেষণা৷ চলছে জার্মানির স্টেয়ার্নবেয়ার্গ শহরে৷ প্রকল্পের নাম হাইলো৷ গবেষণা চলবে আগামী বছর পর্যন্ত৷ তবে ইতিমধ্যেই বোঝা যাচ্ছে, এই গবেষণা দিব্যি সাফল্য পাচ্ছে৷ সুতরাং পরিবেশ বান্ধব সবুজ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পথে আরেক ধাপ এগোতে পারল এই গ্রহ৷ সেটাই বা মন্দ কী?
Comments (0)
ব্যবধান ৯০ ডিগ্রি আর ৯ ডিগ্রিতে কোন তফাৎ নেই, এক বিন্ধুতে আর মিলন হচ্ছে না। কবিকে শুভেচ্ছা
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কামাল ভাই
ভাল লাগা জানাই কবি
ভালো লাগার শব্দমালায় লেখা কবিতা ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা জানবেন ভালো থাকবেন।
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন