মেয়ে পটানোয় উস্তাদ বলে খ্যাত হাসিনের কোন মেয়ে বন্ধু নেই। এটা নিয়ে তার কোন আফসোসও নেই। কেউ প্রশ্ন করলে বলে প্রেমিকরা কখনো অভিজ্ঞ হয় না আর অভিজ্ঞ লোকেরা প্রেমিক হতে পারেনা। বন্ধুদের প্রেমের টানাপোড়ন ভাঙ্গার এডভোকেসি করতেই তার সময় যায়। এ হিসেবে সব বন্ধুদের গার্ল ফ্রেন্ডের সাথে তার দারুন সখ্যতা। দোদুল্যমান সম্পর্ক মজবুত করার জন্য তাকে অনেক সময় দিতে হয়। রিক্সায় ঘোরা, পার্কে বসে বাদাম খাওয়া, স্লিপ পাঠিয়ে ক্লাস থেকে ডেকে আনা এসবই তাকে করতে হয়।
অনেকটা ফুরফুরে মেজাজেই চলছিল হাসিনের জীবন। কেউ না থেকেও অনেকে আছে এমনভাবে। কিন্তু তার এই ভালো থাকার মধ্যে একদিন বাদামের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে পাপড়ি বলল সে তাকে ভালোবাসে, তার বন্ধুকে নয়। সে তাকে ছাড়া বাঁচবে না। হাসিন সেদিন অট্রহাসিতে ফেটে পড়েছিল। বেমালুম উড়িয়ে দিয়ে বলেছিল কেউ কারো জন্য মরেনা। এসব ভড়ং।
মাঝখানে বেশকিছুদিন চলে গেছে। একদিন খুব ভোরে বাসার ফোনটি অনেকটা বাজেভাবে বেজে উঠল। সৌমিক জানাল পাপড়ি আত্মহত্যা করেছে।