চারিদিকে ভাঙ্গনের গান শুনি
জলশূন্য নদীর পাড় ভাঙ্গে লাঙ্গলের ফলায় ।
আকাশ ভাঙ্গে বারুদের কালো ধূয়ায়
দল ভাঙ্গে নীতিহীন নেত্রীত্বে
মন ভাঙ্গে , ঘর ভাঙ্গে
সন্তান হারা জননীর বুকের পাজর ভাঙ্গে বুলেটের উল্লাসে
শুধু আমি ভাঙ্গতে পারি না আমাকে ।।
শোকের কালো রাজপথে
ক্ষোভের দাবানলে নির্ঘুম রাত কাটে
ঘুমাতে পারিনা বুকের চাপা কষ্টে
আবার আগুন হয়ে জ্বলতে ও পারিনা
জ্বালাতেও পারিনা ।
শুধু বারুদে বারুদ ঘষে ধুয়া খেয়ে
ব্যারাইমা মুরগীর মত ঝিমাইয়া ঝিমাইয়া
চেতনার জাল বুনতে পারি ।
এক নিমিষে প্রিয়তমার হৃদয় ভেঙ্গে চুরে
তামাক বানিয়ে হুক্কা খেতে পারি ।
আপনজনের মন ভেঙ্গে
গাজার কলকিতে দম দিতে পারি ।
কিন্তু ভাঙ্গতে পারি না
আমার হাত পায়ে বাধা
ভগবানের অদৃশ্য লোহার বেড়ী
দানবের পাথরের পথের প্রাচীর ।
শোষকের রক্ত চক্ষু লাল চোখ
ঘাতকের বিষ দাত
ভাঙ্গতে পারিনা
লাগামহীন দুরনীতিবাজ কালোবাজারীর বুকের পাজর ।
শুধু নীরবে ভেঙ্গে যায়
স্বদেশের স্বপ্নবাজ মেহনতি মানুষের মন
জাতির অলস বিবেক
উজান স্রোতের দুকূল
বাড়ী গাড়ী কলকারখানা
আর আমার প্রিয় শহরের
ধূলোমাখা শোকের কালো রাজপথ ।।
Comments (24)
সুন্দর পোষ্ট দেওয়ার জন্য
অভিনন্দন-----
আমাদের সঙ্গী জাগ্রত জনতা
আমরা তো নই একা
আধারের বুক চিড়ে আমরা
জাগাব আলোর রেখা।
অসাধারন।
নজরুল রবীন্দ্রসহ অন্যান্য (সুকান্ত ব্যতীত) যে সকল কবি সামাজিক শোষন, নির্যাতনের উপর কবিতা লিখেছেন তাদের সাথে কবি শফিকুল ইসলামের পার্থক্য হল প্রথমতঃ তারা কেউই যথাযথভাবে শ্রেণী সচেতন ছিল না। কেউই শোষিত জনতার সাথে সর্বাত্বকভাবে একাত্বতা বোধ করেননি। তাদের সামগ্রিক সৃষ্টি কর্মের মধ্যে এত ক্ষুদ্র অংশের ন্যায় ছিল। কবি শফিকুল ইসলাম এ ক্ষেত্রে সকল রাজনৈতিক মতবাদের উর্ধ্বে মানবিক মতবাদের বাণী প্রচার করেছেন। সময়ের সকল দাবীর বলয়ে তার এই দর্শন চিন্তা অনেকটাই অগ্নিস্ফুরণ।
তাই নাকি? তাইলে ত বাংলা সাহিত্য নজরুল, রবির চেয়েও বড় কাউকে পেয়ে গেছে মনে হয়........ পাগলের প্রলাপ বকতে লজ্জা করে না, ছি!!