কবিরা যে চাঁদের সৌন্দর্যে এত মূগ্ধ হন, এর মধ্যে প্রিয়ার মুখের প্রতিচ্ছবি দেখতে পান, দূরবীক্ষ্ণণের মধ্য দিয়ে দেখলে সে চাঁদের মধ্যে আকর্ষণীয় কোন সৌন্দর্য কিংবা তাতে প্রিয়ার মুখের কোন প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া যায় না! চাঁদকে দেখা যায় ঠিক “চৈত্র মাসের ইঁটার খেতের মত”-তবে ইঁটাগুলো আরও অনেক বড় বড়।কবি আর বৈজ্ঞানিকের দেখার চোখই আলাদা! কবি দেখেন সামগ্রিক রূপটি এবং অনুভব করেন তার বাইরের সৌন্দর্য এবং তাও দূর থেকে।“চাঁদেরে কে চায়? জ্যোৎস্না সবাই যাচে।”-তারাই কবি।কিন্তু বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করে দেখলে তার দৈহিক গঠণ এবং সেখানে সে তার কংকাল ছাড়া আর কিছুই পায় না।
প্রিয়ার যে চাঁদমুখ ও তার অপূর্ব দেহ-বল্লরী তার প্রেমিককে কবি বানায় এবং তাকে দিয়ে কবিতা লেখায়, বৈজ্ঞানিক সেই মুখ ও সেই একই দেহ বল্লরীকে বিশ্লেষণ করে পায় কিছু কংকাল, কিছু মাংসপেশী, শিরা ধমনী ও কিছু রক্ত-স্নায়ু ইত্যাদি আর তা সব তাকে দিয়ে লেখায় এনাটমী।