‘সংকল্প ’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হল টিভি অভিনেত্রী মাহিন সাবিনের। তাজু কামরুলের পরিচালনায় এ সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করছেন শ্যামল মওলা। এ সিনেমার মাধ্যমে রাফি নামে মিডিয়াতে পরিচিত হবেন বলে গ্লিটজকে জানিয়েছেন মাহিন। রাফি বলেন, “দেশাত্মবোধক গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ‘সংকল্প’। সিনেমাটি অফট্র্যাকের। গল্পটি দারুণ লেগেছে আমার।” রাফি জানান, এখন বেশ কটি সিনেমার অফার আসছে। মনের মতো গল্প ও চরিত্র পেলে তিনি আরও কিছু সিনেমাতে চুক্তিবদ্ধ হবেন। ২০০৯ সালে নাগরিক নাট্যদলের হয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন রাফি। এরপর ‘গুপ্তধন’ সিরিয়ালের মাধ্যমে টিভিপর্দায় অভিষেক হয় তার। এতে তার চরিত্রের নাম ছিল কুসুম। এরপর তিনি অভিনয় করেছেন মিজানুর রহমান লাবুর ‘কচুরিপানা’, সালেহ আহমেদ মনার ‘কাঁটাতারের বেড়া’, আহমেদ আজিম টিটুর ‘চোখ’ নাটকে। সালাউদ্দিন লাভলুর ‘শখ’, রাজিবুল ইসলাম রাজিবের ‘আদ্রিতা হত্যাকান্ড’ এবং পারভেজ আমিনের ‘এবং পুস্প’ শিরোনামের তিনটি টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন তিনি।
রাফি জানান, তার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল ‘কাঁটাতারের বেড়া’ ও ‘আদৃতা হত্যাকান্ড’। ‘কাঁটাতারের বেড়া’ নাটকে রাফি যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। রাফি বলেন, “পুরো নাটকের দৃশ্যায়ন হয়েছিল টাঙ্গাইলের এক যৌনপল্লীতে। সেখানে হতভাগ্য নারীদের জীবনের গল্প ফুটিয়ে তোলার কাজটি খুব সহজ ছিল না।” সিনেমার ব্যস্ততায় নাটকের কাজ কমিয়ে দিয়েছেন রাফি। তবে টিভিকে বিদায় বলছেন না এখনই।
সাগর ও শম্পা অভিনীত ‘মনের মধ্যে লেখা’ সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে জানুয়ারিতে। মেরিনা মুভিজের ব্যানারে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন মাহমুদ হোসেন মুরাদ। সাগর গ্লিটজকে জানান, কমেডি-অ্যাকশন ধাঁচের সিনেমাতে সাগর ও শম্পা অভিনীত চরিত্রের নাম রাজ ও লেখা। সাগর ও শম্পা অভিনীত আরও দুটি সিনেমা মুক্তির দিন গুণছে। এগুলো হল হাসান কামরুলের ‘এক্সকিউজ মি’ এবং মামুন খানের ‘লাভ ইউ প্রিয়া’। ‘এক্সকিউজ মি’ অ্যাকশন ধাঁচের ও ‘লাভ ইউ প্রিয়া’ রোমান্টিক ধাঁচের গল্পে নির্মিত হয়েছে।
‘লাভ ইউ প্রিয়া’ সিনেমাতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শম্পা। সাগর একজন সহকারী চিত্রপরিচালকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এতে দেখা যাবে, গ্রামের সাধারণ মেয়ে কোহিনূরকে চলচ্চিত্রপাড়ায় নিয়ে আসেন সাগর। কোহিনূরের নতুন নাম হয় প্রিয়া। পুরোদস্তুর পরিচালক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর সাগর ভাবেন, একদিন প্রিয়াকে নিয়ে একটি সিনেমা বানাবেন। কিন্তু তার আগেই প্রিয়াসাফল্য পেয়ে যান চলচ্চিত্রে। তখন সাগরকে ভুলে যান তিনি। সাগর হাল ছাড়েন না। একদিন সাগর সত্যিই পরিচালক হয়ে ওঠেন। সাগর ও শম্পা অভিনয় করছেন ফেরদৌস রেজার ভৌতিক সিনেমা ‘ওয়ান ওয়ে রোড’-এ। এদিকে শম্পা আশিকুর রহমানের ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’ সিনেমাতে অপূর্বের বিপরীতে অভিনয় করছেন।
জীবনের ২৭টি বসন্ত পেরিয়ে রোববার ২৮ বছরে পা দিয়েছেন বলিউডি অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। জন্মদিনের শুভক্ষণে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন টিনসেলের বাসিন্দারা। ২০১৩ সালে পরপর চারটি ১০০ কোটি রুপির উপর আয় করা সিনেমা উপহার দিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন দীপিকা। হাল সময়ের ওই ‘হট ফেভারিট’ অভিনেত্রীকে টুইটারে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কারান জোহর, ফারাহ খান, প্রিয়াংকা চোপড়ার মতো তারকা।
কারান জোহর টুইট করেন, “শুভ জন্মদিন দীপিকা পাড়ুকোন। আরও শক্তিশালী হন! এ বছরটাও যেন চমৎকার কাটে আপনার, এই কামনা করি! অনেক অনেক ভালোবাসা রইল।”
ফারাহ খানের টুইট, “শুভ জন্মদিন দীপিকা পাড়ুকোন। আপনার উপর এভাবেই আশীর্বাদ বর্ষিত হোক। অনেক ভালোবাসা রইল।”
প্রিয়াংকা চোপড়ার টুইট, “শুভ জন্মদিন দীপিকা ! তোমার মতো অসাধারণ এক বন্ধু পেয়ে আমি খুবই খুশি। কামনা করি এ বছরটাও তোমার দারুণ কাটুক। তোমাকে ভালোবাসি আমি।”
সনু সুদের টুইট, “শুভ জন্মদিন দীপিকা পাড়ুকোন। আপনার উপর যেন সবসময় আশীর্বাদ বর্ষিত হয় এই কামনা করি। আর শুটিং সেটে কেক নিয়ে আসতে ভুলবেন না কিন্তু।”
নতুন সিনেমা ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’এ দীপিকার সহশিল্পী বোমান ইরানি টুইট করেন, “শুভ জন্মদিন দীপিকা পাড়ুকোন। দোয়া করি যেন তোমার উপর এভাবেই আশীর্বাদ বর্ষিত হয়। সামনের দিনগুলো তোমার ভালো কাটুক।”
উদয় চোপড়া টুইট করেন, “শুভ জন্মদিন দীপিকা পাড়ুকোন। অনেক অনেক ভালোবাসা রইল। এ বছর যেন আপনার ভালো কাটে।”
বিপাশা বাসুর টুইট, “শুভ জন্মদিন দীপিকা পাড়ুকোন। এভাবেই ঝলমল করতে থাকো। ভালোবাসা রইল তোমার জন্য!”
২০০৭ সালে ‘ওম শান্তি ওম’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন দীপিকা। এরপর থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১৯ টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে তার। চলতি বছরে মুক্তি অপেক্ষায় আছে দীপিকার তিনটি সিনেমা। এর মধ্যে শাহরুখ খানের সঙ্গে অভিনীত ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ আছে ভক্তদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ মুক্তি পাবে ২৩ অক্টোবর।
Comments (6)
এই ফাঁকিবাজটাকে ধরার অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। কারণ অনেক দিন যাবত কোন গল্প পোষ্ট নাই। শুধু কবিতা। আর কবিতায় মন্তব্য বিরতি চলছে বলে পোস্টে গেলেও মন্তব্য দেই না। এই পোস্টের জন্য মওকাটা পেয়ে গেলাম। হাতের কাছে পাইলে সাইজ করা সহজ হত। কিন্তু সেটা তো সম্ভব না। বিয়ে করলে নাকি অনেকে ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু তাহমিদ মিয়াঁ কেন ঠিক হল না, সেটাই প্রশ্ন। মনে হয় বাচ্চাকাচ্চা নিলে ঠিক হয়ে যাবে। গতপরশু আপনি যূথীর একটা পোস্টে কোন মন্তব্য না করে কয়েকটা আমের ছবি দিয়ে এসছিলেন। যূথী অনেক রাগ করেছে। শেষ পর্যন্ত পোষ্টটাই ডিলিট করে দিয়েছে। যদিও আমি যূথীকে বলেছিলাম, তাহমিদ সবার পোস্টেই ওমন দুষ্টমী করে, কিন্তু ছেলে ভালো। বিয়ে করেছে কিন্তু চ্যাংড়ামি এখনো কমে নাই। তাই সবার পোস্টে একটা করে আলপিন বসিয়ে দিয়ে আসে। তাতেও আমি যূথীর রাগ কমাতে পারি নাই। তাই ভাবছিলাম হাতের কাছে আপনাকে পেলে একটু সাইজ করে দিবো। যূথীর সাথে রাগারাগির ব্যাপারটা নিজেই সুরাহা করে নিবেন আশা করছি।
মন্তব্য এবং পোস্টের তুলনামূলক পার্থক্য নিয়ে পোষ্ট ভালো লাগলো। এই পোস্টেও ফাঁকফোকর দেখে ঠিকই আলপিন বসিয়ে দিয়েছেন। আপনার কপালে সব ব্লগারের মাইর একবারে আছে মনে হয়। হা হা হা। এই পোষ্ট পড়ে যারা মন্তব্যে পিছিয়ে আছেন, তারা হয়তো মন্তব্য বাড়াতে চাইবেন আর যারা পোস্টে পিছিয়ে আছেন, তারা হয়তো পোষ্ট বাড়াতে চাইবেন। প্রতিযোগিতাটা যদি শুরু হয়, তবে নিঃসন্দেহে তা উপভোগ্য হবে। আর ব্লগও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে। তবে তাই হোক। ধন্যবাদ তাহমিদ।
আল্লাহ, যূথী আপু যে আমার উপর রাগ করেছেন জানতামই না। আচ্ছা আজকেই মিটিয়ে ফেলছি। আর ব্লগারদের মাইর না খাওয়ার জন্যে আগেই বলেছি, প্লিজ কেউ সিরিয়াসলি নিবেন না।
পোষ্টদাতা আর মন্তব্যকারীদের নিয়ে ভালই তো এ্যানালাইসিস করেছেন ভাই। ভালই হলো আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে লিখক/পাঠকগণ তাদের পোষ্ট এবং মন্তব্যের পার্থক্যটা অনুধাবন করতে পারবেন। বেশ চমৎকার উদ্যোগ নিয়েছেন। আপনার এ্যানালাইসিস চালিয়ে যান, শুভকামনা রইলো।
হি হি হু হু হা হা, আমি তাইলে এ্যানালিস্ট হইতে পারছি।
আপনার এনালাইসিস ভাল লাগল। মাঝে মাঝে এমন এনালাইসিস চলতে থাকলে ব্লগটা জমজমাট থাকবে আশা করি।
ধন্যবাদ।
ইনশাল্লাহ, তাই হবে।