দিন কয়েক আগে এক বাসায় বেড়াতে গিয়েছি। মায়ের বান্ধবীর বাসা। মা সেখানে প্রায়ই যায় কিন্তু নানান ব্যস্ততায় আমার যাওয়া হয় না। এবার তাই দাওয়াত সহ জরুরী তলব। গেলাম। এই কথা সেই কথার পরে খাওয়ার সময় হয়ে এলো। টেবিলে খাবার বিছিয়ে দেয়া হলো। তিনটি ডিশে তিন আইটেম। একটা পাতিলে ইলিশ পোলাও। ইলিশ আমি খাইনা। এলার্জীর প্রবলেম। তাছাড়া অন্যের বাসায় যেয়ে মাছ খেতে ইচ্ছে করছিলো না। যাহোক, আরেক ডিশে সালাদ। এবং ৩য় ডিশে একটা আইটেম। কিন্তু বোঝা যাচ্ছেনা সেটা কি! মাছের ভাজা ও হতে পারে, আবার বেগুন ভাজা বলেও মনে হচ্ছে। টুকরোগুলোকে কাচা ধনিয়া পাতা দিয়ে ঢেকে রাখা। যাহোক-
প্লেটে ইলিশ মাছ বাদ দিয়ে বেছে বেছে শুধু পোলাও তুলে নিলাম। বেগুন ভাজা মনে করে ২পিস তুলে নিলাম প্লেটে। আর তুলে নিলাম সালাদ। দুই চামচ। দেখতে মনে হচ্ছে বেগুন ভাজা কিন্তু বেগুনের স্বাদ তো লাগছে না। তাহলে এটা কি? কচু নাকি? দাওয়াত দিয়ে মানুষে কচু খাওয়ায়? ছিঃ !
এই নিয়ে ব্যাপক হাসাহাসি হলেও কিছুক্ষণ পরেই জানা গেলো সত্যিই এটা কচুই। কিন্তু কীভাবে রেধেছে? মজা লাগছে তো খুব! ক্ষুধা বাড়িয়ে দিয়েছে দ্বিগুণ!
আন্টিকে জিজ্ঞাসা করতেই উনি গপ্পো শুরু করলেন-
| |||||
|
শুনে তো আমার খুউব পছন্দ হলো। মুখে লেগে রয়েছে সেই স্বাদ এখনো। একদিন বানাতে হবে।
ওদিকে সালাদ দু চামচ নিয়ে মনে হয়েছে আরেকটু নেই। প্রথমবার সালাদ পাতে নিয়ে কিছুটা খটকা লেগেছে কি দিয়ে যে বানালো! কারণ গাজর আর শসা কুচি করে সালাদ বানিয়েছে বুঝলেও স্বাদ সেরকম লাগছে না, খাবারের স্মেলও তা ভাবাচ্ছে না। তাহলে এটাও কি আলাদা কিছু? সেটা খোলাসা হয়ে গেলো চামচে করে ২য় বার পাতে তুলতেই। গাজর ও শসার সাথে পাতে উঠে এলো কাচা চিনাবাদাম আর জাম্বুরার টুকরা। কিন্তু টক ভাব কীভাবে হলো? সেটা জানা গেলো জিজ্ঞাসা করে। লেবু চিপে রস দেয়া হয়েছে সালাদে।
বাহ দাওয়াত খেতে গিয়ে দুটো খাবারের আইটেম চেনা হলো। এগুলো নিজের বাসাতেও কোন দাওয়াতে করে দেখানো যাবে। আপনিও করুন আপনার বাসায় এবং চমকে দিন আপনার অতিথিকে।