দূর আকাশ থেকে কিছু জল জানালার পাশে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা ইটের দেয়ালে আছড়ে পড়ছে ,শব্দহীন সে মিলন। জানালার চারটি ছোট ছোট ভাগ। প্রতিটি ভাগে আছে দেড় ফুটের সরু তিন টুকরা কাঁচ। ঠিক এমন দুটি ভাগ সেদিন খোলা অবস্থায় আকাশ দেখার আয়োজন করছিল। দেয়ালের উপর জল পড়ে যে বিভক্তির সৃষ্টি হচ্ছিলো তার কিছু ছিটেফোঁটা জানালার খোলা অংশ দিয়ে প্রবেশ করছে আর মেঝে ভিজিয়ে জলের ধরায় নেমে আসার সার্থকতা বুঝিয়ে দিচ্ছে। প্রায়ই জানালার দুয়েকটা ভাগ এভাবে উন্মুক্ত রেখে প্রতিবেশীর মুখদর্শনে বেরোয় তিথি। ঘরে অষ্টপ্রহর বসে থাকতে ভাল লাগেনা তার। ছ’মাস হলো তিথির বিয়ে হয়েছে। বেলা দুইটা; কিছুক্ষণ আগেই তার ঘর কর্তা বের হয়েছে। রোজ রুটিন করে বাসা থেকে বের হয়। কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার কথা ব’লে। কিন্ত আদৌ কোন কর্মের কর্মী কিনা সে এবং তার উপার্জনই বা কত, এসব কিছু তিথির এখনো অজানা। প্রতি মাস শেষে বাসা ভাড়া নিয়ে ঝামেলাগুলোর বারআনাই তিথির পোহাতে হয়। তিথির শৈশব ছিল একদম গল্পের মত, যেমনটা আমরা চাই ঠিক তেমন। ছুটোছুটি করে এ গ্রাম থেকে ও’গ্রাম চষে বেড়ানো। নদীর তীরে মাটির রাস্তায় রোজ সাইকেল চালানো ছিল তিথির পছন্দের কাজ গুলোর মধ্যে একটি। ছেলেদের দলের সঙ্গে মিশে গিয়ে দন্ডগুলি খেলা, এমনকি সে দলের কাপ্তান। কাকাবাবু, দাদামশাই সবারই প্রিয় নাম ছিল তিথি। এখনকার তিথির সাথে ঐ তিথির মেলবন্ধন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তিথি খুব ভাল কবিতা লেখে। যখন খুব একাকী মনে হয় নিজেকে বসে পড়ে ডায়েরি আর মা’র দেয়া কলমটা নিয়ে। দুই দণ্ড করে এগোতে এগোতে ডায়েরির একটা করে পৃষ্ঠা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু তিথি লিখেই চলে। তার এ পর্যন্ত আসতে ট্রেনের যে বিশাল অবদান, সে কথাটুকুও মহাজাগতিক ভাষা দিয়ে লিপিবদ্ধ করে।
Comments (0)
দেশের পরিস্থিতি ভাল না থাকায় এবং ঢাকার বাইরে নরসিংদীতে বসবাস করায় একান্ত ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করতে পারিনি। এই জন্য মন খুবই খারাপ ছিল সারাদিন। সবাইকে মিস করছি। আমি ফোন করে কর্তৃপক্ষকে এ খবর জানিয়েছি। আমার ঠিকানা সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে কুরিয়ার সার্ভিসে পুরস্কার পাঠিয়ে দিবেন। অপেক্ষায় রইলাম। ঢাকায় আসলে অবশ্যই নক্ষত্র ব্লগে যোগাযোগ করব। আমি আবারও ঠিকানাটি দিয়ে দিলাম-
যোগাযোগ:
আমির হোসেন
আমির ডিজিটাল কম্পিউটার্স এন্ড ট্রেনিং সেন্টার
নরসিংদী সরকারি কলেজ মূল গেইট সংলগ্ন
নরসিংদী।
মোবাইল: ০১৭১০-৮৩১৯১১
ধন্যবাদ আপনাকে। কাল আপনার ঠিকানায় পুরস্কারটি পাঠানো হবে।
গ্রুপ ছবিতে কে কে আছেন তাদের পরিচয়টা দিলে ভাল হতো। আশা করি যার যার পরিচয়টা এই মন্তব্যের নিচে দিয়ে দিবেন।
বা থেকে নুছরাত জাহান আজমীর পক্ষে এসেছেন তার কাজিন ভাই- রাতুল, পাশে আমি-জাকিয়া, কবি ফাতিন আরফী, উম্মে হাবীবার বোন, পেছনে স্যার, সবুজ পাঞ্জাবীতে মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকী, পেছনে কবি চারু মান্নান, মোকসেদুল ভাই, নাজনীন পলি এবং সর্ব ডানে উম্মে হাবীবা আপা।
একটি দুর্সংবাদের কারনে যেতে যেতেও উপস্থিত হতে পারলাম না আজ। খুব খারাপ লেগেছে । তবে তার থেকে খারাপ লেগেছ আপনকে যখন চিরতরে বিদায় জানাতে হয়। সকল প্রস্তুতি নেয়া শেষ নক্ষত্রের উদ্দেশ্যে ৩ টার দিকে রওনা দেবে একটি কল সব কিছু এলোমেলো করে দিলো। আমার মায়ের মামা মানে আমার নানা তিনি এই আলোর ভুবন থেকে চিরতরে আপন দেশে পাড়ি জামালেন। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আপনাদের নিকট নানার জন্য দোয়া চাই।
আগামীকাল হাতিরপুল কাজ আছে কাজ শেষ করে যদি সময় পাই অবশ্যই দেখা করবো। যদি এই সুযোগ থাকে।