Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

আহসান কবির

৮ বছর আগে

কোন পথে হাঁটছে আমেরিকা?

পুরোনো এবং বহুল প্রচলিত কথাটা দিয়েই লেখাটা শুরু করা যেতে পারে আমেরিকা যার শত্রু তার বন্ধুর প্রয়োজন হয় না! তবু আমেরিকার বন্ধুত্ব পেতে মরিয়া যেন হাতে গোনা চার পাঁচটি বাদে পৃথিবীর সব দেশ ২০১৫ সালের শেষে এসে আমেরিকার রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নামের এক ব্যক্তির (এর আগে অনেক জঘন্য মানবতাবিরোধী কাজের জন্য আমেরিকা হাজার বার নিন্দার সম্মুখীন হয়েছে কিন্তু এমন হয়তো কখনও হয়নি ) একটা অশ্লীল উক্তির জন্য আমেরিকা যেভাবে আলোচনায় এসেছে তার একটা সুদূরপ্রসারী প্রভাব হয়তো ভবিষ্যতেও থেকে যাবে তবে ট্রাম্পের কথায় আসার আগে আমেরিকা সম্পর্কে প্রচলিত কিছু কথা মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া যেতে পারে

এক. শয়তান বলে যদি সত্যি সত্যি কিছু থাকে তাহলে তার নাম আমেরিকা! পারমানবিক বোমা মেরে জাপানের দুটো শহরের লাখ লাখ মানুষ মেরে ফেলা শুধু আমেরিকার পক্ষেই সম্ভব।

দুই. সাপ আর ব্যাঙ, বন্ধু কিংবা শত্রুকে একই সঙ্গে চুমু খাওয়ার রেকর্ড একমাত্র আমেরিকার।

তিন. পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সংঘাত রাজনৈতিক অচলাবস্থা, জ্বালাও-পোড়াও আর ভাঙচুর অবস্থা কার্যকরী রাখার আমেরিকার যে রেকর্ড তা ভবিষ্যতে আর কেউ ভাঙতে পারবে বলে এই পৃথিবীর মানুষ মনে করে না! আমেরিকা একসময়ে পানামার কুখ্যাত একনায়ক ম্যানুয়েল নরিয়েগাকে সমর্থন দিয়েছিল আবার এই আমেরিকাই একটি দেশের সার্বভৌমত্বে ন্যূনতম ভদ্রতা না মেনে নরিয়েগাকে ধরে এনে তাদের দেশে বিচারের সম্মুখীন করেছিল। বিশ্ব মানবতা বা ভদ্রতাকে থোড়াই কেয়ার করে এরা, যখন তখন গ্রানাডা, পানামা কিংবা সিরিয়া ইরাকে সৈন্য নামিয়ে হামলা চালাতে পারে। সিআইএ আমেরিকার ষড়যন্ত্রে বিশ্বখ্যাত নেতাদের যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা আর কখনও হবে কিনা সন্দেহ আছে। হতে পারে সেটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কিংবা চিলির আয়েন্দে, কবি লোরকা কিংবা ঘানার প্যাট্রিস লুমুম্বার মতো বিশ্বমাপের নেতা! লিবিয়া আর ইরাককে কার্যত দোযখ বানানোর পর এখন সিরিয়াকে সেদিকে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে আমেরিকা

চার. গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দেবতা আর সব মত পথের সহাবস্থানের মোড়ল খ্যাত আমেরিকার পক্ষেই সম্ভব বর্ণবাদের পক্ষে থাকা।দক্ষিণ আফ্রিকা আর রোডেশিয়ায় (বর্তমান জিম্বাবুয়ে) বর্ণবাদ টিকিয়ে রাখতে ইংল্যান্ডের পাশে আমেরিকার শক্ত অবস্থান ছিল। তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সামরিকতন্ত্র টিকিয়ে রাখার একমাত্র গডফাদার হচ্ছে আমেরিকা। হতে পারে সেটা আফ্রিকা কিংবা এশিয়ার কোনও দেশ। বিশ্বজুড়ে আমেরিকা আসলে এমন এক বন্ধু যাকে অন্যরা বন্দুক মনে করে। মানুষের চেয়ে বন্দুক কিংবা বোমা আমেরিকার খুব প্রিয়! আমেরিকা সম্ভবত সে পথেই হাঁটছে। নাহলে ট্রাম্প এভাবে কথা বলবে কেন?

পাঁচ. গণতন্ত্রের কথিত দেবতা আমেরিকার খুব প্রিয় রাজতন্ত্র। অটোম্যান সাম্রাজ্যের পতনের পর মধ্যপ্রাচ্যের অনেকগুলো দেশে রাজতন্ত্র চেপে বসে যাদের একমাত্র গডফাদার আমেরিকা। সৌদি আরব, কাতার, ওমান, জর্ডান কিংবা সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক চোখে পড়ার মতো। ইসলামি মৌলবাদী অভিযোগে সারা পৃথিবীতে যারা নিন্দার ঝড় কুড়াচ্ছে সেই আইএস (ইসলামিক স্টেট) সৌদি আরব আর কাতারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান এবং আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠেছে। আসলে সৌদি আরবের শিয়াবিরোধী মনোভাবের সশস্ত্র বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে আইএস। একারণে লিবিয়া ইরাককে আমেরিকা যেভাবে ধ্বংস করতে চেয়েছে, যেমন করে আগ্রাসন চালিয়েছে সিরিয়াতে, তেমন করে আমেরিকা আইএস বিরোধী অভিযান চালাতে চায়নি। যদিও আইএস এর বাহ্যিক বহিঃপ্রকাশ আমেরিকাবিরোধী

ছয়. আমেরিকার লেবাসটা যত সুন্দর, তারাই শ্রেষ্ঠ বলে তাদের প্রচার প্রপাগান্ডা যতোটা আধুনিক, তাদের সাম্রাজ্যবাদী চরিত্র ততোটাই কলঙ্কিত। পাকিস্তানিরা যেমন এদেশের প্রত্যেক হিন্দুকে শত্রু এবং বিধর্মী বা কাফের মনে করতো আমেরিকাও যখন যাকে শত্রু বা কাফের বানানোর দরকার মনে করে সেটা নিমেষেই বানিয়ে ফেলে! ইরাকের সাদ্দাম হোসেন একদা ফুলে ফেঁপে উঠেছিল আমেরিকার কল্যাণেই! আবার সেই সাদ্দামের জন্যই তারা ইরাক আক্রমণ করে দেশটাকে প্রায়

১ Likes ১ Comments ০ Share ৩৬৬ Views

Comments (1)

  • - মাসুম বাদল

    খুব খুব ভাললাগা জানালাম 

    emoticonsemoticonsemoticons

    • - এই মেঘ এই রোদ্দুর

      আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে

    - কামরুন নাহার ইসলাম

    অস্বাধারণ আপু!!! অনেক অনেক শুভেচ্ছা!! 

    • - এই মেঘ এই রোদ্দুর

      আন্তরিক ধন্যবাদ আপি

    - সুমন সাহা

    অনেক ভালো লাগলো আপা।

    মন কথনিকা মনের কথা বলে গেল।

    শুভেচ্ছা জানবেন। ভালো থাকবেন। সবসময়।emoticons

    • - এই মেঘ এই রোদ্দুর

      অসংখ্য ধন্যবাদ