একদিন হটাত করে পরিচিত একজন ফোন দিল, সে তার স্ত্রীর সাথে ছাড়াছাড়ি(ডিভোর্স) করবে। অনেকদিন ধরেই ওদের পরিবারে ঝামেলা চলছে জানি কিন্তু হটাত করে পুরো ডিভোর্স! কৌতহল নিয়ে বললাম, "আচ্ছা ভালো কথা, সেক্ষেত্রে আমি কি করতে পারি" । "তাহলে আমি বাচ্চা নিয়ে কি করব" -- ছেলেটির স্ত্রী কনফারেন্সে জবাব দিল। আমিতো অবাক, ক'দিন আগে শুনলাম তাদের কোন বাচ্চাই হবে না, এখন আবার বাচ্চা আসলো কোত্থেকে! নিজেকে একটু স্বাভাবিক করে বললাম, "আচ্ছা, তাহলে তো বিষয়টা খুব সমস্যার। আ... আ... তোমরা নিজেরা কি ভাবছ।" তারা দু'জনেই উত্তর দিল যে তারা বাচ্চা আবোরশন(বাচ্চার ভ্রূণ নষ্ট করে বাচ্চা মেরে ফেলা) করবে। আমি চমকে উঠলাম, "কি অবস্থা, এরা আগেরবার একটা বাচ্চা নষ্ট করছে আবার এখনও", আমার খুব রাগ হলো। আমি স্রেফ বলে দিলাম, "আমি এতে নেই, তোমরা হচ্ছ খুনি, খুনির সাথে আমি নেই"-- ফোনটা কেটে দিলাম।
আধ ঘন্টা পরে ঐ স্ত্রী ফোন দিল। আমার কাছে পরামর্শ চাইল। আমি তাকে অনেকভাবে বাচ্চাটা নষ্ট না করতে অনুরোধ করলাম। আমার অনুরোধেই হোক আর অন্য কোন কারনেই হোক, তাদের সম্মতি সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত মেয়েটি বেঁকে বসে যে সে আর বাচ্চা নষ্ট করবে না, এমনকি ডিভোর্সও না। হাজবেন্ড তো ডিভোর্স করবেই। কিন্তু মুশকিল হল, স্ত্রী গিয়ে উঠল ছেলের চাচার বাসায়. শেষ পর্যন্ত, ওদের আর ডিভোর্স হলনা। তবে, মেয়েটি প্রথম দিনই আমাকে বলেছিল, "এবার বাচ্চা নষ্ট করতে তার ভয় করে-- কারন ডাক্তার তাকে বলেছেন, আবার আবোরশন করলে চিরতরে মাতৃত্ব নষ্ট হয়ে যেতে পারে।" হয়ত এ কারনেই বাচ্চাটা বেঁচে গেল!
যাই হোক, সেই শিশুটি আজকে পৃথিবীতে এসেছে মাত্র ছয় মাস বয়সে।কিন্তু সে কি কখনও ভাবতেও পারবে যে তার মায়ের স্বামী অথবা গর্ভধারিণী মা তাকে হত্যা করতে চেয়েছিল-- তার এই পৃথিবীতে আসাকে অর্থহীন মনে করেছিল। সে কি জানবে তা?
না জানলেও ক্ষতি নেই, তোর জীবনটা যেদিন বাঁচাতে বলেছি, আশীর্বাদটা তো তখনই দিয়ে দিয়েছি। ভালো থাকিস। তবে ওদের ছায়া মারাস না কোনদিন।
Comments (10)
আমি মুর্খ, কিচ্ছুটি বুঝি না
প্রিয় কামাল ভাই, হাসালেন। মন্তব্য পড়ে মজা পেলাম। তবে মুর্খ বানানে দীর্ঘ ঊ-কার হলেই মনে হয় ভালো হতো। শুভকামনা সতত।
খুব সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ আর শুভকামনা রইল।
শাহিদুল ভাই,
কেমন আছেন ?
এমন কঠিন কবিতা.....কিছ্ছু বুঝলাম না।
কবিতার ব্যাখ্যা সহ বর্ননা দিবেন প্লিজ।
ভাল থাকবেন।