দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটের জন্য আমরা কেউ বিএনপিকে আবার কেউ আওয়ামীলীগকে আবার কেউ দেই দু’টোকেই দোষ দিচ্ছি।এটা ইদা আমাদের সহজা তপ্রবৃত্তি তেপরিণ তহয়েছে। এতে করে আমাদের সমস্যার মূলে যাওয়া হয়না।তাই সমস্যাগুলো স্থায়ী হয়ে আমাদের মাঝে নিজেদের আসন পাকাপোক্ত করে নিচ্ছে দিনের পর দিন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আমরা তিনটা নির্বাচন দেখলাম।এর সফলতা এবং বিফলতা নিয়ে কথা বলতে গেলে অনেক কিছু বলতে হবে, যা হয়তো এখানে বলেই শেষ করা যাবেনা।তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তৃতীয়বারের বেলায় জনগণ সুখে থাকলেও আমাদের রাজনীতিবিদরা সুখে ছিলেন না। তারপরও একদল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চাচ্ছেন, যারা এর জন্মটাই স্বীকার করতে চান নাই। আবার একদল এটাকে সংবিধান থেকে বিতাড়িত করেছেন, যারা নিজেরাই লগি বৈঠা নিয়ে এই সরকার ব্যবস্থার সৃষ্টি করেছিলেন।দুঃখজনক হলেও সত্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনের নির্বাচনও কোন পরাজিত পার্টি কখনো মেনে নিতে পারে নাই। সোজা কথা যার সন্তান, সে এখন অস্বীকার করছে।আর যার সন্তান না সে এখন এটার দাবীদার।তবে দু’জনের আসল উদ্দেশ্য কিন্তু এক, ক্ষমতালাভ। একজন ধরে রাখতে চান, আর অন্য জন ছিনিয়ে নিতে চান। আমরা বলি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ।যদি তাই বলি তবে কেন আবার আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফিরে যেতে চাই? তবে কী গণতন্ত্রে বিশ্বাস নাই? আর বিশ্বাস যদি থাকে, তবে দু’য়েকটা উদাহরণ দিনতো কোন গণতান্ত্রিক দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাআছে? এই পর্যন্ত যে তিনটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমরা দেখেছি, তিনটাই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রশ্নবিদ্ধ ছিল।এর অন্যতম কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়ে অনেক ধরণের কূটকৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। আমিও দিকে আর যাচ্ছিনা।কারণ সেগুলো বলতে গেলে আরও দীর্ঘহবে। সংবিধান অনুযায়ী এখন যা আছে, সেটাই গণতান্ত্রিক।
একদল ক্ষমতায় গেলে, আরেক দল তাকে টেনে নানামানো পর্যন্ত আন্দোলনের নামে দেশে সহিংসতা থামেনা।এটাই হয়ে আসছে প্রতিবার। তবে এখনো এসব টানাটানি বন্ধ করা সম্ভব এবং দেশে গণতন্ত্রও প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব, যেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোন দরকার পড়বেনা। এটা করতে হলে, নির্বাচন কমিশন কে সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন এবং শক্তিশালী করতে হবে। শুধু কাগজে কলমে হলে হবেনা। বাস্তবেও হতে হবে। বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন করে দিতে হবে।এরওপর কোন ধরণের নিয়ন্ত্রণ রাখা যাবেনা। দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করতে হবে।এর ওপর কোনভাবেই যেন কোন রাজনৈতিক দল প্রভাব খাটাতে না পারে। আমলাতন্ত্রের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে।প্রতিটা দলে তৃনমূল পর্যায় থেকে গণতন্ত্রের চর্চা করতেহবে। শিক্ষার হার কাগজে কলমে না বাড়িয়ে বাস্তবে বাড়াতে হবে।তবে এই অপশনটা একটু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু সুস্পষ্ট পরিকল্পনার মধ্যে থাকতে হবে।দুঃখের ব্যাপার হল এ সব বিষয়ে কোন রাজনৈতিক দলই কথা বলেন না। কথা বলেননা তারা জনগণের কোন সুবিধা অসুবিধা নিয়ে। তাদের সব আন্দোলন, তাদের সব তত্ত্ব শুধু ক্ষমতায় যাওয়া আর ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য।
Comments (15)
আহা! ব্যাপক।
শুভেচ্ছা বাবুল, ভালো লাগা রইল। আজকের সকালে এই লেখা পড়েই দিন শুরু হল। নাইস
চমৎকার...
ধন্যবাদ মাসুম বাদল।