আমরা জানি ডিম শরীরের খুব প্রয়োজনীয় উপাদান প্রোটিনের বড উৎস । কিন্তু তাই বলে কি ভুড়ি ভুড়ি ডিম খেলেই চলবে নাকি? আমরা সাধারনত ডিম ভেজে বা রান্না করে খাই। আবার ডিম অনেকেই কাঁচা খায় । কিন্তু ডিম কাঁচা খাওয়া ঠিক নয় । কেন ঠিক নয় সেটা জানতে হলে নিচে পড়ুন- একটি ডিম এ রয়েছে সব ধরনের প্রয়োজনীয় এমাইনো এসিড, ভিটামিন এ, ডি , ই, বি২, বি৯, বি৬। এছাড়াও রয়েছে Choline , আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম। ডিমের সাদা অংশের ৮৭% জল আর ১৭ % প্রোটিন , কোন কোলেস্টেরল ও ফ্যাট নেই। ডিমের সাদা অংশ হতে ১৫ ক্যালরী শক্তি পাওয়া যায়। ডিমের কুসুম অংশে একটি বড় ডিমে ( ৫০ gm) ৫ gm ফ্যাট থাকে যার ২৭% হল স্যাচুরেটেড ফ্যাট যাতে কোলেস্টেরল থাকে । একটি ডিমের কুসুমে ৩০০ mg কোলেস্টেরল থা কে যা প্রতিদিন যেই পরিমান কোলেস্টেরল খাওয়া উচিত তার ২/৩ অংশ। ডিমের কুসুমে কোলিন নামক একটি প্রোটিন থাকে যেটি মস্তিস্ক গঠনে ভুমিকা রাখে। তাই গর্ভবতী ও বুকের দুধ খাওয়ানো মায়ের খাদ্য তালিকায় ডিমের কুসুমের উপস্থিতি বাঞ্ছনীয়। যদিও ডিম উপকারী কি অপকারী এই নিয়ে অনেক গবেষনা হয়েছে। কিছু গবেষনা বলছে ডিম এর কোলেস্টেরল শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আবার কিছু গবেষনা বলছে প্রতিদিন ১টি করে ডিম খাওয়া একজন স্বাভাবিক মানুষের জীবনে স্ট্রোক বা হার্ট ডিজিসের কোন ভয়ের কারন হতে পারেনা বরং শরীর গঠনে সহায়ক। ২০০৯ তে ২১০০০ জনের মধ্যে একটি গবেষনায় দেখা গেছে, সপ্তাহে ৬ টি ডিম মোটেই কোন প্রভাব ফেলে না স্ট্রোক বা হার্ট ডিজিসে। তবে সপ্তাহে ৭+ ডিম ক্ষতির কারন হয়ে দাড়াতে পারে। ডায়বেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ডিমের কুসুম ক্ষতিকর। এমনকি একটি গবেষনায় দেখা গেছে অতিরিক্ত ডিম খাওয়া টাইপ ২ ডায়বেটিস এর একটি কারনও বটে। ডিম এর মাধ্যমে কিছু রোগ ছড়াতে পারে বার্ড ফ্লুর মত কঠিন রোগ ছাড়াও । ডিমের গায়ে লেগে থাকা পায়খানা থেকে এমনকি ডিমের ভেতরে ও Salmonella enteritidis and Salmonella typhimurium নামক জীবানু থাকতে পারে। যা স্বাস্থ্য ঝুকির কারন । তাই ডিম অবশ্যই কাঁচা খাবেন না।