একশত পাতা কবিতা পড়বো ব’লে
চৈত্রের দুপুরে শিংমাছের ঝোল দিয়ে---
নুন ছাড়া দুই থালা ভাত বিসর্জন দিয়েছি।
ফ্যাকাশে স্বপ্নগুলো সস্তায় ঘুমের আরত হতে কেনার প্রতিজ্ঞা করেও
এক বিকেল বর্ণিল আলো এনে
কবিতার চোখে ঢেলে দিয়েছি।
কঙ্কালসার নির্মাণরত দালানে
নয়টি চড়ুই পাখির গড়াগড়ি দেখেও ফিরিয়ে এনেছি দৃষ্টি,
একশত পাতা কবিতা পড়বো ব’লে।
আমার আজ্ঞাবহ বালিশটিকে
আরাম প্রিয় মস্তিষ্কের আঘাতে আহত করেছি শতবার।
আকাশ থেকে যখন তখন খসে পড়া----
প্রেমিকার স্মৃতিচিহ্নময় হাহাকার ”ধুর ছাই “ বলে তাড়িয়ে দিয়েছি।
গত সকালে বাড়ির গেটে মৃত কাক নিয়ে
কবিতা লেখার প্ল্যাট ফর্ম ডুবিয়ে দিয়েছি
ভাবের অতল বুড়িগঙ্গায়।
সন্ধ্যের ছায়াতে বিকেল ঘুমিয়ে পড়ে,
সুতো ছেড়া দৃষ্টিরা ঘুরপাক খায় শব্দের অলিতে গলিতে।
কবিতার গায়ে আঙুলের ছাপ
প্রতিটি ছাপে জীবনের যতি চিহ্ন।
আমার একরোখা ইচ্ছেগুলো কবিতার একশ পাতা খুঁজে পায়।
ধার করে আনা কবিতার বইতে পৃষ্ঠা থাকে বেশি,
ফেরত দিতেই যত অলসতা।
আসর মাগরিবে প্রশ্ন করি বিধাতার কাছে
”জীবন ! একি অসংখ্য পৃষ্ঠায় কবিতার একটি বই ?”