উপমহাদেশের সংগীত জগতের মহান কিংবদন্তী মান্না'দে ৯৪ বছন বয়সে আজ ভারতের স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে তিনটায় Bengaluru হসপিটালে মারা যান। গত কয়েক মাস যাবত তিনি ফুসফুসের সংক্রামন ও মূত্রাশয়জনিত জটিলতায় ভুগছিলেন। গতকাল বুধবার তার অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের নিবিড় পিরিচর্যা কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল তাকে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি তার কন্যার বাসায় একসাথে বসবাস করছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি হলে পশ্চিম বঙগের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তার সাথে শেষ সাক্ষাৎ করেন।
মান্নাদে'র পারিবারিক নামঃ প্রবোদ চন্দ্র দে, জন্ম ১৯২১ সালের পহেলা মে। খুব ছোটবেলায় তার সঙ্গীতে হাতেখড়ি হয়েছিল। ১৯৪২ সালে তামান্না ছবিতে প্লেব্যাক শিল্পী হিসাবে যাত্রা শুরু করে তিনি সংগীতের জগৎ আলোকিত করে রাখেন। ১৯৪২ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত চলচ্চিত্রের জন্য তিনি চারহাজারের উপর গান করেছেন। আর ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ছিলো তাঁর সংগীতে হিরন্ময় যুগ। বাংলা ও হিন্দি গানের পাশাপাশি তিনি ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় গান গেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। আওয়ারা, বুটপালিশ, শ্রীমতি ৪২০, মেরি নাম জোকার, পারদেশী, কাবুলীওঢালা, সীতা আউর গীতা প্রভৃতি চলচ্চিত্রের তার অসংখ্য গান অসম্ভব জনপ্রিয়তা পেয়েছিল । ’কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই, যদি কাগজে লিখো নাম, আমায় চিনতে কেন পারছো না ইত্যাদি তার বিখ্যাত কয়েকটি গান।
সঙ্গীত জীবনে ১৯৭১ সালে তিনি ইন্ডিয়ার সরকার সংগীতের এ মহানায়কে পদ্মশ্রী, ২০০৫ সালে পদ্মভূষণ আর ২০০৭ সালে Dadasaheb Phalke পুরস্কার,ফিল্মফেয়ার এওয়ার্ড সহ অসংখ্য পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন।
উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী মান্না দে দীর্ঘ রোগভোগের পর আজ সকালে বেংগুলুরে মৃত্যুবরন করেন। তার মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত। আমরা এই মহান শিল্পীর আত্মার চির শান্তি কামনা করছি।