Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

nushrika mahdeen

১০ বছর আগে

কনকনে ঠাণ্ডায় আরামদায়ক জিন্সপ্যান্ট


শীতে গরম কাপড় ব্যবহার করতেই হবে। তাই বলে বাড়তি পোশাকের চাপে জবুথবু হয়ে থাকাটা কেউই পছন্দ করেন না। তাই সারা বছর না পরলেও অনেক মেয়েই এ সময় বেছে নেয় জিন্সের প্যান্ট। উষ্ণতার পাশাপাশি স্টাইলটাও ধরে রাখা যায়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী উম্মে ফেরদৌস। সাধারণত স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন সালোয়ার-কামিজেই। তবে শীতের সময় জিন্সের প্যান্ট অনেক বেশি আরামদায়ক তার কাছে।

“সোয়েটার বা চাদর পরলেও সালোয়ারের কারণে উষ্ণতা যেন একটু কম পাওয়া যায়। জিন্স এ ক্ষেত্রে আরামদায়ক।” বলেন উম্মে ফেরদৌস। তবে এ ধারণাটি ভুল বলে জানালেন ক্যাট্‌স আই-এর ডিজাইনার রুম্মায়লা সিদ্দিকী। তিনি বলেন, “জিন্স কাপড়টাই ঠাণ্ডা। বাইরের দেশে শীতের সময় যতটা পারা যায় জিন্স পরিহার করা হয়। তবে আমাদের দেশে শীত ততটা জেঁকে বসে না বলেই বোধ হয় সালোয়ারের বদলে জিন্সপ্যান্ট একটু উষ্ণতার জন্য মেয়েরা বেছে নেয়।” শুধু জিন্সের ব্যবহারেই হয়ে উঠতে পারেন অনবদ্য। দরকার একটু অদলবদল। পার্টিতে যদি জিন্স পরতে চান, তাহলে জিন্সের রংটা যেন গাঢ় হয় সেদিকে একটু খেয়াল রাখতে হবে। পায়ে উঁচু হিল, হাতে ছোট একটি পার্টি হ্যান্ডব্যাগ, ব্যবহার করতে পারেন।

টি-শার্ট অথবা জমকালো ফতুয়ার সঙ্গে জিন্স— মোটামুটি যে কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য আপনি তৈরি। এই জিন্সের সঙ্গে যখন পরা হবে কেড্‌স বা চপ্পল এবং হালকা অলংকৃত কাপড়, তৈরি হয়ে যাবে ক্যাজুয়াল অথবা অফিস পরিবেশের পোশাক। এ ক্ষেত্রে জিন্সের রংটা ফেড হলেও অসুবিধা নেই। বিবিয়ানা ফ্যাশন হাউজের লিপি খন্দকার বলেন, “টি-শার্ট, ফতুয়া বেশি জনপ্রিয় হলেও অনেকে তাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। তবে জিন্স চমৎকারভাবে মানিয়ে যাবে শর্ট কামিজ অথবা সেমি-লং কামিজের সঙ্গে। পরতে পারেন ওড়না। তবে স্কার্ফও আনবে নতুনত্ব।”

“যাদের গড়ন একটু ভারীর দিকে, স্ট্রেইট কাটটা তাদের মানাবে ভালো” বললেন রুম্মায়লা। “লম্বা ফতুয়া ও কামিজ পরলে একটু শুকনো দেখাবে। যারা শুকনো তারা যেকোনো কাটই পরতে পারেন। পা মোটা বলে যারা অস্বস্তি বোধ করেন, তারা অনায়াসে পরতে পারেন স্ট্রেইট কাট জিন্সের সঙ্গে লম্বা ফতুয়া বা শর্ট কামিজ।” পরামর্শ দিলেন রুম্মায়না।

পছন্দের জিন্সটা কিনে নিতে পারেন যেকোনো দোকান থেকে।
জেনে নেওয়া যাক দামসহ দোকানের নাম।

ওয়েসটেকস্‌: ৪৫০-৯৯৫ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে পাওয়ার, ডেনিম, ডিজেল ব্র্যান্ডের জিন্স।
ট্রেন্ডজ: ৭৯৫-৯৯৫ টাকার মধ্যে খুঁজে পাবেন পছন্দসই জিন্সটি এখানে।
এক্সট্যাসি: ডেনিম, গ্যাপ, ভিনটেজ, ডিজেল, ডিভাইনসহ নামকরা ব্রান্ডের জিন্সগুলো পাবেন ১,৩৮০-৩,২৮০ টাকার মধ্যে।
লিভাইস: চলতি কাটে ২ হাজার-৯ হাজার টাকার মধ্যে জিন্স পাবেন এখানে।
ক্যাট্‌স আই: স্টাইল, ডিজাইন, ফেব্রিকের ওপর নির্ভর করে ৯৮০-১,২৫০ টাকার মধ্যে নির্ধারিত দামে খুঁজে পাবেন পছন্দসই জিন্সটি।
তাগা: পিছিয়ে নেই আড়ংয়ের তাগা। ৪০০-৬০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন জিন্সের প্যান্ট।
গ্রামীন ইউনিক্লো: বিভিন্ন ধরনের জিন্স পাবেন ১ হাজার টাকার মধ্যে।

একটু কম দামের মধ্যে কিনতে চাইলে বঙ্গবাজার, নিউমার্কেট ও ঢাকা কলেজের বিপরীতের দোকানগুলো তো আছেই। ২৫০-৬০০ টকার মধ্যে অনায়াসে পাবেন জিন্সের প্যান্ট।
তবে আপনাকে হতে হবে দামাদামিতে তুখোড়। ৫০০ টাকা দাম চাওয়া জিন্স পেয়ে যেতে পারেন ১৫০ টাকায়ও।

জিন্স ধোয়া যায় ইচ্ছেমতো। তেমন কোনো নিয়মনীতি নেই। তবে শুকোনোর সময় উল্টো করে শুকালে ভালো।

ছবি কৃতজ্ঞতায়:
অপূর্ব খন্দকার, ক্যাটসআই, গ্রামীণ-ইউনি ক্লো ও জেনটেল পার্ক।

০ Likes ১৬ Comments ০ Share ৬৪২ Views

Comments (16)

  • - রুদ্র আমিন

    চমৎকার হয়েছে ভাই।

    - গোলাম মোস্তফা

    কবিতায় ভাল লাগা রইল 

    শুভ সকাল এ এক কুপ গরম চায়ের শুভেচ্ছা 

    • - রোদেলা

      আমারেনা এক কাপ দিতে কইলাম।এক কাপ নিয়া আর ক্তো ঘুরবেন?

    - কামাল উদ্দিন

    সবার ভাগ্যে সব জুটেনা 

    কবিতায় ভালোলাগা 

    Load more comments...