আচ্ছা এই আলো যদি আঁধার হয়ে যায়, সে আর ফিরে না আসে কোনোদিন তবে কতদিন আঁধারে বেঁচে থাকবো। আসলেই কী বেঁচে থাকা যায় ? আমি কিংবা আপনি পারবো তো। আমার নিকট উত্তর জানা নেই। পারবেন কী কেউ উত্তর দিতে।
যখন চোখ মেলে আলোকিত পৃথিবী দেখি, দেখি পিতা-মাতার মুখ। মনে হয় বেঁচে আছি। যখন রাত গভীর হয় নিজকে হারিয়ে ফেলি, উম্মাদ নিজেকে নিজেই খেতাব দিই, আর প্রশ্ন সে প্রশ্ন করেই চলে; ভোর হবে তো, শুনতে পারবো কি ফজরের আযান, পাখ-পাখালির কলবর ? নাকি আঁধারে আধারি হবে জগৎ।
ইদানিং ভাবনা গুলো কুরেকুরে খেয়ে চলেছে উলু পোকার মতো, যার আক্রমনে মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকা বাঁশের খুঁটি যেমন দাঁড়িয়ে ঠিক তেমন নিজেকে মনে হয়। অনেকের বাহ্যিক দেখে মনে হয় বেশ আছে, কিন্তু স্পর্শে হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো চুপসে যাওয়া মাংসহীন ঝুলন্ত চামড়া।
যখন স্মৃতির কথা মনে পড়ে, তখন দেখি চোখের সম্মুখ বিশাল বড় প্রজেক্টরে প্রদর্শিত হচ্ছে দিনলিপি। জীবনে পাপ-পূণ্যের অনেক হিসেবে প্রদর্শন হতে থাকে একের পর এক। সাথে প্রশ্ন, বলতে পারিনি স্মৃতি কেন এতো তাড়াতাড়ি মাঘের সকালে পরিণত হয়, কেন মনে হয় ভালো লাগা, ভালোবাসা, মায়া চৈত্রের ইরি ক্ষেত।
পূণ্যের সিনেমায় নিজেকে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতোই মনে হয়। যখন বিরত আসে আর বিরতির পর পাপকর্ম একটির পর একটি ভেসে উঠে, যা স্বাভাবিক থাকা অবস্থায় একটি বার মনে পড়েনি, সেগুলোও ভেসে আসে। হারিয়ে ফেলি নিজেকে। তখন শুধু মনে হয় এই বুঝি দরজায় কেউ একজন ঠক ঠক করে কড়া নাড়ছে। দরজা খুলে দিলেই বলবে, চলো তোমার এখানে আর থাকা হবে না। তোমার জন্য অন্য আরেকটি কক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে।
কত আকুতি মিনতি, কত ডাকাডাকি; কেউ কথা শুনে না। এতো উচ্চস্বরে ডাকাডাকি তবুও না, মুখের ভেতর থেকে এক সময় তরতাজা ফুটন্ত রক্তিম জল বের হয়ে আসে তবুও আমার কথা কেউ শুনে না। সবাই পাশে দেখছি মনে হয় কেউ আমায় দেখছে না।
আসলে ক্ষণিকের পৃথিবীতে কেউ আপনার আপন নয়, আপন বলতে নিজের কর্মকে জানি এবং বুঝি। নিজের কর্মই ক্ষণিকের এ পৃথিবীতে আসমান-জমিন এবং ওপারেতেও ঠিক তাই। এই তো সময়, সময়ের হিসেবটা কেন হিসেব করে চলতে পারি না, কেন মুনুষ্যত্বকে ভুলে গিয়ে পশুত্বে বসবাস করি। কতজন এলো আর কতজন গেলো কেউ কি তার হিসেব রাখি ? পৃথিবীতে আগমনের হিসেবটা সবাই রাখে কিন্তু গমণের হিসেব?
এসো মনুষ্যত্বে মানুষ হই। ধর্মের সাথে ধর্মের কোন্দল নয়। সত্যের সাথে হোক মিথ্যে আর অসত্যের ব্যবধান।
Comments (4)
সেই ফাঁকে-
বালিকা রোদ উকি-বুকি খেলে লুকোচুরি ছলে
আপ্লুত গদ-গদ বর্ষীয়ান মেঘ দ্যাখো-
ঝরে বাদলে...
অনেক ভাল লাগল দাদা
শুভকামনা,
প্রিয় আলমগীর ভাই!!!
চমৎকার লিখেছেন।