Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

বাংলা নিউজ

১০ বছর আগে

এফডিসির বেহাল দশা

এফডিসির আগের রূপ আর নেই। আশির নব্বই দশকে যে রমরমা অবস্থা ছিল তা এখন অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছে। সেরকমই এফডিসির ভিতরে একটি স্থান হচ্ছে "ঝর্ণা স্পট"। রূপ লাবণ্য আর যৌবন হারিয়ে এখন নি:স্ব এফডিসির ভেতর অন্যতম শ্যুটিংয়ের স্থান ‘ঝর্ণা স্পট’। অযত্ন আর অবহেলায় এ স্পটটি এখন ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যেতে বসেছে। অথচ নান্দনিক এ স্পটটি একসময় বাংলা চলচ্চিত্রের শ্যুটিংয়ের জন্য অবধারিত স্থান হিসেবে বিবেচ্য হতো।বিশেষ করে নব্বইয়ের দশকের বাংলা চলচ্চিত্রে দেখানো হত এই ঝর্ণা স্পটের দৃশ্য।

সেখানে এখন গেলে দেখা যায়, অযত্ন আর অবহেলায় ধ্বংস হতে বসেছে এক সময়কার সৌন্দর্যমণ্ডিত এই ঝর্ণা স্পটটি।
   
শুধু তাই নয়, এফডিসির মূল ফটক দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতেই সর্বপ্রথম চোখ যায় সামনের দেয়ালের দিকে। হলুদ দেয়ালগুলি দীর্ঘদিন রঙচঙ না করায় কালচে বর্ণ ধারণ করেছে। যা দেখে সহজে কেউ ভেবে নেবে সে কোন জমিদার বাড়ি বা পুরনো কোন স্থাপত্ব্যে বেড়াতে এসেছে।

হলুদ আর কালচে রঙের দেয়াল পেরিয়ে সামনে এগোলেই চোখে পড়বে রঙিন পর্দার তারকাদের। কিন্তু বিশ্বাস করতে খুব অবাক লাগে যে  ‘এতো সুন্দর মানুষগুলি কিভাবে এই পরিবেশে থাকে। আর কিভাবেই বা এখানে শ্যুটিং করেন। যাই হোক এসব প্রশ্ন পেছনে ফেলে সামনের দিকে চলতে হবে।

কিছুদূর গেলেই হাতের বাম দিকে চোখে পড়বে শুকনো জায়গায় তৈরি করা একটি ব্রিজ।  এই ব্রিজটিকে ঘিরেই রয়েছে সেই র্ঝণা স্পট। চরম আগ্রহ নিয়ে কাছে যেতেই দেখা যায় ব্রিজের আগের গেইটটি তালাবদ্ধ। তবু যেতে হবে সেই র্ঝণা স্পটে। তাই উপায় না পেয়ে লোহার গেট টপকেই ঢুকতে হলো র্ঝণা স্পটের ভিতরে।

ঝর্ণা স্পটে প্রবেশ করেই চোখে পড়ল সব বিস্ময়কর দৃশ্য। র্ঝণা স্পটের মাঝে থাকা সেই ব্রিজটির নিচে মদ,বিয়ারের ক্যান, ফেন্সিডিল, গাঁজা ও সিগারেটের  কাগজসহ পড়ে রয়েছে হরেক রকমের নেশাদ্রব্যের অব্যবহৃত অংশ।

লোহার তৈরি ব্রিজটিতে মরিচার আবরণ পড়েছে। সেখানকার বসার জায়গাগুলিরও বেহাল দশা। শুকনো পাতা আর নানা অবর্জনায় তৈরি হয়েছে ময়লার স্তুপ।

অনেক খোঁজাখোজির পর পাওয়া গেল ঝর্ণাস্পটের দায়িত্বরত  শাহজাহান আলীকে। তিনি জানান এ জায়গাটার নাম ‘ঝর্ণা স্পট’। এখানে আগে ধারণ করা হত বাংলা চলচ্চিত্রের বেশির ভাগ নায়ক নায়িকাদের শরীর ভেজার দৃশ্য। কিন্তু বর্তমানে আধুনিক চলচ্চিত্রে স্পেশাল ইফেক্টের ব্যবহার বাড়ায় এখন আর এই র্ঝণা স্পটের দরকার পড়নো বলে জানালনে তিনি।

গল্পে গল্পে শাজাহান তুলে ধরলেন ঝর্ণা স্পটের হারানো যৌবনের কথা। একটা সময় ছিল যখন এমন কোন নায়ক বা নায়িকা নেই যারা এই র্ঝণা স্পটে শ্যুটিং করেননি।  শাবনূর, পূর্নিমা, পপিসহ প্রায় সব নায়িকায় ভিজেছেন এই ঝর্ণা স্পটের জলে।  কিন্তু প্রায় দুই বছর ধরে আর ঝর্ণা স্পট ব্যবহার না হওয়ায় অযত্ন আর অবহেলায়  যৌবন হারিয়ে আজ নিঃস্ব ঝর্ণা স্পট।

তিনি আরো জানান, চিত্র নায়ক মান্না বিশাল স্বপ্ন চোখে নিয়ে শুরু করেছিলেন এই ঝর্ণা স্পট তৈরির কাজ। কিন্তু তার অকাল মৃত্যুর কারণে আর দেখে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি এই স্পটটি। পরে কাজী হায়াৎ উদ্বোধন করেন এই ঝর্ণা স্পটের।

শাহজাহান বলেন ‘আাগে এখানে অনেক শ্যুটিং হতো। তাই সব সময় ঝর্ণা স্পট অনেক সুন্দর লাগতো। কিন্তু এখন আর এখানে কেউ শ্যুটিং করে না তাই আর এর যত্নও নেয়া হয় না। ’

শ্যুটিং দেখতে আসা নূর অভিযোগ করে বলেন, ‘এই ঝর্ণা স্পটের কাছে আগে আসলে আর ফিরে যেতে ইচ্ছে করতা না। কিন্তু এখন এফডিসিতে আসলে আর এই দিকে তাকাতেও ইচ্ছা হয় না।’

এ ব্যাপারে এফডিসির পরিচালক পীযুষ বন্দোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, ‘এ বছরের জুন মাস থেকে এফডিসির আধুনিকায়ন ও সংস্কার কাজ শুরু হবে। তখন ঝর্ণা স্পটটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে বলেও জানান তিনি।’

তবে তার এ কথায় একদমই আস্থা রাখতে পারছেন না চলচ্চিত্রকাররা। তাদের কথায়, ৪১ বছরে পরিচালক বদল হয়েছে ৩২বার। সবাই বলে কিন্তু কেউ করেনা বলেও জানান তারা।

 

০ Likes ১ Comments ০ Share ৯০৪ Views

Comments (1)

  • - মাসুম বাদল

    গভীর শ্রদ্ধা ও শুভকামনা, তাঁর জন্য...

    • - নূর মোহাম্মদ নূরু

      ধন্যবাদ বাদল ভাই
      শুভেচ্ছা জানবেন

    - ওয়াহিদ মামুন

    জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা। 

    পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

    • - নূর মোহাম্মদ নূরু

       আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
      ভালোবাসা রইলো

    - মেজদা

    আমি গভীর শ্রদ্ধায় তাকে স্মরণ করি। শুভ জন্মদিন

    • - নূর মোহাম্মদ নূরু

       আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মেজ'দা
      শীতের খেজুরি গুড়ের কঠিন ও নিখাদ
      ভালোবাসা রইলো

    Load more comments...