কাঁঠালের আঠা ব্যাবহার করে দুর্বৃত্তরা ATM থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ATM বুথগুলো বরাবরই দুর্বৃত্তদের শ্যেন নজরে থেকে এসেছে। কি দেশে কি বিদেশে। মালয়েশিয়ায় এর আগে লরী ক্রেন ব্যবহার করে পুরো ATM বুথ তুলে নিয়ে গিয়েছিল ডাকাতেরা। ভারতে ATM বুথে মানুষ খুনের ঘটনা আমরা জেনেছি।
এবারের ঘটনা ফিলিপাইনে। টাকা চুরির জন্য ওরা মানি স্লটের ভিতরের দিকে কাঁঠালের আঠা মাখিয়ে রাখতো। কেহ তাঁর কার্ড ব্যবহার করে টাকা উঠাতে গেলে মেশিন টাকা ডিস্পেন্স করতো ঠিকই কিন্তু ঐ আঠায় টাকা জড়িয়ে জ্যাম লেগে যেতো। টাকা না পেয়ে অন্য মেশিনের সন্ধানে লোকটা স্থান ত্যাগ করা মাত্র তস্কর ব্যাটা এসে স্লটের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে টাকাগুলো বের করে নিত।
পুলিশ বলতে পারবে না এপর্যন্ত কতজন এভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন? সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে এপর্যন্ত দুজনকে ধরেছে পুলিশ। ইলেক্ট্রনিক বাটপারি হলেও ওরা যেহেতু ইলেক্ট্রনিক কোন ডিভাইস বা কোন মাধ্যম ব্যাবহার করেনি তাই সে দেশের আইন অনুসারে চোরেদের সর্বোচ্চ ছয় বছরের জেল হবে। ইলেক্ট্রনিক ক্রাইম হলে এ ক্ষেত্রে ওদের ২০ বছরের জেল হতো।
আমাদের দেশেও অহরহ ঘঠছে বিভিন্ন ঘটনা। সচেতনতার অভাব বা অসতর্কতাই যার মূল কারন। আমি আপনাদের একটুখানি সতর্ক করার চেষ্টা করলাম মাত্র।
ভবিষ্যতে যখনই আপনারা কোন ATM বুথে টাকার জন্য যাবেন, আরো একটু সতর্ক হয়ে যাবেন।
Comments (2)
" কোথায় গেল এ্যালবামটা? মায়ের ছবির এ্যালবাম। মিশুকের সবচেয়ে প্রিয় জিনিস। রোজ একবার না দেখলে মায়ের ছবি, মিশুক ছটফট করে। মিশুক যখন তিন বছরের তখন মা অনেক দূরে চলে গেছে। দাদী বলতো, মা আকাশের তারা হয়ে গেছে। এখন মিশুক আর ছোটটি নয়। সে রীতিমত ফাইভে পড়ুয়া ছেলে। ছোটবেলায় দাদীর কোলে তারা দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে যেত। যেন মাকে দেখছে। এখন ও জানে এই ছবিগুলোর মাঝেই মা আছে।"
কথাগুলি মন থেকে অনুভব করার মত, চমকার বর্ণনা, আর কিশোর সাহিত্য পড়ে মা সম্পর্কে নিজের কিছু অনুভুতির কথা শেয়ার করলাম।
খুব সুন্দর মন খারাপের অনুভূতির ব্যাপ্তি। আমি মা হয়ে প্রথম বুঝেছি মা কেনো শাসন করতো। যে আমার শরীরের থেকে আসে সে তো আমার শরীরই! তাই তো সন্তানের স্বার্থে কেমন স্বৈরাচারী হতে ইচ্ছে করে। মায়েরা আর একাকী মিশুকেরা ভাল থাকুক।
----------- মা সম্পর্কে নিজের কিছু অনুভুতির কথা শেয়ার করলাম।
" বুঝার শক্তি যখন জন্মাতে শুরু হলো বেশ বুঝেছিলাম বড় আপা আর আমার মা এক নন, অনুভব করতে পারতাম মা অন্য রকমের একজন। যেমন আকাশে চিল উড়ে আকাশের কোন বিরক্তি নেই, প্রচন্ড শীতে খেঁজুড় গাছ যেমন নিজ দেহ কেটে ফোঁটা ফোঁটা রস বিলায় সারা রাত বা সকালের রোদে ছোট্ট নদীতে বা পুকুরে ছোট ছোট মাছরা আনান্দে ছুটাছুটি করে, খেলা করে মা ঠিক তেমন অথবা পূর্ণীমা রাতে সারা আকাশের মাঝ খানে সেই যে বড় চাঁদ। " .
অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানবেন,অনেক অনেক ভালো থাকবেন আপা।
ট্রাজেডি
গল্পটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব ভালো লাগলো
শুভেচ্ছা রইলো
মাতৃহীন শিশুর কথা ভাবলে বড় খারাপ হয়ে ওঠে মন। যে মা জন্মের পর থেকে শিশুর সকল যত্ন করলো, সেই মায়ের সেবা করার ছবি শিশু দেখছে অথচ মা তার আর জীবিত নেই। বড়-ই হৃদয় বিদারক, বড়ই।