Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

নীল সামু

৯ বছর আগে

একজন চাষীর জীবনের গল্প

 

একুশে পদক পাওয়া প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে চলচ্চিত্র নির্মাণ করে আসছেন। কিন্তু লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রাণবন্ত এই গুণী মানুষটি। গতকাল রোববার ভোর পাঁচটা ৫৫ মিনিটে এই চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃত্যুবরণ করেন।
১. চাষী নজরুল ইসলাম বিক্রমপুর শ্রীনগর থানার সমষপুর গ্রামে ১৯৪১ সালের ২৩ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন মা-বাবার জ্যেষ্ঠপুত্র। বাবা মোসলেহ উদ্দিন আহম্মদ ছিলেন ভারতের বিহারে টাটা আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার। চাষীর পূর্বপুরুষরা ছিলেন লস্কর বংশের।
২. শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের সঙ্গে রাজনীতি করতেন চাষীর মামা চাষী ইমাম উদ্দিন। সেই সূত্রেই একদিন ফজলুল হককে একটা নাম দিতে বলা হলে তিনি চাষী ইমাম উদ্দিনের ‘চাষী’ আর কাজী নজরুল ইসলামের ‘নজরুল ইসলাম’ মিলিয়ে নাম দেন ‘চাষী নজরুল ইসলাম’।
৩. ১৯৫৭ সালে বাবার মৃত্যুর পর সংসারের বড় ছেলে হিসেবে এজি অফিসের পোস্ট-সর্টার হিসেবে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত চাকরি করেন তিনি। এফডিসি মাত্র তখন গড়ে উঠছে। চাকরির ফাঁকে ফাঁকে ফতেহ্ লোহানীর প্রধান সহকারী আউয়াল সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন তিনি। ১৯৬১ সালে ‘আছিয়া’ ছবির মাধ্যমে খ্যাতিমান পরিচালক ফতেহ লোহানীর সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি।
৪. ১৯৬৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দেশের অন্যতম বিখ্যাত কাজী পরিবারের কে জি আহমেদের মেয়ে জ্যোৎস্না কাজীকে বিয়ে করেন তিনি।
৫. ১৯৭১ সালে চাষী মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিক্তিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ পরিচালনা করেন তিনি। ১৯৭২ সালে এ ছবির মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে।
৬. চলচ্চিত্র পরিচালনার পাশাপাশি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে চারবারের মতো সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
৭. চাষী নজরুল ইসলাম চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৮৬ সালে ‘শুভদা’ আর ১৯৯৭ সালে ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেন তিনি। ২০০৪ সালে ভূষিত হন একুশে পদকে।

০ Likes ০ Comments ০ Share ৬১২ Views