ঈদ হচ্ছে আমাদের মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। তাই ঈদের সাজটাও চাই তেমনি সুন্দর ও আর্কষণীয়।
পোশাকের উপর নির্ভর করে ঈদের সাজ। তবে ঈদের দিন সময়ের তারতম্যেও সাজে অনেক খানি ভিন্নতা আসে। যেহেতু ঈদের দিন রোদ থাকার সম্ভাবনা বেশি তাই সকালের সাজটা হওয়া চাই স্নিগ্ধতাপূর্ণ।
কিভাবে সাজলে মেহমান বাসায় এসে ভাববেন আপনি রাঁধেন আবার চুল ও বাধেন তার পুরো খুঁটিনাটি জানাচ্ছেন ওমেন্স ডল বিউটি পার্লার এর স্বত্বাধিকারী তানিয়া আফরিন নীতু নিজেকে কিভাবে এবং কতটুকু সাজবেন বিশেষ এই দিনটাতে,
তিনি বলেন- ঈদের দিনের সাজ দুই সময়ে ভাগ করে নিন । সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন সকাল এবং রাতের সাজ এবং পোশাক কী হবে।
ঈদের দিনের সাজঃ
মেকআপের শুরুতে মুখটা ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। দিনের বেলা ফাউন্ডেশন না দেয়াই ভালো। মুখে হালকা পাউডারের প্রলেপ দিয়ে নিতে পারেন। এর পর আঁকার জন্য আইভ্রু রঙের সঙ্গে যায় এমন রঙ বেছে নিন। এখন আপনি আইভ্রু লাগাবেন। কাপড়ের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে কোন শেড ব্যবহার করবেন তাও বেছে নিন। সবচেয়ে হালকা রঙের শ্যাডো দিয়ে পুরো চোখের পাতায় লাগিয়ে এর পর এরই এক সেশ ডিপ বা প্রাথমিক রঙের সঙ্গে যায়, এমন কালার দিয়ে ইনার কর্নার থেকে ভেতরের দিকে ছোট ছোট স্ট্রোকে আইশ্যাডোর কালার লাগিয়ে নিন। ভালোভাবে কালার ব্লেন্ড করে দিতে হবে, যেন কালারগুলো আলাদা আলাদা ভাগ হয়ে না থাকে। এর পর আইলাইনার দিয়ে নিন। একটু টেনে দিতে পারেন চোখের কোনা পর্যন্ত। মাশকারা ব্যবহার করতে পারেন। এবার আপনি ব্লাশার লাগাবেন। তবে দিনের বেলা তা না লাগানোই ভালো। রাতে বের হতে হলে চিকবোনের নিচ থেকে কানের দিকে ধীরে ধীরে টেনে ব্লাশারের কালার গাঢ় করুন। ঠোঁট এঁকে নিন। ঠোঁটের আকার চিকন হলে অবশ্যই লিপস্টিক ব্রাশ ব্যবহার করুন; মোটা হলে সরাসরি লিপস্টিক লাগাতে পারেন অথবা ন্যাচারাল কালারের লিপগ্লসও ব্যবহার করতে পারেন।
এবং রাতের জমকালো সাজ
উৎসবের সাজ বলে বিকাল বা রাতের পার্টি তা বাসায় হোক বা দাওয়াতই হোক না কেন সাজটা হবে জমকালো এবং ভারি। এ জন্য সকালের সাজটা পুরোপুরি তুলে ফেলাই ভালো। ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। এর ওপর দিয়ে নিন প্যানস্টিক। মুখে ও গলায় প্যানস্টিক মিশিয়ে নিন ভালোভাবে। বিকাল থেকে এক মেকআপে থাকতে হবে অনেকটা সময়। তাই দীর্ঘস্থায়ী মেকআপের জন্য ব্যবহার করুন ডাস্ট পাউডার।
ব্যবহারের পর অতিরিক্ত পাউডার ঝেড়ে ফেলুন ব্রাশ দিয়ে। ত্বকের চেয়ে এক শেড গাঢ় রঙের বেস ব্যবহার করুন। এর পর ফোঁটায় ফোঁটায় ফাউন্ডেশন পুরো মুখে লাগিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ঈদের দিন যদি থাকে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা তাহলে প্যানকেক ব্যবহার করুন। বেছে নিন তরল ফাউন্ডেশন। এটি বৃষ্টির পানিকে মুখে আটকে থাকতে দেবে না। গাঢ় ও ভারি মেকআপের জন্য দিতে পারেন স্টিক ফাউন্ডেশন।বেড়াতে গেলে বা পার্টি থাকলে চোখের সাজ হবে গাঢ়। গাঢ় রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করতে হবে। উৎসব-অনুষ্ঠানে সোনালি ও রুপালি রঙের আইশ্যাডো ভালো লাগে।
কালো আর বাদামির মিশেলে চোখকে দিতে পারেন স্মোকি ভাব। চোখের নিচে কাজল দিলে চোখকে তুলনামূলক ছোট দেখায়। চোখকে বড় দেখাতে চোখের ওপরের পাতার ভেতরের দিকে দিন ধূসর রঙের কাজল।ব্লাশঅনের জন্য বেছে নিন হালকা গোলাপি রঙ।
বাদামি রঙের ব্লাশঅনও ভালো লাগবে। রাউন্ড শেপে ব্লাশঅন ব্যবহার করুন। ঠোঁটে দিন উজ্জ্বল রঙের লিপস্টিক। উজ্জ্বল লাল, কমলা, ম্যাজেন্টা রঙগুলো বেছে নিতে পারেন আপনার ঠোঁটের জন্য।
হালকা গোলাপি, কমলা রঙগুলোও জমকালো ভাব এনে দিতে পারে আপনার ঠোঁটে। আপনার পোশাকটি যদি হয় ওয়েস্টার্ন তবে ন্যুড কালারের লিপস্টিকও ব্যবহার করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন ঠোঁট এবং চোখের সাজ হবে একটি অপরটির বিপরীত। একটি হালকা হলে অপরটি হবে ভারি।
সালোয়ার-কামিজ বা পাশ্চাত্য পোশাকের সঙ্গে রাতের অনুষ্ঠানে চুল খোলা রাখলেই ভালো দেখাবে।
গরম হলে বেঁধে রাখতে পারেন। শাড়ির সঙ্গে খোলা বা বেঁধে রাখা চুল- দুটোই মানায়। দু’হাত ভরে পরুন মেহেদি। তবে যেভাবেই মেকআপ করুন না কেন তা যেন আপনার সঙ্গে মানিয়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
মনের মতো সাজ আর মেকআপে এবারের ঈদ উপভোগ করুন জমকালোভাবে।
Comments (2)
" ভাবতে ভাবতে ওর দিকে তাকাতেই দেখি, আমার পেন্সিল দিয়ে হেডলাইট ফুটা করা বন্ধু সেই পেন্সিল দিয়েই সুন্দর একজোড়া হেডলাইট ফুটিয়ে তোলায় ব্যাস্ত।।"
ভালো লাগলো গল্প। শুভেচ্ছা জানবেন, ভালো থাকবেন।
অন্যের পোষ্টে মন্তব্য দিয়ে নক্ষত্র ব্লগকে জাগিয়ে তুলন। শুভেচ্ছা জানবেন ভালো থাকবেন।