Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

M Jahirul Islam

১০ বছর আগে

ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর কৃত্রিম রূপচর্চা

নকল চুল বা অন্যের চুল লাগানো, উলকি উৎকীর্ণ করা [চামড়ায় ছুঁচ ফুটিয়ে দিয়ে তাতে রং ঢেলে নকশা আঁকা বা নাম লেখা] সৌন্দর্যের জন্য দাঁত ঘষে সরু করা বা দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করা নিষিদ্ধ।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তার [আল্লাহর] পরিবর্তে তারা কেবল দেবীদের পূজা করে এবং তারা কেবল বিদ্রোহী শয়তানের পূজা করে। আল্লাহ তাকে [শয়তানকে] অভিসম্পাত করেছেন এবং সে [শয়তান] বলেছে, আমি তোমার দাসদের এক নির্দিষ্ট অংশকে [নিজের দলে] গ্রহণ করবই এবং তাদেরকে পথভ্রষ্ট করবই, তাদের হৃদয়ে মিথ্যা বাসনার সৃষ্টি করবই, আমি তাদেরকে নিশ্চয় নির্দেশ দেব, ফলে তারা পশুর কর্ণচ্ছেদ করবেই এবং তাদেরকে নিশ্চয় নির্দেশ দেব, ফলে তারা আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবেই। আর যে আল্লাহর পরিবর্তে শয়তানকে অভিভাবক-রূপে গ্রহণ করবে, নিশ্চয় সে প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সূরা নিসা, আয়াত : ১১৭-১১৯)
হাদিসে এসেছে, হযরত আসমা (রা.) হতে বর্ণিত, এক নারী নবী (সা.)-এর নিকট এসে জিজ্ঞাসা করল, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমার মেয়ে এক প্রকার চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছে। ফলে তার মাথার চুল ঝরে গেছে। আর আমি তার বিয়েও দিয়েছি। এখন কি আমি তার মাথায় পরচুলা (নকল চুল) লাগিয়ে দেব?’ তিনি বললেন, ‘‘যে পরচুলা লাগিয়ে দেয় এবং যার লাগানো হয় উভয় নারীকে আল্লাহ অভিসম্পাত করুন বা করেছেন।’ বুখারী ও মুসলিম)
অন্য বর্ণনায় আছে, ‘যে নারী পরচুলা লাগিয়ে দেয় এবং যে লাগাতে বলে [তাদের উভয়কে আল্লাহ অভিসম্পাত করুন বা করেছেন।’
হযরত আয়েশা (রা.) হতেও উক্ত-রূপ হাদিস বর্ণিত হয়েছে। (বুখারী ও মুসলিম)
হযরত হুমাইদ ইবনে আব্দুর রাহমান (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি হজ্জ করার বছরে মুআবিয়াকে (রা.) মিম্বরে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছেন, ওই সময়ে তিনি জনৈক দেহরক্ষীর হাত থেকে এক গোছা চুল নিজ হাতে নিয়ে বললেন, ‘হে মদীনাবাসীগণ! তোমাদের আলেমগণ কোথায়? আমি রসুলুল্লাহ (সা.) কে এরূপ জিনিস [ব্যবহার] নিষেধ করতে শুনেছি। তিনি বলতেন, ‘বানী ইস্রাঈল তখনই ধ্বংস হয়েছিল, যখন তাদের নারীরা এই জিনিস ব্যবহার করতে আরম্ভ করেছিল।’ (বুখারী ও মুসলিম)
হযরত ইবনে উমার (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) পরচুলা যে নারী লাগিয়ে দেয় এবং যে পরচুলা লাগাতে বলে, আর যে নারী অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে উলকি উৎকীর্ণ করে ও যে উলকি উৎকীর্ণ করতে বলে তাদেরকে অভিশাপ করেছেন। (বুখারী ও মুসলিম)
হযরত আব্দুললাহ ইবনে মাসঊদ (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আল্লাহর অভিশাপ হোক সেই সব নারীদের উপর, যারা দেহাঙ্গে উলকি উৎকীর্ণ করে এবং যারা উৎকীর্ণ করায় এবং সে সব নারীদের উপর, যারা ভ্রূ চেঁছে সরু [প্লার্ক] করে, যারা সৌন্দর্যের মানসে দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে, যারা আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন আনে।’
জনৈক নারী এ ব্যাপারে তার [ইবনে মাসঊদের] প্রতিবাদ করলে তিনি বললেন, ‘আমি কি তাকে অভিসম্পাত করব না, যাকে আল্লাহর রসূল (সা.) অভিসম্পাত করেছেন। (বুখারী ও মুসলিম)

১ Likes ০ Comments ০ Share ৬৪৬ Views

Comments (0)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    অভিনন্দন কবি কে

    • - রিংকু রাহী

      ধন্যবাদ...

    - মাসুম বাদল

    কবিতায় ভাললাগা রেখে গেলাম ...

    • - রিংকু রাহী

      রেখে দিবো...

    - কেতন শেখ

    শুভেচ্ছা রইলো।

    • - রিংকু রাহী

      ধন্যবাদ...

    Load more comments...