ইট-পাথরের শহরে চনমনে রাখা যায় যদি ভবন বা অ্যাপার্টমেন্টের সামনে গাছগাছালি থাকে। ব্যস্ত দিন শেষে ক্লান্ত মনে ঘরে ফিরে নিজের বাসার গেটের সামনে দাঁড়াতেই মনটা কেমন সতেজ হয়ে যায়। বাসার সামনে এক চিলতে জায়গায় যদি কিছু গাছ-গাছালি, লতা-গুল্ম থাকে তাহলে যে কারো মন ভালো না হয়ে পারেই না।
ছয়তলা বাড়ির ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা বিকেলটা কাটানোর জন্য ভবনের প্রবেশপথে গাছগাছালিঘেরা জায়গাটুকু বেছে নেন। আর গাছগাছালি ঘেরা এই ছোট্ট বাগানের সামনে বসার জন্য যদি কয়েকটি বেঞ্চ পাতা থাকে তাহলে সময়টা ভালো কাটে সেটি বোঝা যায়। কেউ কেউ আবার নিত্যদিনের হাঁটাও সেরে ফেলেন তখন।
এখন শহরের বাড়িগুলোর সামনে বাগান করার চল শুরু হয়েছে। অ্যাপার্টমেন্টের সামনের অংশটুকু ফাঁকা রাখা বা সীমানাপ্রাচীরঘিরে ভবন তোলার দিন শেষ। রীতিমতো ঘোষণা দিয়ে বলে দেওয়া হচ্ছে, বাড়ির কতটা অংশজুড়ে থাকবে শখের বাগান। বৃক্ষরোপণ আন্দোলন বলি আর যা-ই বলি, অনেকেই আনন্দের সঙ্গেই বাগান করছেন।
বাড়ির সামনের বাগান করেছেন এমন একজন বলেন, 'সবুজ পরিসর রাখা পরিবেশের জন্য উপকারী। রাজউকের নতুন নিয়মে বেশ কিছু জায়গা বাগান হিসেবে ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে। অনেক আবাসন নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান সেটা পূরণ করে। তবে দিন দিন আমাদের চোখের সামনে থেকে সবুজের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তাই শুধু নান্দনিকতাই নয়, এটা আমাদের জন্য জরুরিও।’
গাছের ধরন সম্পর্কে বাগান করাদের বক্তব্য হলো, এসব বাগানে দেশি গাছের প্রতি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বেশি। অনেক আবাসনপ্রতিষ্ঠানই এখন নির্দিষ্ট জায়গা রেখে ফ্ল্যাটবাড়ির নকশা করছে। এ ক্ষেত্রে ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করা হয়।
Comments (3)
ভালো লাগলো কবি...
ধন্যবাদ ভাই
ভালো লাগলো ।
অনেক ধন্যবাদ
ীনতা কই দিলো? এত সুন্দর লিখিস তুই, এত কিছু বুঝিস। বোধ তো আছে, কে কি বললো তাতে কিছু যায় আসে না।
কবিতায় ইদানিং গুরুর মত চলছিস। ভালো ভালো।
কবিতাটা অভ্যাসে পরিণত করার চেষ্টা করছি মাত্র। ধন্যবাদ