আমরা বাঙালিরা আর যা-ই হই-না-হই সবাই আর্দশ ছাত্র। স্যারের কথার বাইরে জীবনে আমরা এক পা-ও এগোই না। কাসে যার রেজাল্ট যেমনি হোক না কেন, জীবন চলাতে আমরা সবাই স্যারের দেখানো পথেই চলি। তা সে অফিসের বড় সাহেব বা পাড়ার ছিঁচকে চোর যে-ই হোক না কেন। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? চলেন তবে প্রমাণ সমেত উপস্থাপন করি: বের হতে-না-হতেই সামনে পড়ল ‘টো টো মকবুল’।
-কিরে তুই সারা দিন আড্ডা, ঘোরাঘুরি আর অন্ন ধ্বংস ছাড়া জীবনে কি কিছুই করবি না? মানলাম তিনবার অঙ্কে ফেল মারছিস, অন্য কিছু তো চেষ্টা করবি, নাকি?
-কস কী মমিন ! স্যারই তো কইছিল যে, ‘তর দ্বারা কিচ্ছু হইব না’। আমি কি উনার ভবিষ্যৎবাণী বৃথা যাইতে দিতে পারি, ক?
বহু দিন পর গ্রামের চায়ের দোকানে দেখা গেল এককালের ভালো ছাত্র জামিল সাহেবকে। ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার পর থেকে তিনি আর কোনো যোগাযোগ রাখেননি পুরনো বন্ধুদের সাথে। কেন এমন স্বার্থপরের মতো কাজ করেছিলেন প্রশ্ন ছুড়তেই কবি নীরব হয়ে গেলেন। তাকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচাতে তার সাবেক বন্ধু চায়ের দোকানদার বলে উঠল, ‘হের কোনো দোষ নাই। ছোটোকালে স্যারই তো কইত, ভালোমতো লেখাপড়া কর, নাইলে এখন যারা তোগো দোস্ত; তারা যখন ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হইব, তখন তগোরে চিনবই না। তরা ওগোরে তখন স্যার স্যার করবি।’
-মানলাম। উনি নাইলে যোগাযোগ করে নাই কিন্তু আপনাদের দিক থেকেও তো রাখতে পারতেন।
-ইয়ে মানে, আসলে আমাগো মাথায়ও স্যারের ওই কথাগুলাই ঘুর ঘুর করত, তাই আর সাহসে কুলায় নাই।
এরই মধ্যে চায়ের দোকানে হাজির ছাত্রনেতা শামসু ভাই। অপনেন্ট পার্টি থেকে শুরু করে অবাধ্য জুনিয়র, বাকির টাকা চাইলে দোকানদার যে কাউকে পেটাতে তিনি সিদ্ধহস্ত। ‘মাইরের ওপরে ওষুধ নাই’ স্কুলের স্যারের সেই ডায়ালগই এখন তার পথ চলার মূলমন্ত্র।
সামনে শোরগোল শোনা যাচ্ছে, উফ্ ‘মন্টু চোরা’ আবার ধরা পড়েছে। আচ্ছা তুই কি আর মানুষ হবি না? এই যে চুরির কারণে মানুষ তরে জুতাপেটা করে তর কি শরম নাই?
-‘আরে ওই শিক্ষা তো আমি ইস্কুলেই পাইয়া গেছি। যেই দুই-এক দিন ইস্কুলে গেছিলাম কান ধইরা দাঁড়াইতে দাঁড়াইতে আর মাইর সহ্য করতে করতে ইজ্জতের ওপরে ফরমালিন পইড়া গেছে’। স্যারে ভাবতো অপমান করলেই বুঝি আমি ঠিক হইয়া যামু, আর হইল উল্টা। অতিষ্ঠ হইয়া ইস্কুলই ছাইড়া দিলাম।
এবার দেখলেন তো, ছাত্রদের ওপর শিকক্ষের প্রভাব কতটা ?
-কিরে তুই সারা দিন আড্ডা, ঘোরাঘুরি আর অন্ন ধ্বংস ছাড়া জীবনে কি কিছুই করবি না? মানলাম তিনবার অঙ্কে ফেল মারছিস, অন্য কিছু তো চেষ্টা করবি, নাকি?
-কস কী মমিন ! স্যারই তো কইছিল যে, ‘তর দ্বারা কিচ্ছু হইব না’। আমি কি উনার ভবিষ্যৎবাণী বৃথা যাইতে দিতে পারি, ক?
বহু দিন পর গ্রামের চায়ের দোকানে দেখা গেল এককালের ভালো ছাত্র জামিল সাহেবকে। ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার পর থেকে তিনি আর কোনো যোগাযোগ রাখেননি পুরনো বন্ধুদের সাথে। কেন এমন স্বার্থপরের মতো কাজ করেছিলেন প্রশ্ন ছুড়তেই কবি নীরব হয়ে গেলেন। তাকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচাতে তার সাবেক বন্ধু চায়ের দোকানদার বলে উঠল, ‘হের কোনো দোষ নাই। ছোটোকালে স্যারই তো কইত, ভালোমতো লেখাপড়া কর, নাইলে এখন যারা তোগো দোস্ত; তারা যখন ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হইব, তখন তগোরে চিনবই না। তরা ওগোরে তখন স্যার স্যার করবি।’
-মানলাম। উনি নাইলে যোগাযোগ করে নাই কিন্তু আপনাদের দিক থেকেও তো রাখতে পারতেন।
-ইয়ে মানে, আসলে আমাগো মাথায়ও স্যারের ওই কথাগুলাই ঘুর ঘুর করত, তাই আর সাহসে কুলায় নাই।
এরই মধ্যে চায়ের দোকানে হাজির ছাত্রনেতা শামসু ভাই। অপনেন্ট পার্টি থেকে শুরু করে অবাধ্য জুনিয়র, বাকির টাকা চাইলে দোকানদার যে কাউকে পেটাতে তিনি সিদ্ধহস্ত। ‘মাইরের ওপরে ওষুধ নাই’ স্কুলের স্যারের সেই ডায়ালগই এখন তার পথ চলার মূলমন্ত্র।
সামনে শোরগোল শোনা যাচ্ছে, উফ্ ‘মন্টু চোরা’ আবার ধরা পড়েছে। আচ্ছা তুই কি আর মানুষ হবি না? এই যে চুরির কারণে মানুষ তরে জুতাপেটা করে তর কি শরম নাই?
-‘আরে ওই শিক্ষা তো আমি ইস্কুলেই পাইয়া গেছি। যেই দুই-এক দিন ইস্কুলে গেছিলাম কান ধইরা দাঁড়াইতে দাঁড়াইতে আর মাইর সহ্য করতে করতে ইজ্জতের ওপরে ফরমালিন পইড়া গেছে’। স্যারে ভাবতো অপমান করলেই বুঝি আমি ঠিক হইয়া যামু, আর হইল উল্টা। অতিষ্ঠ হইয়া ইস্কুলই ছাইড়া দিলাম।
এবার দেখলেন তো, ছাত্রদের ওপর শিকক্ষের প্রভাব কতটা ?