Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ফেরদৌসী বেগম

১০ বছর আগে

আমার দেখা সপ্তম আশ্চর্য্যেরই একটি আশ্চর্য্য 'নায়াগ্রা ফলস'

                              গুগুল থেকে নেওয়া আশ্চর্য্য নায়াগ্রা ফলস।

 

সপ্তম আশ্চর্য্যেরই একটি আশ্চর্য্য হলো 'নায়াগ্রা ফলস'। এই নায়াগ্রা ফলসের জলপ্রপাত উৎপত্তি হয় নায়াগ্রা নদী থেকে, যা নাকি পাঁচটি বৃহৎ লেকের মধ্যে দুটু লেকের সংযোগ স্থাপন করে নায়াগ্রা নদীতে মিশেছে। তার একটি হলো 'লেক এরিক' এবং অন্যটি হলো 'লেক অন্টারিও'। সহজ করে বললে, একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাফেলো, অন্যদিকে কেনাডার টরেন্টো এবং মাঝখানে নায়াগ্রা জলপ্রপাত। অর্থাৎ দুটি স্বতন্ত্র শহর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্ডার এবং কেনাডার বর্ডারের মাঝখানে হলো নায়াগ্রা নদীটি একটি ভৌগোলিক সীমানা স্থল।

 

 

 

                                 গুগুল থেকে নেওয়া আশ্চর্য্য নায়াগ্রা ফলস।

 

 

উত্তর আমেরিকার প্রাকৃতিক আশ্চর্য্যতম সৌন্দর্য্যই হলো 'নায়াগ্রা ফলস'। তিনটি ভিন্ন জলপ্রপাতের সন্মিলিতভাবে প্রকৃতির অনবদ্য নায়াগ্রা ফলসের সৃষ্টি। আর সেই তিনটি জলপ্রপাতের নামগুলো হলো--- আমেরিকান ফলস, ব্রাইডাল ভ্যালি ফলস এবং হর্সসু ফলস। এর মধ্যে আমেরিকান ফলস আর ব্রাইডাল ভেলি ফলস পড়েছে আমেরিকার মধ্যে, আর হর্সসু ফলস পড়েছে কানাডার মধ্যে। আর ঐ তিনটি ফলসের মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে হর্সসু ফলস এবং সবচেয়ে ছোট হচ্ছে ব্রাইডাল ভ্যালি ফলস। নায়াগ্রা ফলসের প্রায় ৯০ ভাগ পানিই এই জলপ্রপাত দিয়ে পড়ছে। তাইতো নায়াগ্রা ফলসের পানি পতনের পরিমাণের দিক থেকে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ, অর্থাৎ উচ্চতায় মাত্র ১৬৫ ফুটের বেশি কিংবা ৫০ মিটার হলেও, পানি পড়ার দিক থেকে নায়াগ্রা ফলস পৃথিবীর মধ্যে সর্ববৃহৎ। কারণ প্রতি মিনিটে প্রায় ৬ মিলিয়ন ঘনফুট পানি নিচে পড়ছে এই নায়াগ্রা ফলস থেকে। আর ঐ জলপ্রপাত এতটাই তীব্র গর্জনে আছড়ে পড়ছে যে, কেউ নায়াগ্রা ফলসের আশপাশে থাকলে পাশাপাশি দাঁড়িয়েও একজন আরেকজনের কথা শুনতে খুবই কষ্টকর।

 

 

 

                       গুগুল থেকে নেওয়া আমেরিকান ফলস এবং ব্রাইডাল ভ্যালি ফলস।

 

 

 

 

       

                                  গুগুল থেকে নেওয়া কেনাডিয়ান হর্সসু ফলস।

 

 

 

 

 

                 গুগুল থেকে নেওয়া রাতের কালারফুল নায়াগ্রা ফলস।

 

 

 

 

 

 

 

                   গুগুল থেকে নেওয়া রাতের নায়াগ্রা ফলসের ফায়ারওয়ারকস বা আতশবাজি।

 

 

 

 

 

 

 

নায়াগ্রা ফলস হচ্ছে, জলরাশির তীব্র বজ্রধ্বনি। সেখানে না আসলে প্রকৃতির অনবদ্য সৃষ্টির অপার সৌন্দর্য্য উপলব্ধি করা বেশ কঠিনই বটে। এই নায়াগ্রা সিটি যুক্তরাষ্ট্রেই পড়েছে, এতে আছে বেশ কয়েকটি সেতু সহ Rainbow, Whirlpool, and Queenston-Lewiston bridges। আজ থেকে প্রায় ১০,০০০/১২,০০০ বছর আগে বরফ গলে সৃষ্টি হয় এই নায়াগ্রা নদী, এবং সেই থেকেই এই আশ্চর্যজনক নায়াগ্রা ফলস। এই নায়াগ্রা ফলসের বিশ্বমানের ট্যুরের মধ্যে আকর্ষনীয় পরিদর্শন গুলো হলো----
'মেইড অফ্ দ্যা মিস্ট ( বোট বা স্টীমার )'
'কেভ অফ দ্যা উইন্ডস'
'গোট আইল্যান্ড & হর্সসু ফলস'
'লুনা আইল্যান্ড'
'ব্রাইডাল ভ্যালি ফলস'
এই নায়াগ্রা ফলসে প্রতি বছর প্রায় ৩০ মিলিয়ন মানুষের সমাগম হয়ে থাকে। আর এই নায়াগ্রা ফলসের স্টেট পার্কটা হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (1885)-এর প্রাচীনতম স্টেট পার্ক। এবং এটা কিন্তু শুধুই একটি জলপ্রপাতই নয় বরং এর বিশাল পরিমাণ পানির স্রোতকে কাজে লাগিয়ে বৃহৎ পরিমাণে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। ১১৬ বছরের মধ্যে ২০১২-এ নিক ওয়ালেন্ডা নামে যে নাকি প্রথম ব্যক্তি নায়াগ্রা ফলস পাড়ি দিয়েছিলেন ঝুলন্ত তারের উপর দিয়ে হেঁটে যুক্তরাষ্ট্র থাকে কেনাডা পর্যন্ত গিয়ে বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। তখন তিনি সাথে করে বয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তার পাসপোর্ট যা নাকি কেনাডায় প্রবেশ করতেই উপস্থাপন করার প্রয়োজন ছিল, যদিও তিনি, কানাডিয়ান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার থেকে অনুমতি পাওয়ার পরই সেটা করেছিল।

 

 

 

 

 

       

 

 

                      গুগুল থেকে নেওয়া নিক ওয়ালেন্দা জুলন্ত তারের উপর।

 

 

 

 

 

 

 

                    

 

 

               গুগুল থেকে নেওয়া 'মেইড অফ্ দ্যা মিস্ট ( বোট বা স্টীমার )'।

 

 

 

 

 

 

 

নায়াগ্রা ফলস আমার অতিপ্রিয় একটি জায়গা। নিউয়র্কে প্রায় সাত বছর থেকে এসেছি। তখন সুযোগ পেলেই আমার সাহেব ওর কয়েকজন বন্ধুদের নিয়ে যখন-তখনই আমরা বের হয়ে পড়তাম বেড়াতে, কোন সুন্দর জায়গায়-----অথবা কোন সুন্দর পার্কে, লেকের পাশে, সাগর পাড়ে কিংবা অন্য কোন সিটিতে। তেমনি প্রায়শঃই বেড়াতে গিয়েছিলাম নায়াগ্রা ফলসেও। সেখানে ফলস ভিউ হোটেলে ৫/৬ তালায় রোম নিয়ে রাত্রটা থেকে, সারাদিন ভর ঘুরাঘুরি করে এবং পরেরদিন বিকালেই আবার চলে আসতাম। তখন অবশ্য আমার বড় ছেলে অণি-টাও খুবই ছোট ছিল, আর তাই বলেই হয়তো পেরেছিলাম। কিন্তু টেক্সাস-এ আসার পর আমার মেঝু ছেলে শাওন এবং ছোট ছেলে অসি ওদের জন্ম হয়, তাই হয়তো ব্যস্ততা এবং দূরত্বের কারণেই ওদের নিয়ে আর ওদিকে যাওয়া হয়নি অনেক বছর। পুরানো সব ছবি দেখে শাওন এবং আসি প্রশ্নই করে বসে, ওদের ভাইয়া ওখানে গিয়েছে কিন্তু ওরা যেতে পারেনি কেন? তারপর ওরা জানালো, ওদের ভাইয়া নিউয়র্কে যেখানে জন্মেছিল এবং যে পার্কে গিয়ে খেলা করত সেইগুলো ওরা দেখতে চায়, সেইসাথে ওয়াশিংটন ডিসি-তেও যেতে চায়। তাছাড়া অণি-ও নাকি ছোটবেলার স্মৃতিগুলো খুব মিস করে, তাই সে নিউয়র্কে যেতে চায়। মোটকথা আমার ছেলেদের পিড়াপিড়িতেই, পরে গত বছর 2012 এ সামারের ছুটিতে ২/৩ সপ্তাহের ভ্যাকেশনে গিয়েছিলাম। প্লেনে ভার্জিনিয়া, সেখানে পৌছেই এয়ারপোর্ট থেকেই গাড়ি রেন্ট করে আমার সাহেবের ফ্রেন্ডের বাসায় দুইদিন থেকেছিলাম। ওয়াশিংটন ডিসি ঘুরে ড্রাইভ করে মেরিলেন্ড হয়ে নিউজার্সিতে দুইদিন হোটেলে থেকে তারপর নিউয়র্কে গেলাম। সেখানে সারাদিন ঘুরে বিকেলে ফ্রেন্ডদের সাথে দেখা করে রাতে গিয়ে হোটেলে ঘুমিয়েছিলাম, এইভাবে হোটেলেই চারদিন ছিলাম। তারপর নিউয়র্ক থেকে নায়াগ্রা ফলসে গিয়ে ফলস ভিউ হোটেলে তিনদিন থেকে আবার ভার্জিনিয়ায় দুইদিন থেকে বাসায় ফিরেছিলাম। যদিও অনেক দৌড়াদৌড়ির মধ্যেই বেড়ানো হয়েছিল সেইবার, তারপরও অনেক অনেক আনন্দ এবং মজা হয়েছিল।

2012 এর সেই ভ্যাকেশনে আমার ছেলেরা বেশ আনন্দ এবং ফুর্তি করেছিল। ভ্যার্জিনিয়া থেকে ড্রাইভ করে যাওয়াটা আরো বেশি ভালো লেগেছিল এইজন্য যে, বিশাল হাইওয়ের দুধারের ঘন সবুজে ছেঁয়ে যাওয়া অজস্র বড় বড় গাছ আর ঐ দুরে ছোট-বড় সবুজে ঘেরা পাহাড়গুলো দেখে দেখে যাচ্ছিলাম আর মনে হচ্ছিল যেন কোনো খেয়ালী শিল্পীর রং তুলির আঁচড়-এ এলোমেলো বুলিয়ে দেওয়া রঙিন চিত্র। এমনি করেই যেতে যেতে নায়াগ্রায় গিয়ে ফলস ভিউ হোটেলের সাত-তালায় দাঁড়িয়ে যখন দেখছিলাম কি যে শান্তি লাগছিল যেন অতীত স্মৃতিগুলো আলোড়িত হচ্ছিল। তারপর একটু জিড়িয়ে নিয়েই জলপ্রপাত দেখতে বেড়িয়ে পড়েছিলাম। সারাদিন ঘুরাঘুরি করে রাতে হোটেলে এসেই ঘুম, এমনি করেই তিনদিন কেমন করে যেন কেটে গেলো, টেরই পেলামনা। মনে হচ্ছিল, ইস!! আরো যদি থাকতে পারতাম।

 

 

 

                                 গুগুল থেকে নেওয়া নায়াগ্রা ফলসের সুন্দর রামধনু।

 

 

 

 

 

 

 

যাগগে, যা বলছিলাম এখন আসুন আপনাদের সেই নায়াগ্রা ফলসের বর্ণনাটা আমার সাধ্যমত প্রকাশ করছি। এই নায়াগ্রা নদীর খাত সবটুকুই যে সমান তা কিন্তু মুটেও নয়। জায়গায় জায়গায় দেখা গিয়েছে অনেক ছোট বড় বোল্ডারগুলো তৈরী করেছে প্রবল ঘুর্ণি আর অজস্র ফেনা। অর্থাৎ যত গর্জে কাছে আসছে যেন ততই বেড়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে পাথরের সংখ্যা, আর তীব্র বেগে ফুঁসতে ফুঁসতে নদী বয়ে চলেছে ঝাঁপ দেবে বলে এবং শেষটায় এসে ঝাঁপ দিয়ে বসে প্রপাতে। কি যে গম্ভীর সেই জলের আওয়াজ! নদীর ধার দিয়ে দিব্বি সুন্দর সুন্দর রাস্তা বানানো আছে হাঁটার জন্য এবং রাস্তার পাশ দিয়ে আছে চমৎকার সাজানো গোছানো বাগান, বসার জায়গা, আর সেটাই হলো নায়াগ্রা স্টেট পার্ক। আছে অবজারভেশন টাওয়ার যা নাকি জলপ্রপাতের পানিটা যেখানে পড়ে তার সন্মুখে যে নদী হয়েছে, ঠিক তার উপরই অনেক উচু করে বানানো হয়েছে হাফ সেতু। সেখানেই সেতুর উপরে রেলিং-এর ধারে ধারে বসানো আছে বাইনোকিউলার গুলো। যার মধ্যে কয়েন ঢুকালেই এক্কেবারেই কাছ থেকে দেখা যায় অজস্র মোটা ধারায় পড়া জলপ্রপাত আর ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ন্ত সীগ্যালগুলো। সেই সেতুতেই আছে দুটু লিফ্ট এবং এই লিফ্ট দিয়েই নিচে যেতে হয় জেটিতে, যেখান থেকে 'মেইড অফ্ দ্যা মিস্ট বোট ( দোতলা স্টীমার )'-এ উঠার জন্য। স্টীমারে ওঠবার আগেই প্রত্যেকের হাতে দেওয়া হয় একটা করে নীল রঙের পলিথিনের রেনকোট, যাতে করে পরনের কাপড়গুলো বেশী ভিজে না যায়। এটি অ্যামেরিকান ফলসের বাঁ দিক থেকে ছেড়ে ফলসের সামনে দিয়ে ব্রাইডাল ভেল ফলসের সামনে দিয়ে আরো খানিকদুর গিয়ে একঝলক হর্সসু ফলস দেখিয়ে আবার ঘুরে আসে। আর এটি দিয়েই বিশাল রামধনু আর অজস্র জলধারাটাকে একেবারে কাছ থেকে দেখা যায়, এবং তখনই প্রচন্ড বাতাস আর প্রপাতের জলের ঝাঁপটায় সত্যিই মনটাকেও চুপচুপ করে ভিজিয়ে দেয়। আমার ছেলেরা তো এই 'মেইড অফ্ দ্যা মিস্ট বোট ( দোতলা স্টীমার )'-এ চড়ে সেকি মহা আনন্দ করেছিল!! আরো আছে 'কেভ অফ দ্যা উইন্ডস', সেখানে দেওয়া হয় প্রত্যেকের হাতে একটা করে হলদে রংএর পলিথিনের রেনকোট আর একজোড়া চমৎকার জুতো, যাতে করে ভেজা পিছল সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে কেউ পিছলে না পড়ে যায়। সেই কেভ দিয়েই লিফটে করে একেবারে নীচে নেমে সেখান থেকে রেলিং দেওয়া বেশ কয়েক ধাপ সরু কাঠের সিঁড়ি বেয়ে উঠে যেতে হয় সেই জলপ্রপাতের কাছে। এবং সিঁড়ির প্রতিটা ধাপেই একটা করে চাতালের মত থাকে সেখানে দাঁড়িয়ে দেখার জন্য, কিন্তু সেখানে উঠার সময় খুব সাবধানে উঠতে হয়। যতই উপরে উঠা হয় পানির ঝাঁপটাও ততই বেড়ে যায় এবং ছুঁয়ে দেখা যায় ভীমবেগে নেমে আসা ঝর্না ধারা। সেখানেই ইচ্চে মত গোছল করে নেওয়া যায়। আরেকটি আকর্ষণ হলো, সেখানে মানুষের গায়ের ওপরে সৃষ্টি হয় রামধনু! যা নাকি নিজের গায়ের উপরেরটা না দেখা গেলেও অন্যের গায়ের উপরে সৃষ্টি হওয়া রামধনুটা ঠিকই চমৎকার ভাবে দেখা যায়। জলের ধারায়, আলোয়, হাল্কা কুয়াশায় আর নদী থেকে ছিটকে পড়া জলকণায় সে এক স্বপ্নপুরী এবং এক স্তব্ধ মুহূর্তের অভিজ্ঞতা।

 

 

আরো আছে অ্যামেরিকান ফলস আর ব্রাইডাল ভ্যালি ফলসের মাঝে লুনা আইল্যান্ড। এখানকার লুনা আইল্যান্ড থেকে সূর্যাস্তের কাছাকাছি সময়ে অসম্ভব সুন্দর রামধনু দেখা যায়। জলপ্রপাতের ওপরে সে এক প্রকৃতির নিজস্ব রঙের খেলা। শেষবেলার রোদ্দুরে ভারী সুন্দর লাগে এই নায়াগ্রা নদীটাকে। আর কেনাডার সাইডে না গেলে তো অসম্পূর্ণই থেকে যাবে নায়াগ্রা ফলসের দৃশ্যমান। কারণ কেনাডা থেকেই ফলসের পুরো অংশটাই একসাথে দেখা যায়। সেখানে আছে ভিক্টোরিয়া পার্ক, স্কাইলন টাওয়ার। একটি ছোট টিলার ওপরে অবস্থিত এই টাওয়ারের উচ্চতা ৭৭৫ ফিট (২৩৬ মিটার)। এর ওপরে একটি অবজারভেশন ডেক আছে। আর আছে ঘুরন্ত রেস্তরাঁ। এই এত উঁচু থেকে হর্সসু-এর অশ্বক্ষুর আকৃতিটি পরিস্কার বোঝা যায়। সে এক অপূর্ব দৃশ্যমান!! তারপর সন্ধ্যা নেমে এলেই কেনাডা থেকে কালারফুল লাইটনিং দিয়ে ফলসের উপর শুরু হয়ে যায় আলোর খেলা। তখন অ্যামেরিকান ফলসের ওপরে বেগুনীর নানা শেড, ব্রাইডাল ভেল ফলসে গাঢ় রুপালীর শেড, আর ঠিক তখনই হর্সসু হয়ে যায় নীলে-সবুজ আর গোলাপীতে মাখামাখি। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই আবার বদলে যায় রং। সেই সাথে চলতে থাকে ফায়ারওয়ারকস বা আতশবাজি। আর রাতের ১২ টা বাজলেই নিভে যায় সব আলো। ঠিক তখনই নায়াগ্রা ফলস হয়ে যায় স্তব্ধ, বাক্যহীন আর ধূষর সাদা। তবুও কিযে সুন্দর, কিযে মহান আর কিযে গম্ভীর তার রূপ। এ যেন প্রকৃতি আর মানুষের প্রয়াসে তৈরী করেছে ঐ অপরুপ মায়াপুরী। শীতের সময় নিশ্চয়ই নায়াগ্রা নদীটা বরফ জমে সমস্ত সাদা হয়ে যায়, তারপরও ঠিকই নীচে থেকে যাবে জলের তীব্র স্রোত। এত আনন্দ উপভোগ করার পরেও যেন নায়াগ্রা ফলসের শীতের রূপটা দেখার ইচ্ছাটা ঠিকই রয়েই গেলো।

 


এবার আমার নিজের তোলা কিছু ছবি দিলাম। সেই সাথে আমারই করা একটা ভিডিও লিংক দিলাম, ইচ্ছে করলে সেটাও দেখতে পারেন। যদিও জানি, আমি তেমন ভালো ভিডিও বা ফটোগ্রাফার নই, তারপর সবার সাথে শেয়ার করলাম। আমার এই পোষ্টটা যদি এতটুকু পরিমানও ভালো লাগে তবেই আমার এই পোষ্ট দেওয়া সত্যিই সার্থক হবে। লিংকটা হলো-- https://www.facebook.com/photo.php?v=1402672276624134&set=vb.100006441242833&type=3&theater

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

                

 

 

                          'কেভ অফ দ্যা উইন্ডস'।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

                            

 

 

                           নায়াগ্রা ফলসের স্টেট পার্ক।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 অবজারভেশন টাওয়ার ঠিক তার উপরই অনেক উচু করে বানানো হয়েছে হাফ সেতু।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

                                      

 

 

                          

                                            সমাপ্ত।

 

 

০ Likes ১৭ Comments ০ Share ১৪৬২ Views

Comments (17)

  • - ঘাস ফুল

    যেখানে জবাবদিহিতার কোন বালাই নাই, সেখানে অরাজতারও শেষ নাই। আমাদের দেশে তাই হচ্ছে। একেবারে টপ টু বোটম। এটা যদি বিবেচনায় নেয়া হয়, তবে আসলেই আমাদের দেশের মানুষ সব চেয়ে মজায় আছে। ধন্যবাদ সেলিম ভাই। 

    • - জামাল হোসেন সেলিম

      আমি যে দেশে আছি ৯ মিলিয়ন ডলারের প্রজেক্ট উঠিয়ে দিয়েও মাত্র দেড়শ ডলারের অসম্পূর্ণতার জন্য জবাবদিহি করতে করতে প্রান ওষ্ঠাগত হবার জোগাড় হয়। মন্ত্রী পর্যায় থেকে শুরু করে আইসক্রিম বিক্রেতা পর্যন্ত সমাজের প্রতি স্তরে এই কঠোর নিয়ন্ত্রন। যার সুফল ভোগ করছে পুরো জাতি।

      আর আমরা হতাশা ছাড়া আর কিছু দেখি না সামনে পিছে ডাইনে বাঁয়ে।

      ধন্যবাদ ঘাস ফুল ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

    - লুৎফুর রহমান পাশা

    ভাই আমরা খুব ভাল আছি। এত কিছুর পরেও যে আমরা বেচে আছি। সেটাই অনেক বড় বিস্ময়কর ঘটনা।

    • - জামাল হোসেন সেলিম

      হ্যাঁ ভাই ঠিক বলেছেন, এটা একটা বড় বিস্ময়। এভাবে একটা জাতি বেশি দিন বাঁচতে পারে না। ধন্যবাদ পাশা ভাই। শুভকামনা আপনার জন্য।

    - কামরুন নাহার ইসলাম

    সেলিম ভাই, আপনি যে এত কথা বলবার স্বাধীনতা  পেয়েছেন; তার জন্য একটু আল্লাহ্‌র দরবারে শুকরিয়া আদায় করুন !!! সত্যবাদীদের এ দেশে ঠাঁই নাই।

    অনেক শুভেচ্ছা সেলিম ভাই, ভাল থাকবেন।

    • - জামাল হোসেন সেলিম

      সত্যবাদীদের এ দেশে ঠাঁই নাই।

       এটাও একটা সত্য কথা। আপা আপনার ভয় করছে না?

      পোষ্ট লেখার সময় আমি ভেবেছি, অনেক ধরনের ধারানো খোঁচানো বা তিরস্কার মূলক কথা বার্তা হয়তো বা উপহার পাবো। সে যখন পাইনি, ভালই আছি বলতে হবে। অনেক দেরীতে আপনাদের রিপ্লাই দিতে হচ্ছে বলে দুঃখিত আপা।

      ধন্যবাদ আপনাকে।

    Load more comments...