Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

রাজীব নূর খান

৮ বছর আগে

আমাদের মানসিকতা এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, অন্যের কষ্ট দেখে, অন্যের অসহায়ত্ব দেখে আমরা মজা নিতেও কার্পণ্য করি না...

আমার ধারনা, তনু হত্যা কান্ডের সাথে সেনা বাহিনী জড়িত নয়। তার কারণ-সেনানিবাস জনগণ থেকে বিছিন্ন কোনো দ্বীপ নয়। সেনানিবাস বাংলাদেশ রাষ্ট্রেরই অংশ। সেনা সদস্যরা এদেশেরই সন্তান। আমাদের ভাই-বোন। সেনাবাহিনী আমাদের অহংকার। আমাদের অস্তিত্ব ও গৌরবের অন্যতম অংশীদার। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশের সেনাবাহিনীর সদস্যদের আত্মত্যাগ জাতি আজও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। 

একটা অপরাধের পেছনেও অদ্ভুত অদ্ভুত কারণ থাকতে পারে। অনেক গল্প থাকতে পারে। এক মা তো কয়দিন আগে দুই সন্তান খুন করলো। ডিটেক্টিভদের ...ভাষায় কোন অপরাধী সে যতই ধূর্ত/চালাক হোক না কেন, অপরাধ ঘটানোর পরে সে অকুস্থলে কোন না কোন নিদর্শন ঠিকই ফেলে যাবে। তাহলে এখনো পর্যন্ত কেন তনু হত্যার কোন গতি করতে পারলো না সরকারের তদন্ত সংস্থা?

সামরিক বাহিনীকে তাদের নিয়মেই চলতে দিন। সামরিক বাহিনীও মন্ত্রীদের মত বক্তব্য দিতে থাকলে কেমন হবে? সব বিষয়ে যদি নাক গলায় তাহলে দেশটা পাকিস্তান হয়ে যাবে। দেখুন পুলিশ কি বলে, কি করে। তারা কি এখন পর্যন্ত বলেছে সেনাবাহিনী সাহায্য করছে না তদন্তে? বিশ্বের প্রতিটি দেশেই ভিন্ন ভিন্ন সময় নানারকম অপরাধ কর্ম সংঘটিত হয়ে থাকে। এটি এমন নয় যে উন্নত বিশ্বে অপরাধ কম হয়। একটি সঠিক বিচারই পারে এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনা গুলোর অবসান ঘটাতে।

শাহবাগ মোড় কিংবা মহাসড়ক আটকে রাখবার ফলে প্রকৃত ভুক্তভোগী কিন্তু সাধারণ মানুষ আর দেশের অর্থনীতিই হচ্ছে। এমন প্রতিবাদ হ্ওয়া উচিত না যাতে সাধারণ জনগনের ভোগান্তি হয়। মানববন্ধন করতে করতে আন্দোলনকারী ভাই-বোনরা ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরবেন খুব শীঘ্রই। কবি জীবনানন্দ দাশ যেমন বলেছিলেন : সব পাখি ঘরে আসে — সব নদী; ফুরায় এ-জীবনের সব লেনদেন। আমার মতে- সব পাখি ঘরে আসে ফুরায় আন্দোলন। তবে, এই প্রজন্মের ছেলেপেলেরা এইবার তনুর পরিবারের পাশে দাড়িয়েছে-তনুর মা বাবা হঠাৎ আবিস্কার করেছে যে তারা আর এই যুদ্ধে একা নন-তাদের আশেপাশে তনুর হাজার হাজার ভাই বোন, বন্ধুবান্ধব দাড়িয়েছে। এরা সকলে মিলে বিচার চায়।

যেখানে ঘটনা ঘটেছে তাতে মনে হচ্ছে পরিচিত কেউই হবে যে তনুর নিয়মিত গতিবিধির রুটিন জানতো। চুল কেটে ফেলেছিল, মুখ থেতলে ফেলেছিল, কিন্তু শরীরের অন্য কোথাও মাথার মত গুরুতর আঘাত নেই। এ থেকে মনে হতে পারে ঘটনার পেছনের মানুষদের প্রধান লক্ষ্যই ছিল হত্যা কিংবা প্রতিহিংসা চিরতার্থ করা। যে নাট্যদলের হয়ে সে কাজ করত সেই নাট্যদলের কারোর সাথে কোনো ঝামেলা ছিল কিনা সেই প্রশ্নও উত্থাপন করা যেতে পারে।

তনুকে নিয়ে অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকদের বাঁদরামির যেন কোন শেষ নাই। কোন ভিত্তি নাই এমন সংবাদ অহরহ দিয়ে যাচ্ছে। একশ্রেণীর সাংবাদিক নামের ইডিয়ট যা মনে আসে তাই লিখে যাচ্ছে দিনের পর দিন। এদের কেউ কিছু বলে না। তবে সব সাংবাদিক নয় অনেক নিষ্ঠাবান সাংবাদিক এখনো নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

বুক ফুলিয়ে গর্বে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা করে, আমরা বাঙালি। কিন্তু ... আজ আমি হতাশ। যাই হোক, সামনে পয়লা বৈশাখ। আর এরকম কোন গর্হিত ঘটনা দেখতে চাইনা।

০ Likes ০ Comments ০ Share ৩৪৫ Views