নারীদের শ্রম, অধিকার এবং সম্মানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যে সারা বিশ্বব্যাপী ১৯১১ সাল থেকে ৮ মার্চ কে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই নারী দিবসটি পালনের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের প্রাপ্য অধিকার আদায়ের এক দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে নিজেদের অধিকার আদায় এবং কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন অসংখ্য সুতা কারখানার নারী শ্রমিক। যাদের উপর সরকারি আইন-শৃংখলা বাহিনীরা অমানবিকভাবে দমন-পীড়ন চালায়। এবং যার কারনেই আজকের নারী দিবস পালন করা।
বিবর্তনের হাত ধরে আজ সামাজিক চিন্তাধারার পরিবর্তন হয়েছে। বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালনও হচ্ছে কিন্তু, নারীরা কি আজ সত্যিকার অর্থে তাদের শ্রমের ন্যায্য পাওনা, তাদের অধিকার ফিরে পেয়েছে? পায়নি। অধিকারতো দূরের কথা বরং এখনো তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়না। এমনকি, এ যুগেও তাদের উপর নানান রকম সামাজিক ও ধর্মীয় অনুশাসন চাপিয়ে দেওয়া হয়।
নারীদের অধিকার বিন্দুমাত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি আমি তা বলছিনা তবে, সম্পূর্ণভাবে যে প্রতিষ্ঠিত হয়নি সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। একথা অস্বীকার করতে কোন দ্বিধা নেই যে, নারীরা এখন পুরুষের তুলনায় এগিয়ে আছে এবং সমাজের সকল ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করেছে। কবিতার মাধ্যমে কবি নজরুলও সেকথা বলতে কার্পণ্য করেননি-
"পৃথিবীর যা কিছু সুন্দর চিরকল্যানকর,
অর্ধেক তার গডিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর"
"নারীর সমতা, সকলেরই উন্নয়ন" একথা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। তাই আসুন, নারী দিবসে সমাজের সকল নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হই...
Comments (4)
স্মৃতি সবসময়েই একটু বেদনাদায়ক হয়।
ধন্যবাদ। বেদনার সাথে আনন্দের অংশও কিন্তু কম থাকে না। এ দুটো নিয়েই তো জীবন।
amar boRo vai 21st intake er silen? 1158... aponi cinen take?
ধন্যবাদ। তবে এতোদিন পরে শুধু মাত্র ক্যাডেট নাম্বার দিয়ে চিনতে পারছি না। আমার ক্যাডেট নাম্বার ১২০৪। আপনার ভাইকে জিজ্ঞেস করতে পারেন, আমাকে চিনে কিনা।