এক বছর আগে অথাৎ ২০১৪ বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে বলেছিলাম ২০২০ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দশ নাম্বার দল নয় এক নাম্বার দল হিসাবে খেলবে। পোষ্টটা আজকে আবার দিব তবে এখন যা লিখতে চাইছি সেটা আগে লিখে নেই।
কথা ছিল ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেপ্টেম্বর ৩০,২০১৫ এর আগে রেকিং এ শীর্ষ আট দল খেলবে। বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ আর ভারতকে সিরিজ হারিয়ে সেটা নিশ্চিত করে।
কিন্তু কালো মেঘ আকাশে ভর করে তখনি যখন জিম্বাবুয়ে একটা সিরিজ আয়োজন করল ওয়েস্টইন্ডিজ আর পাকিস্তানকে নিয়ে। পরিসংখ্যান একটু ঘোলাটে হতে শুরু করল।
আগের বারও বলেছিলাম গাছে কাঠাল গোফে তৈল। এবারও তাই বলছি। এই পরিসংখ্যান আর মাথা ব্যাথা মনে হচ্ছে আমার দেশের মিডিয়া সাধারণ মানুষের মগজে ঢুকিয়ে দিয়েছে। আর তারাও এটা নিয়ে শুরু করছে মন্তব্য। ঐ দিন দেখলাম একজন খোলা চিঠি লিখছি বিসিবি বরাবর। বক্তব্যটা এমন, যেহেতু পাকিস্তান ষড়যন্ত্র করে এই সিরিজ আয়োজন করছে তাই বিসিবি ও একটা সিরিজ আয়োজন করুক কোন দূর্বল দলের সাথে।
আমি এইটার ঘোর বিরুধী। কিছু করতে হবে না, বাঙালী এমনিতেই পারবে।
সামনে দক্ষিন আফ্রিকা সিরিজ আছে। আজ পযন্ত রেকিং আর পরিসংখ্যান যা দেখলাম তাতে দক্ষিন আফ্রিকাকে মাত্র একটা ম্যাচ হারাতে পারলেই এই সব ষড়যন্ত্র তন্ত্র লাটে উঠবে।
হিসাব সহজ, এত ত্যানা প্যাচানোর কোন দরকার নাই শুধু দক্ষিন আফ্রিকাকে একটা ম্যাচ হারিয়ে দিলেই হল।
আচ্ছা, কিছু মানুষ যারা এই পরিস্তিতি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে তাদের মাথায় কি এটা নাই নাকি যে, এই বাংলাদেশ মাত্র কিছুদিন আগেই পাকিস্তান, ভারতকে হারিয়েছে সুতরাং দক্ষিন আফ্রিকাকেও হারানোর সামর্থ্য রাখে। তাহলে ভয়টা কোথায়?? রিস্ক নেওয়া। আরে বাবা রিস্ক নিতে পারলেই ত জয় আসবে, রিস্ক না নিয়ে নিজেদের কে দুর্ভল ভাবার কোন কারণ আমি দেখছি না।
এই ত্রিদেশী সিরিজ নিয়ে আমরা যত মাথা ঘামাব ততই আমাদের দূর্বলতা প্রকাশ পাবে। কি দরকার আছে এই সবের?
বরং এটা বলুন যাই কর না কেন বাছা ধনেরা আমরা ঠিকই খেলব,তোমাদের পরিসংখ্যানের দিকে তাকিয়ে নয় বরং নিজেদের খেলার যোগ্যতা দিয়ে।
বাস্তবতার কথা বলি, বাংলাদেশ পাকিস্তান,ভারতকে হারিয়েছে সুতরাং দক্ষিন-আফ্রিকাকেও হারাবে। সেই দিন আর নাই, খেলতে নামার আগে বলত আমার ভালো খেলব, এখন বলে আমরা ভালো খেলব, এবং জিতার জন্যই খেলব। আগে সিরিজ শুরু আগে বলত সিরিজে ভাল করতে চাই,দুয়েকটা ম্যাচ জিততে চাই, এখন বলে সিরিজ জিততে চাই।
মানসিক উন্নতিটা যেমন হয়েছে তেমনি হয়েছে খেলাতে। আরো হবে চিন্তার কোন কারণ নাই।
সুতরাং টেনশন না করে নাকে তেল দিয়ে ঘুমান আর অপেক্ষা করুন দক্ষিন-অাফ্রিকার আগমনের। আর নিজেদের মানসিক চিন্তাটাও উন্নতি করুন টাইগারদের মত। তাহলেই হবে।
গত বছরে আমার লেখাটা হুবহু নিচে দিয়ে দিলাম।
আমার কাছে খুব অবাক লাগে একটা বিষয় যা বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে
নিয়ে। ২০২০ সালের বিশ্বকাপে নাকি বাংলাদেশকে বাছাই পর্ব খেলে তার পরে খেলতে হবে। আইসিসির কথা হল র্যাকিং এর শীর্ষ আট দল খেলবে সরাসরি আর বাকী দুই দল খেলবে বাছাই পর্ব থেকে। আইসিসি এটা উল্লেখ করেনি যে বাংলাদেশকে বাছাই পর্ব খেলতে হবে। আইসিসির এই সিদ্ধান্ত আমাদের দেশের কিছু ক্রিকেটবোদ্ধার গায়ে লেগেছে। তারা এই নিয়ে আইসিসির বেশ কঠোর সমালোচনাও করেছে। একটা কথা মনে পড়ে গেল- গাছে কাঠাল গোফে তৈল। কোথায় ২০২০ সাল আর কোথায় ২০১৪ সাল। কোথায় উনারা দেশের ক্রিকেটকে কিভাবে উন্নতি করা যায় তা নিয়ে কথা বলবেন তা না করে উল্টো আইসিসির সমালোচনায় ব্যাস্ত। আমার মতে ত আইসিসি বাংলাদেশের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে যে তোমরা ভাল খেল আর জায়গা করে নাও। কোথায় লক্ষ রাখবে কিভাবে র্যাকিংএ শীর্ষ দলে জায়গা করে নেওয়া যায় তা না করে কিভাবে বিশ্বকাপে খেলা যায় সেই চিন্তায় ব্যাস্ত। আমার ত মনে হয় যদি বাংলাদেশ ২০২০ সালের বিশ্বকাপে বাছাই পর্ব ছাড়া সরাসরি খেলতে পারে মানে শীর্ষ দল হিসাবে খেলে তাহলে বিশ্বকাপটা বাংলাদেশের ঘরেই উঠবে।
আমি মনে করি বাংলাদেশ দলকে এই সিদ্ধান্তটাকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়ে আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। চলার পথে বাধা আসবেই তাই বলে কি ভয় পেলে বা পিছিয়ে পড়লে চলবে। আমার বিশ্বাস ২০২০ সালে বাংলাদেশ র্যাকিং এর ১০ নাম্বার দল নয় ১ নাম্বার দল হিসাবেই অংশ অগ্রহন করবে। আমরাও সেই দিনটার অপেক্ষায় যেইদিন আর কোন দল বাংলাদেশের সাথে খেলতে চাইবেনা বরং আরো খেলার জন্য উন্মূখ হয়ে থাকবে। সেই দিনটির অপেক্ষায় যে দিন এ দেশের দামাল ছেলেরা তাদের ঘরে সোনার কাপ জয় করে নিয়ে আসাবে।
ভয় নয় সমালোচনা নয় আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে যত বাধাই আসুক না কেন। বাঙ্গালী বীরের জাতি। এরা কখনো মাথা নিচু করার নয়।
কথা ছিল ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেপ্টেম্বর ৩০,২০১৫ এর আগে রেকিং এ শীর্ষ আট দল খেলবে। বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ আর ভারতকে সিরিজ হারিয়ে সেটা নিশ্চিত করে।
কিন্তু কালো মেঘ আকাশে ভর করে তখনি যখন জিম্বাবুয়ে একটা সিরিজ আয়োজন করল ওয়েস্টইন্ডিজ আর পাকিস্তানকে নিয়ে। পরিসংখ্যান একটু ঘোলাটে হতে শুরু করল।
আগের বারও বলেছিলাম গাছে কাঠাল গোফে তৈল। এবারও তাই বলছি। এই পরিসংখ্যান আর মাথা ব্যাথা মনে হচ্ছে আমার দেশের মিডিয়া সাধারণ মানুষের মগজে ঢুকিয়ে দিয়েছে। আর তারাও এটা নিয়ে শুরু করছে মন্তব্য। ঐ দিন দেখলাম একজন খোলা চিঠি লিখছি বিসিবি বরাবর। বক্তব্যটা এমন, যেহেতু পাকিস্তান ষড়যন্ত্র করে এই সিরিজ আয়োজন করছে তাই বিসিবি ও একটা সিরিজ আয়োজন করুক কোন দূর্বল দলের সাথে।
আমি এইটার ঘোর বিরুধী। কিছু করতে হবে না, বাঙালী এমনিতেই পারবে।
সামনে দক্ষিন আফ্রিকা সিরিজ আছে। আজ পযন্ত রেকিং আর পরিসংখ্যান যা দেখলাম তাতে দক্ষিন আফ্রিকাকে মাত্র একটা ম্যাচ হারাতে পারলেই এই সব ষড়যন্ত্র তন্ত্র লাটে উঠবে।
হিসাব সহজ, এত ত্যানা প্যাচানোর কোন দরকার নাই শুধু দক্ষিন আফ্রিকাকে একটা ম্যাচ হারিয়ে দিলেই হল।
আচ্ছা, কিছু মানুষ যারা এই পরিস্তিতি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে তাদের মাথায় কি এটা নাই নাকি যে, এই বাংলাদেশ মাত্র কিছুদিন আগেই পাকিস্তান, ভারতকে হারিয়েছে সুতরাং দক্ষিন আফ্রিকাকেও হারানোর সামর্থ্য রাখে। তাহলে ভয়টা কোথায়?? রিস্ক নেওয়া। আরে বাবা রিস্ক নিতে পারলেই ত জয় আসবে, রিস্ক না নিয়ে নিজেদের কে দুর্ভল ভাবার কোন কারণ আমি দেখছি না।
এই ত্রিদেশী সিরিজ নিয়ে আমরা যত মাথা ঘামাব ততই আমাদের দূর্বলতা প্রকাশ পাবে। কি দরকার আছে এই সবের?
বরং এটা বলুন যাই কর না কেন বাছা ধনেরা আমরা ঠিকই খেলব,তোমাদের পরিসংখ্যানের দিকে তাকিয়ে নয় বরং নিজেদের খেলার যোগ্যতা দিয়ে।
বাস্তবতার কথা বলি, বাংলাদেশ পাকিস্তান,ভারতকে হারিয়েছে সুতরাং দক্ষিন-আফ্রিকাকেও হারাবে। সেই দিন আর নাই, খেলতে নামার আগে বলত আমার ভালো খেলব, এখন বলে আমরা ভালো খেলব, এবং জিতার জন্যই খেলব। আগে সিরিজ শুরু আগে বলত সিরিজে ভাল করতে চাই,দুয়েকটা ম্যাচ জিততে চাই, এখন বলে সিরিজ জিততে চাই।
মানসিক উন্নতিটা যেমন হয়েছে তেমনি হয়েছে খেলাতে। আরো হবে চিন্তার কোন কারণ নাই।
সুতরাং টেনশন না করে নাকে তেল দিয়ে ঘুমান আর অপেক্ষা করুন দক্ষিন-অাফ্রিকার আগমনের। আর নিজেদের মানসিক চিন্তাটাও উন্নতি করুন টাইগারদের মত। তাহলেই হবে।
গত বছরে আমার লেখাটা হুবহু নিচে দিয়ে দিলাম।
আমার কাছে খুব অবাক লাগে একটা বিষয় যা বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে
নিয়ে। ২০২০ সালের বিশ্বকাপে নাকি বাংলাদেশকে বাছাই পর্ব খেলে তার পরে খেলতে হবে। আইসিসির কথা হল র্যাকিং এর শীর্ষ আট দল খেলবে সরাসরি আর বাকী দুই দল খেলবে বাছাই পর্ব থেকে। আইসিসি এটা উল্লেখ করেনি যে বাংলাদেশকে বাছাই পর্ব খেলতে হবে। আইসিসির এই সিদ্ধান্ত আমাদের দেশের কিছু ক্রিকেটবোদ্ধার গায়ে লেগেছে। তারা এই নিয়ে আইসিসির বেশ কঠোর সমালোচনাও করেছে। একটা কথা মনে পড়ে গেল- গাছে কাঠাল গোফে তৈল। কোথায় ২০২০ সাল আর কোথায় ২০১৪ সাল। কোথায় উনারা দেশের ক্রিকেটকে কিভাবে উন্নতি করা যায় তা নিয়ে কথা বলবেন তা না করে উল্টো আইসিসির সমালোচনায় ব্যাস্ত। আমার মতে ত আইসিসি বাংলাদেশের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে যে তোমরা ভাল খেল আর জায়গা করে নাও। কোথায় লক্ষ রাখবে কিভাবে র্যাকিংএ শীর্ষ দলে জায়গা করে নেওয়া যায় তা না করে কিভাবে বিশ্বকাপে খেলা যায় সেই চিন্তায় ব্যাস্ত। আমার ত মনে হয় যদি বাংলাদেশ ২০২০ সালের বিশ্বকাপে বাছাই পর্ব ছাড়া সরাসরি খেলতে পারে মানে শীর্ষ দল হিসাবে খেলে তাহলে বিশ্বকাপটা বাংলাদেশের ঘরেই উঠবে।
আমি মনে করি বাংলাদেশ দলকে এই সিদ্ধান্তটাকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়ে আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। চলার পথে বাধা আসবেই তাই বলে কি ভয় পেলে বা পিছিয়ে পড়লে চলবে। আমার বিশ্বাস ২০২০ সালে বাংলাদেশ র্যাকিং এর ১০ নাম্বার দল নয় ১ নাম্বার দল হিসাবেই অংশ অগ্রহন করবে। আমরাও সেই দিনটার অপেক্ষায় যেইদিন আর কোন দল বাংলাদেশের সাথে খেলতে চাইবেনা বরং আরো খেলার জন্য উন্মূখ হয়ে থাকবে। সেই দিনটির অপেক্ষায় যে দিন এ দেশের দামাল ছেলেরা তাদের ঘরে সোনার কাপ জয় করে নিয়ে আসাবে।
ভয় নয় সমালোচনা নয় আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে যত বাধাই আসুক না কেন। বাঙ্গালী বীরের জাতি। এরা কখনো মাথা নিচু করার নয়।