দারিদ্রতা, অভাব যেটাই বলিনা কেন, সুস্থ্য মস্তিস্কের মানুষকে এমন অবস্থায় রাখে যেন সর্বদা দুশ্চিন্তা ভাবনার উর্ব্ধে নয়। সময়ের অপূর্ণতা অসময়ে পূরণ এর সার্থকতা কতটুকু সে প্রশ্ন থেকেই যায়। খুব দূর অতীতে নয়- নীকট অতীতেই যখন হাসান তার প্রিয়জনের সাথে রেস্টুরেন্টে খাওয়ার পর নিজে বিল দিতে যাবে তখন মনে হল তার পকেটেতো এক হাজার টাকার নোট নেই। খুব স্বাভাবিক ভাবেই তার মনে প্রশ্ন জাগে প্রিয়জনের সামনে কীভাবে একশ টাকার নোটগুলো বের করে বিল দিবে। মনে ভীষণ দূর্বলতা ছিল। টাকা না থাকলে এটা খুব অস্বাভাবিক কিছু না। ইচ্ছে থাকলেও সে বিল তাকে দিতে হয়নি।
সেই হাসানের আজ সুদিন এসেছে। দু-পকেট ভর্তি টাকা। অথচ মাত্র কয়েক বছর আগের কথা ভাবলেই বর্তমানটা তার কাছে স্বপ্নের মত মনে হয়। তুমি আমি কী- এখন কারো এগুলো দেখার সময় নাই। তবে- তোমার কি আছে এবং কতটুকু আছে সেটাই আসল বিষয়।
এতকিছুর পরেও মনুষ্যত্ব বলে একটি কথা থেকে যায়। তা-নাহলে কেও একজন তার শার্ট কেনার টাকা বাচিঁয়ে অন্যের জন্য গিফট কিনবে কেন। রক্তের সম্পর্ক নেই এরকম কারো দেয়া সামান্য কষ্টে দরজা লাগিয়ে কেনই বা চিৎকার করে কাঁদবে।
শুধু রক্তে নয়, সম্পর্ক হয় আত্নার মিলনে। সবাইতো আর হাসান নয়, এমন অনেক হাসান আছে- সাফল্যের চূড়ায় উঠতে না পারা পর্যন্ত একটি নতুন ব্যান্ড এর শার্ট গায়ে জড়াবেনা বলে প্রতিজ্ঞা করেছে।
এরা টাকা পয়সা চায় না, দামি মোবাইল চায় না। চায় শুধু একটু অনুপ্রেরণা একটু ভালোবাসা।
সবশেষে মন থেকে একটি কথাই বলব, অসময়ের দুই বিলিয়ন টাকা- সময়ের দুই হাজার টাকার শূণ্যতা কোনভাবেই পূরণ করতে পারবেনা।