Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

জামান একুশে

৮ বছর আগে

অশরীরী

চকমকির আলোয়ান গায়ে রূপালী জোছনার সাথে এক্কাদোক্কা খেলতে খেলতে সময় কাটছিল মৃদুলের। বাঁশঝাড় লাগোয়া নদীর এই ঘাটটাতে পা ঝুলিয়ে বসলেই নদীর পানিকে ছুঁয়ে ফেলা যায়। ভরা পূর্ণিমার সাথে যৌবনবতী নদীর এই আস্ফালন একান্তে উপভোগ করে মৃদুল। শুধু মাঝে মধ্যে এসে হানা দেয় উপেন্দ্র কিশোর। বলে একটু সরে বসরে খোকা। জল জোছনা আমিও খুব ভালোবাসি। মৃদুলের বেশ রাগ হয়। এমনিতেই সে তার জল-জোছনায় কাউকে ভাগ দিতে চায়না। তারমধ্যে আবার উপেন্দ্র বাবুর গা থেকে ভেসে আসে উৎকট পোড়া গন্ধ। মৃদুল বিরক্তি নিয়ে বলে – আপনি এখন যানতো কাকাবাবু! পৃথিবীর এই জল-জোছনায় আপনার কোন অধিকার নেই। আপনি এখন অতীত। উপেন্দ্র বাবু বিষন্ন হয়। যদিও দেখে তা বোঝা যায়না। কারণ তার চেহারার অনেকটাই পোড়া, ঝলসানো। বলেন আমি অতীত বর্তমান কোথাও নাইরে খোকা। এমনকি স্বর্গেও না নরকেও না। তোরা আমাকে একোন জায়গায় ফেললি? 

মাস খানেক আগে এই গুরুদাসপুর গ্রামের শ্মশান ঘাটে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। উপেন্দ্র কিশোর নামে এক ষাট বছরের বৃদ্ধকে দাহ করার সময় সে হঠাৎ করে চিৎকার দিয়ে উঠলে উপস্থিত লোকজন ভয়ে পালিয়ে যায়। পরে অবশ্য উপেন বাবুকেও আর পাওয়া যায়নি।

১ Likes ০ Comments ০ Share ৩৪৭ Views