Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

অবাক করা ঘটনাঃ সাপকে বিয়ে করতে গিয়ে গ্রেফতার তরুণ




                                                 

বিয়ের তারিখ : ৪ এপ্রিল ২০১৫
মন্ডপ : শিবমন্দির – বড়য়াপুর, ফুলপুর, উত্তরপ্রদেশ

পাত্র : সন্দীপ পটেল

পাত্রী : জনৈক কিং কোবরা (নাগিন)

এমন বিবাহের কথা জানলে যা হতে পারে তাই ঘটেছিল সেদিন | এমন বিয়ের সাক্ষী থাকতে হাজির হয়েছিলেন আশেপাশের গ্রামের ছেলে, বুড়ো, মেয়ে নির্বিশেষে প্রায় ১২০০০ থেকে ১৫০০০ মানুষ | গ্রামের ছেলে সন্দীপের সেদিনই বিয়ের করার কথা তার আগের জন্মের প্রেয়সী নাগিন-কে |

ওই তো সন্দীপকে নিয়ে মন্দিরের দিকে এগিয়ে আসছে তার বাবা দয়াশংকর আর মা | পুরোহিতও প্রস্তুত বিয়ের সব আয়োজন সেরে | ভেঙে পড়েছে দশ গ্রামের লোক | বিশেষত মহিলারা উপস্থিত করজোড়ে, কেউ নতজানু, কেউ স্থানু | এমন সময় হঠাৎ করে অনাহুতের মতো হাজির পুলিশ | শান্তিভঙ্গের দায়ে গ্রেফাতার করল হবু বর আর তার বাবাকে | এদিকে ততক্ষণে সুযোগ বুঝে পিঠটান দিয়েছে পুরুত | ফলে ভেস্তে গেল বিয়ে | রে রে করে উঠল হাজির জনতা | ওদিকে পুলিশও নাছোড়বান্দা | শেষমেষ সকাল আটটা থেকে হাজির হওয়া সব লোককে সরিয়ে দিতে বেজে গেল প্রায় দুপুর আড়ইটে |

ঘটনার শুরু ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখ | সেদিনই বাড়ি ফিরে এসেছিল সন্দীপ | বছর খানেক আগে রোজগারের আশায় পাড়ি দিয়েছিল সুরাটে | তারপর যখন বাড়ি ফিরল তখন সে অসুস্থ, খানিকটা নেশাগ্রস্তের মতো | চাল-চলন কেমন যেন সাপের মতো | যেন ভর হয়েছে কারো | বলতে লাগল সে আসলে ‘ইচ্ছাধারী নাগ’, চাইলেই ফিরতে পারে সাপের শরীরে | বলল গ্রামেরই এক শিবমন্দিরে তার সঙ্গে দেখা হয়েছে এক নাগিনের, যে তার পূর্ব জন্মের প্রণয়ী | তাকে দেখেই সব কথা মনে পড়ে গেছে সন্দীপের | আর সেই নাগিনের ইচ্ছাতেই ওই শিব মন্দিরেই বিয়ে হবে তাদের | বাতাসের হলকা লাগা আগুনের মতোই ছড়িয়ে পড়ল কথাটা | আর তারই ফল এই আয়োজন, এই জনসমাগম |

কথাটা পুলিশের কানেও গিয়েছিল | তারা দেখা করলেন হবু বরের বাবা দয়াশংকরের সঙ্গে | পুলিশি চাপে সে লিখিত ভাবে কথা দিলো কোনো রকম সমস্যা তৈরি করবে না তারা | সে কথা রাখেনি সন্দীপ আর তার বাবা-মা | তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়েই তাদের গ্রেফতার করল পুলিশ |

এই ভাবেই আর প্রেয়সী সাপিনীকে আর বিয়ে করা হয়নি সন্দীপের | যাঁরা এখনো ভাবছেন বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর তাঁদের জন্য আর একটি তথ্য – পুলিশি তদন্তে জানা গেছে DDU হাসপাতালে মানসিক রোগের ট্রিটমেন্ট চলছিল সন্দীপের | সেই সব মেডিক্যাল রিপোর্ট আর প্রেসক্রিপশন এখন পুলিশের হস্তগত |

তবে এতে করে পুলিশের সাপ-শাপান্ত করছেন বিয়েতে উপস্থিত সবাই |
  ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট) পোস্ট পর্যবেক্ষণ
১ Likes ০ Comments ০ Share ৪২৬ Views