Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

সুমন আহমেদ

১০ বছর আগে

অনুবাদ

(১৯৩২ – ১৯৬৩)

সিলভিয়া প্লাথ ১৯৩২ সালের ২৭ অক্টোবর বোস্টন, ম্যাসাচুসেটস এ জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ও মায়ের মধ্যে যখন পরিচয় ঘটে তখন মা অরেলিয়া স্কবার বোস্টন ইউনিভার্সিটির মাস্টার্সের ছাত্রী আর বাবা অটো প্লাথ সেই ভার্সিটির অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৩২ সালে জানুয়ারিতে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বাবা অটো প্লাথ জার্মান ভাষা এবং জীববিদ্যা শেখাতেন এবং মৌমাছি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ছিলেন।

১৯৪০ সালে সিলভিয়া প্লাথের আট বছর বয়সে তার বাবা ডায়াবেটিকস থেকে সৃষ্ট জটিলতার কারণে মারা যান। বাবা ছিলেন একজন কঠোর প্রকৃতির, তার স্বৈরাচারী মনোভাব এবং মৃত্যু উভয়ই তার সম্পর্ক এবং কবিতায় প্রতিফলিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল তার শোক পূর্ণ এবং বিখ্যাত কবিতা “ড্যাডি”।

সিলভিয়া প্লাথ যৌবনে সাফল্যের জন্য উচ্চাভিলাষী ছিলেন। মাত্র এগার বছর বয়স থেকেই তিনি দিন পঞ্জিকা লিখতেন এবং তখন থেকেই আঞ্চলিক পত্রিকা এবং সংবাদপত্রে তার কবিতা প্রকাশিত হতে শুরু করে। মাত্র গ্রাজুয়েশন শুরু করছেন, সে সময়ে ১৯৫০ সালে তার প্রথম জাতীয় প্রকাশনা ‘ক্রিশ্চিয়ান সাইন্স মনিটর’ প্রকাশিত হয়। তিনি ছিলেন এক ব্যতিক্রমী শিক্ষার্থী কিন্তু তা সত্ত্বেও বিষণ্ণতা জনিত কারণে ১৯৫৩ সালে এবং পরবর্তীতে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান এবং এরই মাঝে ১৯৫৫ সালে গ্রাজুয়েশন সমাপ্ত করেন।

গ্রাজুয়েশনের পর তিনি ‘ফুলব্রাইট’ স্কলারশিপ নিয়ে ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ যান। ১৯৫৫ সালের শুরুতে একটি অনুষ্ঠানে ইংরেজ কবি টেড হিউজের সাথে সাক্ষাৎ হয় এবং কিছু দিন যেতে না যেতে ১৯৫৬ সালের ১৬ জুন তারা বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন।

১৯৫৭ সালে প্লাথ ম্যাসাচুসেটসে ফিরে আসেন এবং রবার্ট লোওয়েলের অধীনে অধ্যয়ন শুরু করেন। ১৯৬০ সালে তার প্রথম কবিতা গ্রন্থ ‘কলোসাস’ প্রথমে ইংল্যান্ডে এবং তার দু বৎসর পর আমেরিকায় প্রকাশিত হয়। এরপর তিনি ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন এবং সেখানে তিনি ১৯৬০ ও ১৯৬২ সাথে ফ্রিডা এবং নিকোলাস হিউজ নামে দুটি সন্তানের জন্ম দেন।

টেড হিউজ অ্যাসিয়া গুটমান ওয়েভিল নামক মহিলার কারণে প্লাথকে পরিত্যাগ করেন। তখন শীতকাল চলছিল, প্লাথ গভীর বিষণ্ণতার মধ্যে দিন অতিবাহিত করতে থাকেন। সে সময়েই তিনি তার সবচেয়ে বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘এরিয়েল’ এর অন্তর্ভুক্ত বিখ্যাত কবিতাগুলো লিখেন।

১৯৬৩ সালে প্লাথ ভিক্টোরিয়া লুকাস ছদ্মনামে তার আধা আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘বেলজার’ রচনা করেন। তারপর, ১৯৬৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী স্মরণকালের সর্বাধিক তীব্র শীতের এক দিনে ডাক্তার ডাকার নির্দেশ দিয়ে তার নিচতলার প্রতিবেশীকে একটি নোট লিখেন এবং তারপর তার গ্যাসের চুলার আগুনে আত্মহত্যা করেন।

 

প্লাথের কবিতা প্রায়শই স্বীকারোক্তিমূলক আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিল এবং সেগুলো শিক্ষক রবার্ট লোয়েল ও সহকর্মী ছাত্র এ্যান সেক্সটোন এর সাথে তুলনা করা হত। প্রায়শই, তার কাজ চিহ্নিত করা হয়ে থাকে সহিংস চিত্রাবলী এবং অনুপ্রাস ও মিলের কৌতুকপূর্ণ ব্যবহারের কারণে।

একমাত্র জীবিতাবস্থায় কলোসাস প্রকাশিত হলেও প্লাথ ছিলেন একজন মেধাবী কবি। তার মৃত্যুর পর এ্যারিয়েল সহ তার কর্মের তিনটি ভলিউম হিউজ প্রকাশ করেন, যার মধ্যে তার কবিতাও অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং যা ১৯৮২ সালে ‘পুলিৎজার’ পুরস্কারে ভূষিত হয়। তিনি ছিলেন প্রথম কবি যিনি মৃত্যুর পর পুলিৎজার পুরস্কার জয় করেন।

[মূল ইংরেজী দেখতে: (http://www.poets.org/poet.php/prmPID/11)]

 

 

পেশা:

লেখক এবং কবি। কলেজে পড়া অবস্থায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পিপোল’স ইনিস্টিটউট, নর্দাম্পটন, এম এ-তে চারুশিল্প শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। অতিথি সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন মেডিমইসেলে, সামার, ১৯৫৯ সালে। ১৯৫৭-৫৮ সাল পর্যন্ত স্মিথ কলেজে ইংরেজি শেখান।

 

বসবাস:

১৯৫৮-৫৯ সালে বোস্টনে এবং ইয়াডোতে ১৯৫৯ সালে। ১৯৫৯ সালে লন্ডন, ইংল্যান্ডে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন, তাপর ডেভন, ইংল্যান্ডে।

 

গ্রন্থপঞ্জি:

 

কবিতা:

দি কলোসাসা এণ্ড আদার পয়েম’স ( ১৯৬০, উইলিয়াম হেনিনম্যান)

এরিয়েল (১৯৬৫, ফেবার এণ্ড ফেবার)

থ্রি উইমেন: এ মনলগ ফর থ্রি ভয়েসেস (১৯৬৮, টুরেট)

ক্রসিং দি ওয়াটার (১৯৭১)

উইন্টার ট্রিজ (১৯৭১)

দি কালেক্টেড পয়েম’স (১৯৮১)

সিলেক্টেড পয়েম’স (১৯৮৫)

প্লাথ: পয়েম’স (১৯৯৮)

সিলভিয়া প্লাথ রিডার্স, হারপার অডিও (২০০০) (অডিও)

 

গদ্য ও উপন্যাস:

দি বেল জার: এ নোভল (১৯৬৩), ‘ভিক্টোরিয়া লুকাস’ ছদ্মনামে।

লেটার্স হোম: করেসপন্ডেনস ১৯৫০-১৯৬৩ (১৯৭৫)

জনি প্যানিক এণ্ড দি বাইবেল অফ ড্রিমস: ছোট গল্প, গদ্য, এবং ডায়েরি উদ্ধৃতাংশ (১৯৭৭)

দি জার্নাল অফ সিলভিয়া প্লাথ (১৯৮২)

দি ম্যাজিক মিরর (১৯৮৯), প্লাথ’স স্মিথ কলেজ সিনিয়র থিসিস

দি আনাব্রিজড জার্নালস অফ সিলভিয়া প্লাথ, কারেন ভি কুকিল কর্তৃক সম্পাদিত (২০০০)

 

শিশুতোষ বই:

দি বেড বুক (১৯৭৬)

দি ইট-ডাজেন্ট-ম্যাটার-স্যুইট (১৯৯৬)

কালেক্টেড চিলড্রেন’স স্টোরিজ (ইউকে, ২০০১)

মিসেস. চেরিস কিচেন (২০০১)

 

 

সিলভিয়া প্লাথ- এর দু’টি কবিতা

 

ডেড এণ্ড কোং

দুজন, অবশ্যই সেখানে দুজন

মনে হচ্ছে পুরোপুরি স্বাভাবিক এখন---

একজন যে কখনও চোখ তুলে তাকায় না, যার চোখ দুটো ঢাকা

এবং বলের মতো? ব্লেকের চোখের মতো

যে প্রদর্শন করে

 

জন্ম দাগগুলো যা তার সনাক্তকরণ চিহ্ন---

যেন তপ্ত পানির ছেঁকার ক্ষতচিহ্ন

নগ্ন

তামাটে জং শকুনির দেহে।

আমি লাল মাংস পিণ্ড, তার ঠোঁট

 

পাশাপাশি সজোরে রাখে: আমি তার আদৌ নই

আমাকে সে বলে কত বাজে ভাবে তুলি ছবি।

আমাকে সে বলে কত মিষ্টি দেখতে

শিশুরা তাদের হাসপাতালে

বরফ-বাক্সে, সরল

 

একটি ঝালর ঘাড়ে

তারপর তাদের আইওনিয়ানে বাঁশি তুলে সুর

মৃত্যু- গাউনে।

তারপর ছোট ছোট দুটো পা।

সে হাসে না, ধোয়া পান করে না।

 

করে তা অন্যজনে

তার চুল লম্বা ও সুন্দর

জারজ যেন

হস্তমৈথুনে ঠিকরে বেরুনো

ভালবাসা পেতে চায়।

 

আমি নড়ি না

তুষারপাতে তৈরি হয় ফুল

শিশিরের তারা

মৃত্যু ঘন্টা,

মৃত্যু ঘন্টা।

কারো বেজে গেল যেন।

Dead & Co.

Two, of course there are two.

It seems perfectly natural now ---

The one who never looks up, whose eyes are lidded

And balled? like Blake's.

Who exhibits

 

The birthmarks that are his trademark ---

The scald scar of water,

The nude

Verdigris of the condor.

I am red meat. His beak

 

Claps sidewise: I am not his yet.

He tells me how badly I photograph.

He tells me how sweet

The babies look in their hospital

Icebox, a simple

 

Frill at the neck

Then the flutings of their Ionian

Death-gowns.

Then two little feet.

He does not smile or smoke.

 

The other does that

His hair long and plausive

Bastard

Masturbating a glitter

He wants to be loved.

 

I do not stir.

The frost makes a flower,

The dew makes a star,

The dead bell,

The dead bell.

Somebody's done for.

 

শব্দেরা

কুঠার

যার কোপে কাঠ শব্দ করে ওঠে

এবং তোলে প্রতিধ্বনি!

কেন্দ্র হতে শব্দগুলো পরিভ্রমণে রত

ঘোড়াদের মত।

 

রস

বেরিয়ে আসে অশ্রুর মত, যেন

প্রচেষ্টারত পানি

তার স্বচ্ছতাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চায়

পাহাড়ের গা বেয়ে

 

যা পতিত এবং ঘূর্ণয়মান

একটি সাদা মাথার খুলি,

আগাছায় ভরা সবুজে ভক্ষিত।

বহু বছর পরে আমি

পথের ওপর তাদের মুখোমুখি সংঘর্ষে যেন পড়ি---

 

শুষ্ক এবং সওয়ারহীন শব্দেরা,

অক্লান্ত খুরের খটখট।

তখনি

পুকুরের তলদেশ হতে, স্থির তারকারা

এ জীবন চালিত করে।

The Words

Axes

After whose stroke the wood rings,

And the echoes!

Echoes traveling

Off from the center like horses.

 

The sap

Wells like tears, like the

Water striving

To re-establish its mirror

Over the rock

 

That drops and turns,

A white skull,

Eaten by weedy greens.

Years later I

Encounter them on the road----

 

Words dry and riderless,

The indefatigable hoof-taps.

While

From the bottom of the pool, fixed stars

Govern a life.

 

***

১ Likes ৩৮ Comments ০ Share ১১২৭ Views

Comments (38)

  • - কে এম রাকিব

    ছোট্ট গল্প। পড়তে বেশ লাগে। কাব্যিক গদ্য।  বলা যায় একটি কবিতার জন্ম নিয়ে লিখেছেন।  
    যা লক্ষনীয় তা হল, সিগারেটের প্যাকেটের পারসোনিফিকেশন( বাংলায় ব্যক্তিত্ব আরোপ?)

    বেশ লাগল গল্পটি। মনে হচ্ছে আপনার লেখা আগে কোথাও পড়েছি। 
    শুভ কামনা রইল রাবেয়া রব্বানি। 

    • - রাবেয়া রব্বানি

      রাকিব আমি আপনাকে শব্দনীড়ে পাঠক হিসাবে পেয়েছি। অনেক শুভেচ্ছা জানবেন

    - তাহমিদুর রহমান

    স্বাগতম নক্ষত্র ব্লগে। 

    • - রাবেয়া রব্বানি

      ধন্যবাদ ভাই

    - ঘাস ফুল

    নক্ষত্রব্লগে স্বাগতম। প্রথম পোস্টের জন্য রইলো অভিনন্দন। 

    লেখাটার ক্যাটাগরি নির্দিষ্ট করে দেন নাই বলে ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না এটা কী ছোট গল্প, অণুগল্প বা স্মৃতিচারণ টাইপের কিছু কিনা। যাহোক, লেখাটা আমার বেশ পছন্দ হয়েছে। রাকিব যেটা বলল কাব্যিক গদ্য। কথাগুলো বেশ গুছানো এবং স্পষ্ট অভিব্যক্তি। প্রতিটি লাইনে বেশ আত্মবিশ্বাস আছে। আপনার লেখার হাত বেশ ভালো। ধন্যবাদ রাবেয়া। 

    • - রাবেয়া রব্বানি

       আসলে নতুন ব্লগ বলে বুঝে উঠিনি। তবে মাঝে মাঝে নিজেই বুঝিনা কোন ক্যাটাগরীতে লিখলাম। আপনার লেখাও আমি পড়েছি। আপনিও খুবি ভালো লিখেন। ধন্যবাদ জানবেন।

    Load more comments...