ইংরেজীতে সে বরাবরই ভালো কিন্তু টেস্টে এত কম কীভাবে পেল বুঝতে পারছে না চিত্রা। শ্রেণি শিক্ষক হামিদুর স্যার (হিমু স্যার নামে পরিচিত) বললেন তোমাকে প্রপার গাইড করলেই রেজাল্ট আশানুরুপ হবে। তুমি আগামী সপ্তাহ থেকে বিকেলের ব্যাচে এসো আমি দেখবো তোমার বিষয়টা। হিমু স্যারের এমনিতেই খুব সুনাম। তিনি ভালো শিক্ষক। তার কাছে কেউ পড়তে চাইলেও সিট সংকুলান না হওয়াতে পড়ার সুযোগ পাওয়া যায়না। কিন্তু স্যার তাকে আলাদাভাবে এত গুরুত্বদিয়ে বলেছে যে নিজেকে খুব ইম্পর্টেন্ট মনে হচ্ছে।
এরপর থেকে চিত্রা নিয়মিত স্যারের কাছে পড়তে যায়।
এক বিরামহীন বৃষ্টি বেলার মন কেমন করা বিকেলে সে স্যারের বাসায় উপস্থিত। কিন্তু সেদিন অন্য কেউ পড়তে আসেনি। ইলেক্ট্রিসিটি না থাকায় প্রায় অন্ধকার একটা রুমে সে অজানা আশংকায় ভীত হয়ে পড়ছিল। এমন সময় স্যার রুমে প্রবেশ করলেন।
আহা ! তুমিতো একেবারে কাকভেজা হয়ে গেছ। ঠান্ডা লাগবেতো! দাড়াও আমি তোমার জন্য তোয়ালের ব্যবস্থা করছি।
ভয়ে চিত্রার গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছিল। সে কোনরকম আড়ষ্ট কণ্ঠে বলল স্যার আর কেউ পড়তে আসবে না?
আরতো কারো আসার কথা না। আজকে শুধু তোমার জন্য স্পেশাল ক্লাস। একথা শুনে চিত্রার হাত পা অবশ হয়ে চোখে অন্ধকার নেমে এলো।
এরপরের ঘটনা আর তার মনে নেই। শুধু তার চারপাশের স্বপ্নীল পৃথিবীটা হয়ে উঠেছিল দুঃস্বপ্নের অমনিবাস।
একদিন সংবাদপত্রগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদের সাথে ভিতরের পাতায় একটি গুরুত্বহীন সংবাদ ছাপল- “অজ্ঞাত কারনে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা"
Comments (0)
like it
ভাললাগা জানালাম...!
অনেক অনেক ভাললাগা...