Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

Gareth Bale-জন্মও পরিচয়

কেউ বলে গ্যারেথ বোল্ট,কেউ ওয়েলস প্রিন্স,কেউ আবার বলে হ্যান্ড্রেড মিলিয়ন ম্যান।
১৬জুলাই ১৯৮৯ সালে কার্ডিফে জন্ম গ্রহণ করে বেল।বেল ছিল কার্ডিফ সিটির ফুটবলার ক্রিস এর ভাগ্নে।

স্কুল জীবন

শৈশব কালের শুরুতে বেল হুইটচার্চের ঈগলস নিউওয়েড প্রাইমারি স্কুলে পড়াশুনা করে।
এরপর বেল হুইটচার্চ হাই স্কুলে ভর্তি হয় 
এই স্কুলে থাকা কালেই মাত্র ১৪বছর বয়সে সে ১০০মিটার দৌড় মাত্র ১১.৪ সেকেন্ডে কমপ্লিট করে।তার অসাধারণ স্কিলে মুগ্ধ হয়ে সেই স্কুলের PE শিক্ষক স্পেশাল রুল করতে বাধ্য হয়েছিল।তবে সেখানে কিছু সীমাবদ্ধতাও ছিল।সেই রুলে তাকে ওয়ান টাচ ফুটবল খেলার জন্য বলা হয়েছিল।সে ফুটবলে এতোই পারদর্শী ছিল যে সে ১৬বছর বয়সী হওয়া সত্ত্বেও স্কুলের অনুর্ধ্ব১৮ এর হয়ে খেলতো।
স্কুলের শেষ বর্ষে সে স্পোর্টসের জন্য PE ডিপার্টমেন্ট হতে পুরস্কার পায়।

ফুটবল জীবন

ফুটবল জীবনের শুরুতে বেল কার্ডিফ সিভিল সার্ভিস দলের হয়ে খেলা শুরু করে।

সাউথহ্যাম্পটন ১৯৯৭-২০০৬

১৯৯৭-২০০৬ পর্যন্ত গ্যারেথ বেল সাউথহ্যাম্পটনের যুব দলে এ একজন লেফট ব্যাক হিসেবে খেলত।ফ্রিক কিকের ক্ষেেত্র তার অসাধারণ দক্ষতা ছিল।এপ্রিল১৬,২০০৬ সালে Millwall বিপক্ষে সাউথহ্যাম্পটনের জার্সিতে তার অভিষেক হয়।উক্ত ম্যাচটি সাউথহ্যাম্পটন ২-০তে জিতে।সাউথহ্যাম্পটনের জার্সিতে তার প্রথম গোল হয় ডার্বি কান্ট্রির সাথে।উক্ত ম্যাচে ডার্বি কান্ট্রি ১-০তে এগিয়ে থাকলেও বেলের ফ্রিকের মাধ্যমে ১-১ হয়।পরে সেই ম্যাচ ২-২ ড্র হয়।
সাউথহ্যাম্পটনের জার্সিতে সে ৪৫ম্যাচে ৫গোল করে।

জাতীয় দল
২০০৫-২০০৬ এর শুরু পর্যন্ত বেল ওয়েলস এর অনুর্ধ্ব ১৭ তে খেলতো।এরপর ২০০৬ এর মাঝের দিকে বেল অনুর্ধ্ব১৯ এ খেলত।
এরপর সে ২০০৮ এর শেষের দিকে তার অসাধারণ প্রতিভায় ওয়েলসের জাতীয় দলে চান্স পায়।

টটেনহাম ২০০৭-২০১৩ 
২৫মে,২০০৭ এর শুরুতে বেল ৭মিলিয়নের বিনিময়ে বেল টটেনহামে পাড়ি জমায়।টনেনহামে থাকা অবস্থায় তার অসাধারণ প্রতিভা আর পরিশ্রমে মুগ্ধ হয়ে কোচ তাকে ফরওয়ার্ড লাইনে খেলানো শুরু করে।
টটেনহামের জার্সিতে তার ডেবুট হলো প্যাট্রিক'স অ্যাথলেটিকের বিপক্ষে ফ্রেন্ডলি ম্যাচে।তার অফিসিয়াল ম্যাচ ডেব্যু হয় ম্যান ইউ এর বিপক্ষে।
সে যেন বিপদের বন্ধু ছিল।যখনই টটেনহাম বিপদে পড়ত সে তখনই যেন স্কোর করে দলকে হার থেকে বাঁচাতো।
১সেপ্টেম্বার,২০০৭ এ ফুলহামের সাথে ৩-২ গোলে যখন পিছিয়ে থাকার সময় বেল গোল করে দলকে হার থেকে বাঁচায়।
২ ডিসেম্বর,২০০৭ এ বিরমিনঘাম সিটির প্লেয়ার ফ্যাবরিকের আঘাতে বেল ইন্জুরীতে পড়ে।যার ফলে বেল ২০০৭-২০০৮ এর বাকি ম্যাচগুলো বেল খেলতে পারে নি।
২০০৮-২০০৯ সিজনে বেল যেন টটেনহাম কোচের অটো চয়েজ হয়ে উঠল।

টটেনহাম ২০০৯-২০১০

ইন্জুরী থেকে ফিরে ২০০৯-২০১০ সিজনে বেল যেন টটেনহামের প্রাণ হয়ে উঠল।কিন্তুু ভাগ্যে তার বেশী ম্যাচ খেলার সুযোগ হলো না।পায়ের ইন্জুরী যেন তাকে আবার পেয়ে বসল।ফলাফল ২মাসের মতো ছিটকে গেল।ইন্জুরির কারণে সে প্রি সিজন আর সিজনের প্রথমের ম্যাচগুলো মিস করেছিল।
২৬ সেপ্টেম্বার বার্নিলে বিপক্ষে ৮৫মিনিটের সাবস্টিটিউটে তার কাম ব্যাক হয়।
কিন্তুু ইন্জুরী থেকে ফিরেই যেন তার কপাল পুড়ল।সে সময় Benoît Assou-Ekotto এর ভালো ফর্মের জন্য বেশির ভাগ সময়ই বেলকে বেনচে থাকতে হতো। Assou-ekatto ইন্জুরিতে পড়লে টটেনহাম কোচ হ্যারি বেলকে খেলার সুযোগ করে দিলেন।এ সময় টটেনহাম কোচ তাকে লেফট উইঙ্গে খেলালেন।সে তার ফুটবল নৈপুণ্যে প্লেয়ার অফ দা রাউন্ড অফ সিক্সটিন এবং এপ্রিল মাসের বারক্লেস প্লেয়ার অফ দা মান্থ নির্বাচিত হয়।
৭মে,২০০১০ এ ইউ সি এল কোয়ালিফাইয়ের পর বেল উক্ত ক্লাবের সাথে আরও ৪বছরের চুক্তি রিনিউ করে।
২১ আগষ্ট বেল স্ট্রোক সিটির বিপক্ষে জোড়া গোল করে।যার একটি ভলি দিয়।সেই গোলটি বিবিসি কর্তৃক আগষ্ট মাসের সেরা গোল হয়।
ইউ সি এল প্লে অফ পর্বে Young boys এর সাথে ৬-৩ এগ্রিগেটের ৪গোলে বিশেষ ভূমিকা রাখে বেল।কিন্তুু ইতোমধ্যে Assou-ekatto আবার ইন্জুরী থেকে ফিরে আসে।যার ফলে কোচ আবার তাকে লেফ্ট ব্যাক পজিশনে খেলানো শুরু করে।
২৯ সেপ্টেম্বর,২০১০ এ বেল Fc Twente এর বিপক্ষে টটেনহামের হয়ে প্রথম ইউ সি এল গোল করে।এই বছরেই বেল Faw কর্তৃক ওয়েলস প্লেয়ার অফ দা ইয়ার নির্বাচিত হয়।
২০ অক্টোবর,২০১০ এ বেল ইন্টার মিলানের সাথে তার প্রথম হ্যাট্রটিক করে।এই বছরের ডিসেম্বরে বেল বিবিসি ওয়েলস স্পোর্টস এওয়ার্ড পায়।

টটেনহাম ২০১১-২০১২

আগের সিজনের মতো এ সিজনেও বেল লেফ্ট ব্যাক হিসেবে তার সিজন শুরু করে।এ সিজনে সে wigan Athletic,queen park Rangers,Fulham,Bolton wanderers,Nowich city বিপক্ষে গোল করে।এর মধ্যে কে Queen park Rangers এবং Norwich city এর বিপক্ষে সে জোড়া গোল করে।Bolton wanderers এর বিপক্ষে সে অতি দ্রুততম গোল করে।

টটেনহাম ২০১২-২০১৩

এ সিজনের শুরুতে বেল লেফ্ট ব্যাক হিসেবে নয় একজন উইঙ্গার হিসেবে শুরু করে।
২৯ সেপ্টেম্বার বেল ম্যান ইউ এর সাথে গোল করে।এই ম্যাচটিতে ম্যান ইউ তাদের মাটিতে টটেনহামের সাথে ১৯৮৯ সালের পর হারে।

রিয়াল মাদ্রিদ ২০১৩-বর্তমান

কাকা,ওজিলের বিদায়ের পর মাফিয়া পেরেজের চোখ পড়ে টটেনহামের প্রাণ গ্যারেথ বেলের উপর।রোনালদোর রেকর্ড পরিমাণ ট্রান্ফার ফি ভেঙে পেরেজ বেলকে মাদ্রিদে নিয়ে আসে।মাদ্রিদ হেটাররাও পেয়ে বসলো পেরেজকে।কিছু মাদ্রিদ সমর্থকরাও ব্যাপার টা ভালো চোখে দেখলো না।কেউ না বুঝলেও পেরেজ যেন বেলের কদর ঠিকই বুঝেছিলেন।তাইতো হেটারদের জবাব তিনি দিয়েছিলেন মুচকি হাসিতে।কে বা জানতো এই হাসিতেই ছিল অনেক রহস্য । মাদ্রিদে এসেই দখল করলো মারিয়ার পজিশন।নতুন কোচ ডন কার্লো মারিয়াকে খেলালো মিডে।দ্রুত মানিয়ে নিলো মাদ্রিদের সাথে।
কোপা দেলরে এর ফাইনালে মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ রাইভাল টিম বার্সা ।কিন্তুু সাথে ছিল না বন্ধু রোনালদো।প্রাইসট্যাগ নিয়ে খোঁটা দেওয়া রাইভালদের জবাব যেন তিনি হাতে নাতে দিলেন।মারিয়ার বাড়িয়ে দেওয়া বলে চোখ ধাধানো গোলে মাদ্রিদকে এনে দিলো কোপা দেল রে।
24 জুন,২০১৪ তে ইউ সি এল এ মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ অাথলেটিকো।৩৫মিনিটের গোলে ১-০তে পিছিয়ে থেকে রামোসের স্কোর লেভেল গোল।কিন্তুু তখনও ম্যাচ শেষ হয় নি।বেল ১-১ কে ২-১কে পরিণত করে মাদ্রিদস্তাদের জয় এনে দেয়।ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালেও বেল করেছে ১টি গোল।
২০১৩-২০১৪ সিজনে মাদ্রিদের ৪টি ট্রফির ৩টিতেই গোল করেছে বেল।
বর্তমান পর্যন্ত বেল রয়েছে মাদ্রিদে।পালন করে যাচ্ছে দলের সাফল্যে অন্যতম ভূমিকা। 

০ Likes ০ Comments ০ Share ৫৫৮ Views