Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"সাহিত্য" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

কৃষ্ণেন্দু দাস

৬ বছর আগে লিখেছেন

"সহযাত্রী আমরা"

“সহযাত্রী আমরা”
রাত একটা ত্রিশ, সাইরেনের তীক্ষ্ণ হুইসেল- হঠাৎ চুরমার করে দিল রাতের সবটুকু নীরবতা। সামনে জমাট বাঁধা অন্ধকার, ঠিক যেন অনিশ্চয়তার মত। আমাদের যেতে হবে অনেক দূর; সীমান্ত পেরিয়ে পায়ে হাঁটা পথে আরো প্রায় ত্রিশ মাইল… আমরা চলেছি দিশেহারার মত- ভীতু হরিণের ক্ষিপ্রতায়; আমাদের একে অপরের সাথে কথোপকথন নেই, সময় ভীষণ কম। পাছে ধরা পড়ে যাই- রাতের বাতাসে গাছের পাতায় উন্মাদিনী’র ক্রন্দন। ধোঁয়াটে আকাশে চিরচেনা একফালি নবমীর চাঁদ; তার থিকথিকে আলোয় চরাচর যেন খুব বেশি করে অচেনা- ঠিক খেই হারিয়ে ফেলা প্রসঙ্গের অস্বস্তি হয়ে জড়িয়ে রাখার মত। এখন রাত খুব বেশি গভীর, হয়তো তিনটে কি আরো বেশি। আমরা তের জন... continue reading

১০৪

হাসান হামিদ

৬ বছর আগে লিখেছেন

বাঙলা কবিতায় নারী ভাবনা

হুমায়ূন আজাদ স্যার আমার খুব প্রিয় লেখকদের একজন । স্যার নারী সম্পর্কে অদ্ভুত বাস্তব কিছুকে ভাবতেন, শুধু ভাবতেন না; এ বিষয়ের শিরোনামে পুরো একটি বই তিনি লিখেছিলেন । নারী-পুরুষ ভাবনায় তাঁর একটি লেখায় পড়েছিলাম,
“ছেলেটি তার বিছানা গুছিয়ে না রাখলে মা খুশি হয়, দেখতে পায় একটি পুরুষের জন্ম হচ্ছে; কিন্তু মেয়েটি বিছানা না গোছালে একটি নারীর মৃত্যু দেখে মা আতংকিত হয়ে পড়ে” প্রজাতি হিসেবে নারী-পুরুষ আলাদা তাদের শরীর-বৃত্তিয় বৈশিষ্ট্যের নিরীখে এ কথা আমরা সকলেই জানি, বিশ্বাসও করি। কিন্তু আধিপত্যশীল পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারী-পুরুষের স্বাভাবিক পৃথক সত্তাকে যখন কর্তৃত্বের রাজনীতিতে ফেলে দেশ-কাল-সমাজ ভেদে প্রতিনিয়ত নির্মাণ করে চলে, তখন নারী-পুরুষ নির্মিত হয়... continue reading

২০৭

কৃষ্ণেন্দু দাস

৬ বছর আগে লিখেছেন

"অমানুষ"

"অমানুষ"
আস্তাকুঁড়ের মত অপরিচ্ছন্ন কোন এক আঁতুর ঘরে,
ফ্যাকাশে এক আলো আঁধারির মাঝে-
কেটেছিল তার জন্মলগ্নের কিছু অব্যক্ত প্রহর।
শৈশবের অনাহারি দিনের মাঝেও কী যে এক অদ্ভূত কায়দায় সে
রপ্ত করল ভাঙ্গা-গড়ার এক অত্যাশ্চার্য্য খেলা, যে খেলার কোন নিয়মনীতি নেই, নেই কোন সময়সীমা। যৌবনে সে পুরোদস্তুর সচেতন এক চেতনা।।
মিথ্যে, ঘৃনা, অহংকার আর অনাচার দেখলেই
গায়ে যেন আগুন জ্বলত তার, সে চাইতো তার চারিপাশের সব বিশৃঙ্খলাকে ভেঙ্গে চুরে তছনছ করে দিতে... তার বয়স তো থেমে ছিলনা কখনোই,
তাই কোন এক পরিনত লগ্নের স্নিগ্ধতার মাঝে
তার অন্তরের গভীরে অনুভূত হল এক অজানা আমন্ত্রন। যে আমন্ত্রনকে অগ্রাহ্য করার ক্ষমতা কারুর নেই, থাকেনা কোন... continue reading

১৫০

কৃষ্ণেন্দু দাস

৬ বছর আগে লিখেছেন

"অদূরদর্শী দুঃস্বপ্ন"

"অদূরদর্শী দুঃস্বপ্ন" স্বপ্নাতুর কোটরাগত চোখদুটো মেলে আমি আবার তাকাই সামনে-
দৃষ্টিসীমার পুরোটা জুড়েই তখন জমাট বাঁধা অন্ধকার;
যান্ত্রিকতার যাতাকলে অবিরত পিষ্ঠ হতে হতে এই মন বড় বেশি নির্মোহ আজ। বিভীষিকারূপী হায়েনার ঝাঁকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে
তবু আমি ফিরতে চাই শুভ্রতার বসত ভিটায়।। ধোঁয়াশার আঁধারে কখন জানি বেড়ে গিয়েছে বয়স;
দেহের এই প্রাচীন জীর্ণ দেয়াল বেয়ে উঠেছে অনেক লতা-গুল্ম।
আমার বয়ষ্ক হাত, মুখের বলিরেখা-
সবকিছু খুব অচেনা মনেহয় আজ। অথচ, সেই প্রিয় যাচিত সময়- যখন আড়ষ্টতার শৃঙ্খল খুলে বেরিয়ে পড়েছি ঢের,
লাগাম ছেড়ে দুরন্ত ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে পার হয়েছি মাঠ-ঘাট, বন-প্রান্তর।। অদূরদর্শী দুঃস্বপ্নের মতই সামনে এবার প্রতীক্ষিত অনাগত দিন,
যেদিনের আকাশে থাকবেনা চাঁদ; continue reading

২১২

রেজা

৬ বছর আগে লিখেছেন

প্রভু

প্রভু
ভুলিনি কভু
সকলি তোমার দান
তোমাতে সঁপেছি এই প্রাণ
সদা সর্বদা করি তোমার জয়গান
মোরা তোমারি সকাশে যাঁচি সদাই পরিত্রাণ।
ওগো তোমার দয়ায় তোমার মায়ায়
দয়া করে করোগো উপায়
তুমিই আজি সহায়
এই দুনিয়ায়
দয়াময়।
মোদের অন্যায়
অবিচারে মোরা কলঙ্কময়
ক্ষমা চাহিতেছি তোমার দরজায়
তুমি অসীম দরদী দয়াল করুণাময়
পাপিষ্ঠ ক্ষমা চায় বঞ্ছিত করোনা আমায়।
continue reading

১৯২

চারু মান্নান

৬ বছর আগে লিখেছেন

একুশ সে তো কথার মালা

একুশ সে তো কথার মালা
একুশ সে তো কথার মালা
রক্ত ঢেলে পেয়েছি মোরা।
মায়ের কথায় মালা গাঁথা
বাংলায় মোদের জন্মকথা।
আমের মুকুলে মৌ মৌ গন্ধ
দক্ষিণের খোলা জানলা ফাগুনে
শোক গাঁথা সেই একুশের গানে
শোক যাপনে তাই ফাগুন ফিরে।
কোথায় তারে রাখি মাগো?
রক্তের ঋণ শুধিবো কি সে?
চেতনার ঘ্রাণ মন মননে মনে
এ কোন দিশা ছড়িয়েছে বনে বনে?
মায়ের ভাষা বিশ্বজুড়ে জনে জনে
এমন শান্তি পরম প্রাপ্তি কোন খানে?
চেতনার বানে মশাল উঠুক জ্বেলে
মায়ের তরে রক্তঋণ ঘুচাব আলো জ্বেলে।
৮ ফাল্গুন/বসন্তকাল/১৪২৪
(একুশের ফেব্রয়ারীর বীর শহীদানের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলী)
continue reading

১৭০

রেজা

৬ বছর আগে লিখেছেন

অপার

দেখি নাই যারে শুধু বলি তারে
রেখো দয়া করে শান্তির পরপারে
আঁধারের মাঝে ঘোরাঘুরি করি
জীবনের আলো দেখিতে না পারি।
জীবন জোয়ারে দেখি বারে বার
চারিদিকে শুধু দেখি অন্ধকার
চক্ষু মুদিয়া যবে দেখি আপনারে
দেখি সেথা তারে আশাহত অন্তরে।
মুক্তির আশা নাই কোথা তার
জগতে শুধু আশা যাওয়া সার
তোমার দয়ার জগৎ সংসার
করুণা ভিক্ষা চাইগো তোমার
দয়াল মওলা দয়াল খোদা অপার।
#রেজা ২০/২-২০১৮
continue reading

১২৭

চারু মান্নান

৬ বছর আগে লিখেছেন

তোমারই বোল কিনেছি মাগো

তোমারই বোল কিনেছি মাগো
তোমার বোলে মুক্তির কথা
বজ্রমুষ্টি আর স্লোগানে; আঁকিতে ব্যনার ফেষ্ঠুন রং এ রাঙা
মুক্তির মৌলিক অধিকারে।
তোমার বোলে লড়াইয়ের গান
মিছিল ব্যানার জনে জনে; যাতনা কত সয়েছে প্রাণ?
তোমারই কথার স্বপ্ন বানে।
তোমারই বোলে স্বপ্নের জাল
পৃথিবী জুড়ে মাতৃভাষা গর্বভরে; তাজা প্রাণের রক্ত দানে
তোমারই বোল কিনেছি মাগো।
১৪২৪/২১ মাঘ/শীতকাল।
continue reading

১৫৫

চারু মান্নান

৬ বছর আগে লিখেছেন

মাগো তোমার শোকের বসন

মাগো তোমার শোকের বসন
একুশ এলো মাঘের শীতে
কুয়াশায় ডুবা ভোরে
শিশির ঝরে ঘাসের ডগায়
আকাশের খোলা দোরে।
মায়ের বোলে কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে
সর্ষে ফুল গায়
হলুদ রাঙা বেশুমার রং এ
একুশের কথা কয়।
মাগো তোমার শোকের বসন
তোমারই বেদনার তরে
ফিরে এলো একুশ বছর ঘুরে
তোমারই উঠান পরে।
continue reading

১৭৯

অনুপম শেখর

৬ বছর আগে লিখেছেন

ভুলে যাবো

ব্রিজের উপর মরে পড়ে আছে একটা কুকুর।
বিশ্রী গন্ধে যখন গা গুলায়, আমি টের পাই আমার ভেতরটায়ও ওরকম দুর্গন্ধ।
কত ইচ্ছে মরে যায় রোজ ; স্বপ্ন মরে যায় মানুষদের।
নদীতে একটা মাছ ধরা নৌকা দেখে মনে পড়ে যায় ,
সিন্দাবাদ হতে চেয়েছিলাম শৈশবে।
পাশ কাটিয়ে সাঁইসাঁই করে ছুটে যাওয়া মালবাহী ট্রাকের উপর ঘুমন্ত কিশোরের মুখটা বড্ড চেনা!
আমার ঘুমন্ত মুখখানা দেখতে কেমন? (বড্ড জানতে ইচ্ছে করে।)
মৃত কুকুরটার মুখে অতৃপ্তির ছাপ ;
(যেন "মানুষ" বলে গালি দিচ্ছে!)
এখনও মাঝেমাঝে শালতলা চলে যাই,
শৈশবের কতগুলো টুকরো পড়ে আছে ওখানে।
কমল পাগলার জন্য আমার মন কাঁদে কেন!
সে কি বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে?
একদিন তাকে মন... continue reading

২৫০