একটি দেশকে শোষণ মুক্ত রাষ্ট্র তখনই বলা যাইতে পারে যখন কিনা শোষণের বিরুদ্ধে শোষিতের যুদ্ধ/ বিদ্রোহ/আন্দোলন জারি থাকে । কাল সবাই ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বরে তৈরি শোষণ-মুক্ত দিনের কথা মনে করে বিজয় উৎসব পালন করবে । কিন্তু একাত্তুরের সেই ১৬ ই ডিসেম্বরের পরের দিন থেকে আজকেরদিন পর্যন্ত এই অঞ্চলের মানুষ যেই শোষণ প্রতিনিয়ত বয়ে বেড়াচ্ছে কিংবা সহ্য করেই চলছে তার বিরুদ্ধে শোষিতের একটা নিরুত্তাপ দৃষ্টিভঙ্গি সর্বদা জারি ছিল । কিন্তু এই নিরুত্তাপ দৃষ্টিভঙ্গির কারণ কি ? একাত্তুর সালের ১৬ই ডিসেম্বর পরবর্তী শোষণ কি তাহলে শোষণের মধ্যে পরে না ? দুর্বৃত্তদের তৈরিকৃত লুণ্ঠনের রাজনীতি কি গত ৪২ বছরে কম শোষণ করে আসছে ? যদি তা না হয় তাহলে শোষিতের এই নিরুত্তাপের কারণ কি হতে পারে ?
অবশ্যই তার একটাই উত্তর হতে পারে আর তা হল এখানকার মানুষ এইটাই মেনে নিয়েছে যে একাত্তুর সালের ডিসেম্বর মাসের পর থেকে আর কোন দুর্বৃত্ত এইখানে তৈরি হয় নাই কিংবা হবে না । অর্থাৎ বিনা কারণে শোষণের জন্য কোন দুর্বৃত্ত শাসক জনগোষ্ঠী তৈরি হবে না । তাই কালকে আমরা হয়ত একাত্তুর সালের ১৬ই ডিসেম্বরের দিন উপস্থিত থাকা শোষণ-মুক্ত দেশকে মনে করে বিজয় উৎসব করতে পারব কিন্তু তার পরবর্তী পরাধীন দিনগুলার কথা মনে করে আমাদের কেঁদে যেতেই হবে যদি না এই সব শোষণের বিরুদ্ধে শোষিতেরা সোচ্চার কণ্ঠ তুলতে না পারে । আসুন আমরা দাসত্ব ত্যাগ করি আর প্রতিনিয়ত শোষণের বিরুদ্ধে দাঁড়াই যাতে করে শুধু ১৬ ই ডিসেম্বরই নয় , প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত বিজয়ের স্বাদ গ্রহণ করতে পারি ।
আসুন শোষণের বিরুদ্ধে বিপ্লবকে একটা চলমান রূপ দেই ।
আসুন দাসত্ব ত্যাগ করি ।
জয় সকল শোষিতের জয় । জয় লুণ্ঠনের রাজনীতিতে মৃত মানুষের জয় । জয় সকল মানুষের যারা প্রতিনিয়ত শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠ তুলতে পারে , সেইসব মানুষের জয় ।
Comments (13)
কবিতায় ভাললাগা...
শুভেচ্ছা অফুরান!!!
থ্যাঙকস
tai bolun kobi,,,,,,,,,,,
থ্যাঙকু