Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

~ নাহ !! এই ধরণী তলে, কাউরেই গুরুদক্ষিণা দিবার পারলাম না ~

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, তার মূলনীতি, তারে ঘিরা গইড়া ওঠা সংস্কৃতি , তারে পণ্য বানানোর রীতি , তারে ঘিরা গইড়া ওঠা, মহান এবং একই সাথে দরিদ্র রাজনীতি । -- অর্ক

~ নাহ !! এই ধরণী তলে, কাউরেই গুরুদক্ষিণা দিবার পারলাম না ~

এই জগতের যত নীতি নির্ধারক ;
এই ধরণী তলে
শুধু তোমাদেরই জয়গান
গাইতে পারলাম না হে গুরু
পারলাম না তোমাদের পরাকাষ্ঠা গোলাম হইতে
কিংবা তারপর যদি কিছু থাইকা থাকে
সেইটা হইতে ।

হ্যাঁ গুরু পারলাম না
তোমার চরণ ছুঁইয়া ফুল-সখি হইতে
হ্যাঁ গুরু পারলাম না তোমার স্নেহভাজন,
অপার তীর্থ যাত্রার সঙ্গী হইতে

নাহ !! এই ধরণী তলে,
তোমাদের কাউরেই গুরুদক্ষিণা দিবার পারলাম না
হে গুরু !! --- অর্ক


শিক্ষা বিস্তারই যদি নাইট শিফটের মূল উদ্দেশ্য হয়, হে মহান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষক সমাজ, তাহলে বাড়তি অর্থের বিনিময়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কেন নাইট শিফট চালু করতে চাচ্ছেন? বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান ফি’র মাধ্যমেই শিক্ষা বিস্তারের ঐ মহান কাজটা করুন না! আফটার অল লক্ষ টাকা খরচ করে নাইট শিফটে তো সবাই পড়তে পারবে না, তাইলে মহান শিক্ষা বিস্তার হবে কিভাবে! তবে শিক্ষা বিস্তারের মহান কাজটা শুরু করার আগে দয়া করে ভুলবেন না- বিশ্ববিদ্যালয় মানে পাঠশালা না যে সন্ধ্যার পরে কয়েকটা ক্লাশ রুম খুলে ক্লাশ লেকচার দিলেই মহান শিক্ষা বিস্তার সম্পন্ন হয়ে যাবে! বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞান সৃষ্টি, বিকাশ ও বিস্তারের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের মধ্যে ক্লশ রুমের সাথে সাথে পাঠাগার, গবেষণাগার থেকে শুরু করে থাকা-খাওয়ার ব্যাবস্থাও অন্তর্ভুক্ত। তাছাড়া বর্তমান শিক্ষকরা ক্লাস পরীক্ষা খাতা দেখা নিয়ে এমনিতেই ব্যাতিব্যাস্ত- তাদেরকে দিয়ে আরেকটা শিফট করাবেন না। নতুন শিক্ষক নিয়োগ দিন। তবে দলবাজি বা ভোট বাড়ানোর জন্য না, শিক্ষা বিস্তারের জন্য। নিজেদের বেতন বাড়ানোর জন্য আন্দোলন করুণ, সরকারের কাছে দাবী তুলুন, ছাত্রদের পকেট কাটবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়কে কোচিং সেন্টার কিংবা সার্টিফিকেটের দোকান বানাবেন না। বাজেট? রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ২০১২-১৩ সালের জন্য ছিল মাত্র ১৫৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা যার মধ্যে সরকারি বরাদ্দ ১৪৭ কোটি ৫০ লাখ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় থেকে ১১ কোটি টাকা সংস্থানের কথা। অনেকে হয়তো জানেন না, কিন্তু আপনারা তো জানেন, দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সরকারের বরাদ্দ কত সামান্য- ২০১১-১২ সালের হিসেবে মাত্র ১ হাজার ১২৯ কোটি টাকা! হাজার হাজার কোটি টাকার লুটপাটের এই দেশে, দুই লক্ষ কোটি টাকার বাজেটের এই দেশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতি এক/দেড়শ কোটি টাকা বরাদ্দ খুবই সামান্য, অপ্রতুল। শিক্ষা বিস্তার করতে চাইলে, শিক্ষাকে সর্বস্তরের আওতার মধ্যে রাখতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে- বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার পরিকল্পনার বিরোধীতা করুণ। শিক্ষা গবেষণা পাঠাগার ক্লাসরুম হল হোস্টেল ডাইনিং এর জন্য বাজেট বাড়ানোর দাবী তুলুন। শিক্ষা বিস্তারই যদি আপনাদের মহান উদ্দেশ্য হয় তাহলে সরকারের দালালি না করে, নিজেদের এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করুণ, প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে আসুন- অধিকারের দাবীতে রাস্তায় নেমে আসায় তো লজ্জা থাকে না, লজ্জা তো শিক্ষার্থীদের পকেট কাটায়। আপনারা রাস্তায় নেমে আসলে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই না, সারা দেশের মানুষ আপনাদের পাশে দাড়াবে। --- কল্লোল মুস্তোফা

০ Likes ১৬ Comments ০ Share ৫৬৭ Views

Comments (16)

  • - চারু মান্নান

    বেশ লাগল কবি,,,,,,একুশের শুভেচ্ছা,,,,,,,

    • - আলমগীর সরকার লিটন

      চারু দা

      ভাল লাগার জন্য

      অশেষ ধন্যবাদ

      একুশের শুভেচ্ছা রইল--

    - সুখেন্দু বিশ্বাস

    চেতনায় স্বর্ণ শিখর ভালো লাগল লিটন ভাই।

     

    শুভকামনা  সবসময়     

    • - আলমগীর সরকার লিটন

      ভাল লাগার জন্য

       

      অশেষ ধন্যবাদ

       

      একুশের শুভেচ্ছা রইল--