যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার পক্ষে এবার সাফাই গাইলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রধান ও সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান খান।
রেডিও পাকিস্তানের বরাত দিয়ে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন আজ মঙ্গলবার জানায়, গতকাল সোমবার পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে দেওয়া এক ভাষণে ইমরান খান দাবি করেন, ‘কাদের মোল্লা নির্দোষ। যে অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে, সেগুলোও “ভুয়া”।’
কাদের মোল্লাকে ‘নির্দোষ’ হিসেবে দাবি করতে গিয়ে ইমরান তাঁর বক্তৃতায় একজন মানবাধিকারকর্মীর কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, ওই মানবাধিকারকর্মীই নাকি তাঁকে বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এই নেতার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছিল, সেগুলোর ব্যাপারে তিনি কিছুই জানতেন না।
ইমরান খান বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর “ঢাকার পতন” আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে পুরো ব্যাপারটির নিষ্পত্তিই সে সময় গণতান্ত্রিকভাবেই হওয়া উচিত ছিল।’
গতকাল পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়। পাকিস্তান জামায়াতের সাংসদ শের আকবর খান এই প্রস্তাব উত্থাপন করলে তাতে সমর্থন জানায় সরকারি দল মুসলিম লিগ। এ ছাড়া ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ, আওয়ামী মুসলিম লিগ, পাকিস্তান মুসলিম লিগ (কায়েদে আজম) ও জমিয়তে উলামা ইসলাম এই প্রস্তাবে সমর্থন জানায়।
প্রস্তাবটিতে বলা হয়, বাংলাদেশের উচিত হবে না ৪২ বছর আগের পুরোনো ক্ষতকে নতুন করে জাগিয়ে তোলা। এতে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ-সংক্রান্ত সব ধরনের মামলা ‘পারস্পরিক সমঝোতা’র ভিত্তিতে প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে আনা এই প্রস্তাবে অবশ্য সমর্থন দেয়নি পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। পিপিপির সাংসদ আবদুল সাত্তার বাচানি পরিষদকে এ ধরনের প্রস্তাব গ্রহণ না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘পুরো বিষয়টিই বাংলাদেশের একান্ত অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের উচিত হবে না একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে এ ধরনের প্রস্তাব পাস করা।’
সূত্রঃ প্রথম আলো
Comments (8)
তারমানে গত বিয়াল্লিশ বছর যারা বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতায় ছিল, তাদের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘোষণা করতে হবে। ব্যাপারটা ভাবা যত সহজ, শুরু করা ততই কঠিন। কারণ আমাদের দেশে নিরপেক্ষ লোকের সংখ্যা হাতেগোনা। বাকী যারা আছে তারা সবাই কোন না কোন দলের সাপোর্ট করে। সুতরাং এই আন্দোলন কোন কালেই সম্ভব নয়। তবে যারা সৎ, সাহসী এবং শিক্ষিত, তারা যদি ধীরে ধীরে রাজনীতিতে যুক্ত হয়, এক সময় না এক সময় দেশের রাজনীতির চাকা ঘুরবেই ঘুরবে। তবে এর জন্য দরকার দীর্ঘ সময়ের। হতে পারে সেটা ৫০ বছর কিংবা তারও বেশী। এই দীর্ঘ সময়ে ধৈর্যচ্যুতি ঘটলে চলবে না। ধন্যবাদ অর্ক।
দেখুন নিরপেক্ষতাও পক্ষান্তরে একটি পক্ষের রাজনীতিকে সাপোর্ট অন্য পক্ষগুলার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে । আর যারা রাজনীতিতে যোগদান করছেন না , অর্থাৎ কোন রাজনৈতিক দলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে কোন কাজ করছ না , তারা যে রাজনীতির বাইরের লোক তা কিন্তু নয় । হয়ত তারা নির্বাচনী প্রচারণা থেকে শুরু করে হরতাল , বিক্ষোভ সমাবেশ , আন্দোলন অথবা বিপ্লবে শারীরিক ভাবে যুক্ত হচ্ছে না । কিন্তু তাদের ও কেউ কেউ টিভির সামনে বসে কিংবা রেডিওতে খবর শুনে কোন না কোন আন্দোলন কিংবা বিপ্লবের একাধারে মৌন সম্মতি এবং সংহতি জ্ঞাপন করেন । আবার কিছু কিছু লোক আছেন যাদের কাছে " রাজনীতি " চোখের বিষ । কিন্তু আপনি যেই রাষ্ট্র এর সদস্যই হওন না কেন রাষ্ট্র-যন্ত্রের কোন না কোন উপাদানের চালক কিন্তু আপনি নিজেই যার ফলে কোন রাষ্ট্রই আপনাকে রাজনীতির বাইরে রাখে না বরং আপনাকে হিসেবে রেখেই রাষ্ট্রের রাজনীতি এগিয়ে যায় । এখন বুঝতে হবে এইখানে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে যারা আছেন তারা আপনার প্রতি কিরূপ রাজনীতি করছে । তারা কি জনগণের মঙ্গলের জন্য কাজ করছে নাকি চুরি , ডাকাতি কিংবা লুণ্ঠন এর রাজনীতি ছাড়া তাদের মাথায় আর কিছু আসছে না । সুতরাং আপনি যেই রাষ্ট্রের জনগণ হওন না কেন আপনি রাজনীতির বাইরে কেউ না । আর যারা কিনা বলে " রাজনীতি " নোংরা জিনিষ , তাদের এই বিরাজনীতিকরনের রাজনীতি পক্ষান্তরে রাষ্ট্রের দুর্বৃত্ত শাসকদের লুণ্ঠন , চুরি ও ডাকাতিকেই সাপোর্ট দিয়ে যায় । আপনি রাজনীতি করছেন না বলে যেই বিরাজনীতিক মনোভাব তুলে ধরছেন পক্ষান্তরে তারা আপনার ভীত কিংবা আপনার অসহায় সত্ত্বা প্রকাশের বাহ্যিক রূপ । কিন্তু আপনি এই মনোভাব নিয়ে চললেও রাষ্ট্রের শাসক , তারা ভালো হোক কিংবা খারাপ হোক তারা আপনার সাথে রাজনীতি করা ছাড়বে না । তাহলে এখানে বুঝতে হবে যে রাজনীতি আসলে কোন খারাপ বা ভালো জিনিষ নয় । বরঞ্চ এইটা নির্ভর করে কে কোন দিকে তার রাজনীতি নিয়ে যাছে । অর্থাৎ শাসক গোষ্ঠীর রাজনীতি কি জন মানুষের কল্যাণের জন্য নাকি অন্যথা । অন্যদিকে জনগণ হিসেবে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নাগরিক , তার শাসক গোষ্ঠীর প্রতি কিরূপ রাজনীতি করছে , অর্থাৎ জনগণ হিসাবে তাদের জন প্রতিনিধিদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত কিনা কিংবা তারা তাদের নিজেদের এবং পক্ষান্তরে সকলের প্রতি দায়িত্বশীল কিনা সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে । আর না হলে গত ৪২ বছরের যেই পথ আমরা পাড়ি দিয়েছি সেই পথ ধীরে ধীরে আরো সরু হয়ে আসবে ফলে যে কোন সময় আমি কিংবা আপনি হারিয়ে যেতে পারি ।
আমি স্বীকার করে নিচ্ছি যে এইটা একদিনে সম্ভব না । কিন্তু এইটাও বলতে চাচ্ছি যে কোনদিন যদি শোষণ- মুক্ত সমাজ তৈরি হয়েও যায় , তার পরের দিন থেকে যাতে আমরা শোষণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ / বিপ্লব বন্ধ কিংবা থেমে না থাকে । পৃথিবী ধ্বংসের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত যাতে এই যুদ্ধ চলমান থাকে । যাতে করে আজ , কাল কিংবা আগামীতে কোন দিনই আমাদের কোন দুর্বৃত্তদের হাতে শোষিত না হতে হয় । আমাদের এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামকে একটি চলমান গতির রূপ দিতে হবে যা কখনই থামবে না ।
পুনশ্চ: কলেজে পড়ার সময় এক জনের কাছে শুনেছিলাম যে , আমরা ভাত খাওয়ার পরিবর্তে সকালে যে রুটি খাই , এইটা ভাতের প্রতি একরূপ রাজনীতি । কলেজ শেষে দেখলাম ঘটনা ঠিক তাই । আপনি যেই দিকে রাজনীতি করবেন রাজনীতিও সেই দিকেই এগুবে ।
সহমত
ধন্যবাদ ।
জয় সকল মানুষের যারা প্রতিনিয়ত শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠ তুলতে পারে , সেইসব মানুষের জয় ।
ধন্যবাদ ।