Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"ভ্রমণ" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

কামাল উদ্দিন

১০ বছর আগে লিখেছেন

রূপসী ঝর্ণা জাদিপাই

  বাংলাদেশের সব চেয়ে উঁচু গ্রাম পাসিং পাড়া (পাসিং পাড়া নিয়ে আমার একটা পোষ্ট আছে মেঘের উপর বাড়ি......ফটোব্লগ ) পার হয়ে খাড়া পথ নেমে গেছে জাদিপাই পাড়া । পথটা এতো বেশী খাড়া যে, কোন কোন অংশে পা ফেলা সত্যিই কঠিন । ৩০/৪০ মিনিট এই পথে হাটলেই জাদিপাই পাড়া । জাদিপাই পাড়া থেকে আরো প্রায় ৩০ মিনিট হাটলেই আপনি পৌছে যাবেন জাদিপাই ঝর্ণাতে । তবে জাদিপাই পাড়ার পর থেকে পথ আর তত বিপদজনক নয় অনেকটা পথই একেবারে সমতল কিন্তু ঝর্ণার কাছের অংশটা খুবই বিপদজনক পিচ্ছিল আর খাড়া ।
পাসিংপাড়ার উপর থেকে জাদিপাই পাড়াকে দেখতে এমনই, যেন সবুজের কোলে ঘুমিয়ে থাকা একটা ছোট্ট গ্রাম ।
জাদিপাই পাড়ায় ঢোকার মুখে বাশের গেইট ।
এমন খাড়া ঢাল বেয়ে শুধুই নেমে যাওয়া........
এক সময় পৌছে গেলাম জাদিপাই পাড়া ।
জাদিপাই এর শিশু ......
জাদিপাই পাড়া থেকে নেমে অনেকটা পথ সমতল, আর এই সমতল ভুমির পথটা বর্ষাকালীন লতাগুল্মে প্রায় ঢাকা ।
এবার আর একটু নামলেই জাদিপাই ঝর্ণা, এখানে দাড়িয়ে পাহাড়ের উপর ঐ দেখা যায় জাদিপাই পাড়াটা ।
দূর থেকে দেখা আমাদের ফেলে আসা পথ, সবুজের মাঝে ঐ লালচে খাড়া ঢাল বেয়েই আমরা নেমে এসেছি ।
এখান থেকেই আমাদের কানে আসছিল পানি পতনের মিষ্টি মধুর রিনিঝিনি আওয়াজ, তবে এই শেষের পথটুকু খুবই পিচ্ছিল আর বিপদজনক ও বটে ।
এক সময় সবুজ গাছ গাছালির ফাঁক দিয়ে আমাদের দৃষ্টি পড়লো ঐ ঝর্ণায়, মুহুর্তেই সব পথকষ্ট মিলিয়ে গেল হাওয়ায় ।
মিষ্টি মধুর কলকলানিতে পাথরের ধাপ বেয়ে নেমে অসম্ভব সুন্দর এই ঝর্ণার নামই জাদিপাই ঝর্ণা........
ঝর্ণার নেমে আসা পানির পুকুরে ঝর্ণার মতোই উচ্ছল আমরা.....
এক সময় আমরা আবার ফিরে আসি জাদিপাই পাড়ায়, আর ওখান থেকে যাবো পাসিং পাড়া.......
নিচ থেকে উঠার পথে এমনি দেখতে জাদিপাই পাড়া ।
খেলায় রত জাদিপাইয়ের শিশুরা ।
বন্যেরা বনে আর শিশুরা........
এক সময় ফিরে এলাম আমাদের পাসিং পাড়ায় । continue reading

২৬ ১৩৮১

কামাল উদ্দিন

১০ বছর আগে লিখেছেন

পথ চলতে চলতে.......২

  গ্রীষ্মকাল তার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাটাই ছড়িয়ে দিচ্ছে আজকে । নীল আকাশে পেজা পেজা সাদা কালো মেঘগুলো দেখে মন ভালো হয়ে যাবে যে কারো । এবারের আগাম বর্ষায় চারিদিকে সবুজের বিপুল সমারোহে হারিয়ে যেতে চাইবে যে কোন প্রকৃতি প্রেমিক । এমন দিন ক্যামেরাম্যানদের জন্য সব সময় আসে না। তো বেড়িয়ে পড়লাম বাইক আর ক্যামেরা নিয়ে............
নরসিংদীর পলাশ থানার চরনগরদী একটা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি, পিছন থেকে দেখে ভাবলাম গ্রাম্য বাচ্চাদের দ্বিগম্বর হয়ে চলাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
কাছে আসতেই দেখলাম এক হাতে বই-খাতা আর স্কুল ড্রেস অন্য হাতে কাঁদা মতো কিছু। ভাবলাম সহপাঠি কারো সাথে মারামারি করেছে বুঝি, জিজ্ঞাসিলাম কি ব্যাপার তোমার এমন অবস্থা কেনো।
ও বললো স্কুল থেকে ফেরার পথে কোন একটা ক্ষেতে কিছু মাছ ছিলো, যা সে ধরে আনতে গিয়ে এই অবস্থা। আমি চমৎকৃত হলাম।
ফিরে গেলাম আমার ছোট বেলায়, এমনি ভাবে দিগম্বর হয়ে কতো গোসল করেছি, কতো মাছ ধরেছি তার কোন হিসেব নাই । আপনাদের হিসাব আছে কি?
পথে চলতে চলতে........১ continue reading

১২ ৬৭০

কামরুন নাহার ইসলাম

১০ বছর আগে লিখেছেন

পোখরা - নেপাল রানী

তখন ২০১২ সাল। কর্তা আমার, নেপালে কর্মরত।  নেপালের পূর্বাঞ্চলীয় শহর “ধারান”-এ তার অবস্থান।  আমি বাংলাদেশে। নেপাল দেখবার বহু বছরের শখটা আবারও নড়েচড়ে উঠছে। একদিন উঠে পড়লাম বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজে। এক ঘন্টা পনের মিনিটের উড়াল। তারপরেই কাঠমান্ডু “ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর”। কর্তা এসেছেন ধারান থেকে কাঠমান্ডুতে। আমি নিরাপদেই পৌছুলাম নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে। প্রোগ্রাম ঠিক করা হলো, এক সপ্তাহ কাঠমান্ডু থেকে, নেপালের দর্শনীয় স্থানগুলো দেখে, তারপর ফিরব ধারান। দেখব, কাঠমান্ডুর পশুপতিনাথ মন্দির, বুদ্ধাস্তুপা, পাটান দরবার স্কয়ার, সয়্যম্ভুনাথ, ভক্তপুর, হনুমানধোকা, পোখরা, শরনকোট, নাগরকোট। সবগুলোই দেখেছিলাম। আজ লিখছি পোখরার কিছু দর্শনীয় স্থান দেখবার অনুভূতি।      
 
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর পোখরা শহরকে "নেপালের ভূস্বর্গ" ও "নেপাল রানী" বলা... continue reading

২৪ ১৯০০

মরুভূমির জলদস্যু

১০ বছর আগে লিখেছেন

খাগড়াছড়ি ভ্রমণ - আলুটিলা গুহা

 
২৫ তারিখ রাতে “খাগড়াছড়ির পথে”  রওনা হয়ে ২৬ তারিখ সকালে পৌছাই খাগড়াছড়িতে।
দুপুরের খাওয়া দাওয়া সেরে বের হই খাগড়াছড়ি ভ্রমণে। এইবের হওয়ার  প্রথমটুকু লিখা আছে “খাগড়াছড়ি ভ্রমণ - প্রথম পর্বে” । আজ এই অংশে বলবো আলুটিলা গুহার কথা।

{খাগড়াছড়ি থেকে আলুটিলা ও রিসং ঝর্নার ম্যাপ}
খাগড়াছড়ি শহর থেকে ৮কিঃ মিঃ পশ্চিমে আলুটিলা পাহাড় চূড়ায় পৌছতে খুব বেশি সময় লাগেনা। আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের সামনে নেমে কিছুটা নস্টালজিকে আক্রান্ত হই। সময়টা খুব সম্ভবত ২০০০ বা ২০০১ সাল, আমরা চার বন্ধু এসেছিলাম এখানে। সেই চার জনের দু’জন আমি আর ইস্রাফীল আবার আসলাম।


গেটের পাশেই থাকে মশাল তৈরির... continue reading

৮০৭

কামাল উদ্দিন

১০ বছর আগে লিখেছেন

ঢাকা টু চিটাগাং, (আড়িখোলা, স্টেশন নং - ৮)


রেল লাইন ধরে পায়ে হেটে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে চিটাগাং পর্যন্ত যাওয়ার পরিকল্পনার কথা অনেকেই জানেন। ইতিমধ্যেই আমরা হাটা শেষ করে ফেলেছি,,,,,,,, ঢাকা থেকে চিচাগাং যেতে অনেকগুলো ছোট স্টেশন আছে যেগুলোর নাম এবং সংখ্যা অনেকেই জানেন না, আমি ও জানি না । আমি এক স্টেশন থেকে পরবর্তী স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানগুলোর ছবি দিব এবং প্রতি স্টেশনের জন্য একটা করে পোষ্ট । এতে করে স্টেশনের নাম এবং সংখ্যাটা ও হিসেব হয়ে যাবে।
আমাদের হাটার ধরণঃ- সারাদিন রিলাক্স মুডে রেল লাইন ধরে হাটব, সন্ধ্যায় গাড়িতে করে বাড়িতে ফিরে আসব । এই সপ্তায় যেখানে আমার হাটা শেষ হবে আগামী সপ্তায় সেখান থেকে হাটা শুরু করবো এবং আবারো সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে আসব । এভাবেই পর্যায়ক্রমে আমি চিটাগাংএর দিকে অগ্রসর হব এবং যতদিন না আমি চিটাগাং পৌছতে পারি প্রতি সপ্তাহে আমার হাটা চলতেই থাকবে । বিশেষ সমস্যা না হলে কোন সপ্তাহ'ই আমি হাটা বন্ধ করবো না।
স্টেশনের অবস্থানঃ ইহা গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার অন্তর্গত একটা স্টেশন।
(২) আড়িখোলার পর রেল লাইনের পাশ দিয়ে তাল ও খেজুর গাছ রয়েছে প্রচুর, যার জন্য এলাকাটা বেশ সুন্দর দেখায়।
 
(৩) রেল লাইনের পাশে এমন সৌন্দর্য দেখবেন অহরহ
 
(৪) কৃষকের পানি সেচা
 
(৫) ঝিলে ফুটেছে লাল শাপলা, উড়ছে বক
 
(৬) রেল লাইনে একটা তীব্র বাঁক
 
(৭)শীতে কাবু গবাদী পশু
 
(৮) ঘোড়াশাল ব্রীজ
 
(৯) শীতলক্ষায় একটি পাট বোঝাই নৌকা
 
(১০) পাশপাশি দুটি ব্রীজ, একটা দিয়ে ট্রেন ও অপরটা দিয়ে বাস-ট্রাক চলাচল করে ।
 
(১১) শীতলক্ষার পাড়ে সেভেন রিংস সিমেন্ট ফ্যাক্টরী
 
(১২/১৩)ট্রেনের আগে পিছে ঝুঁকি পূর্ণ ভ্রমন
 
(১৪) ঘোড়াশালে আবার দু'টি ষ্টেশন একটা ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ, ইহা একেবারে ব্রীজের গোড়ায় অবস্থিত । এখানে যাত্রীরা উঠানামা করে অপরটি হল ঘোড়াশাল এখানে এক ট্রেন অপরটি সাইট দেয় ।
 
(১৫) এবার পিপাসা নিবারণ জরুরী
 
(১৬/১৭)এটা ঘোড়াশাল ষ্টেশন, দুটি ট্রেন একে অপরকে সাইট দিচ্ছে
 
 
 
 
 
 
 
ঢাকা টু চিটাগাং, ( কমলাপুর, স্টেশন নং - ১)
ঢাকা টু চিটাগাং, (তেজগাঁও, স্টেশন নং - ২)
ঢাকা টু চিটাগাং, ( বনানী, স্টেশন নং - ৩) 
ঢাকা টু চিটাগাং, (ক্যান্টনমেন্ট , স্টেশন নং - ৪) 
ঢাকা টু চিটাগাং, (বিমান বন্দর , স্টেশন নং -৫
ঢাকা টু চিটাগাং, (টঙ্গী জংশন, স্টেশন নং -৬)
ঢাকা টু চিটাগাং, (পূবাইল, স্টেশন নং... continue reading

১৮ ১২২৮

বাসুদেব খাস্তগীর

১০ বছর আগে লিখেছেন

দায়িত্ব,মহেশখালী ভ্রমন ও একটি কৈফিয়ত

নক্ষত্র ব্লগের দ্বিতীয় পর্বে ভোটিং চলছিল বেশ কয়েক দিন ধরে । নিজের লেখাটির দিকে ভোটিং পর্বে দৃষ্টি নিবব্ধ হচ্ছিল বার বার । মনে হচ্ছিল একটি স্থান অবশ্যই থাকবে। শেষ পর্যন্ত প্রথম ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় স্থান লাভ করলাম । প্রথম স্থানের সাথে মাত্র এক ভোটের  ব্যবধানে। যাহোক ইচ্ছে ছিলো যাবো । কিন্তু বিধিবাম , হঠাৎ করে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড থেকে চিঠি এলো এসএস সি পরীক্ষার বিশেষ ভিজিলেন্স টিমের সদস্য হিসাবে বিভিন্ন কেন্দ্রে যেতে হবে । কি আর করা । যাওয়ার প্রোগ্রামটা  বাদ দিতেই  হলো।  এবার দায়িত্ব পালনের সাথে ভ্রমন কাহিনী হিসাবে  প্রথম দিন কিভাবে গেলো তা দেখা যাক ।  ১৩ ফেবুয়ারি সকাল ৬ টায়  আমরা... continue reading

৬৮১

কামাল উদ্দিন

১০ বছর আগে লিখেছেন

একটি মিঠে পোষ্ট........

 
ক্যামেরা হাতে ঘুরতে বেড়োনোটা আমার স্বাভাবিক কাজের মধ্যে একটা । এমনি একদিন ঘুরতে বেড়িয়ে দেখতে পেয়েছিলাম । আখ থেকে কিভাবে গুড় তৈরী করে । আজকে আমার মিঠে পোষ্ট আসলে সেই গুড় কিভাবে তৈরী করে তারই ফটোব্লগ ।
কৃষকরা ক্ষেত থেকে আখ কাটছে.........
তারপর আখ মারাইয়ের মেশিনে এনে ফেলছে ।
আখ থেকে মেশিনের সাহায্যে নিংড়ে রস বের করে নেইয়া হচ্ছে ।
নিংড়ানো রস এসে জমা হচ্ছে মাটি খুঁড়ে ওখানে বসানো ড্রামে ।
সেই রস এনে ঢালা হচ্ছে বড় করে কড়াই তে, যা চুলার উপর বসানো ।
চুলায় আগুন জ্বালানোর পর রসের সাথে থাকা ময়লাগুলো উপরে ভেসে উঠছে, আর ওগুলো জাল দিয়ে ছেকে... continue reading

২১ ৯৬৩

কামাল উদ্দিন

১০ বছর আগে লিখেছেন

বাংলার দার্জিলিং..........

আসলে দার্জিলিং নয়, দার্জিলিং পাড়া । কেওকারাডাং পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত আমাদের বাংলার দার্জিলিং বা দার্জিলিং পাড়া । সমূদ্র সমতল হতে পশ্চিম বঙ্গের দার্জিলিং এর গড় উচ্চতা হল ৬৬৮৬ ফুট । আর আমাদের দার্জিলিং এর উচ্চতা কম বেশী ২৮০০ ফুট । উচ্চতায় কম বেশী যাই হোক না কেন সৌন্দর্য্য এখানে অফুরান । আর এখানকার পাহাড়ে ঘেরা সবুজ বনানী, পাখির কোলাহল আর কেওকারাডাং এর চুড়া ছুয়ে আসা মৃদুমন্দ বায়ু আপনাকে নিয়ে যাবে অন্য এক জগতে । আর বাসিন্দাদের মাচার উপর সুন্দর করে তৈরী করা বাড়ি, কিচির মিচির শব্দের কথা বার্তা ও পরিশ্রমী মুখগুলোর আতিথেয়তায় আপনি মুগ্ধ না হয়ে পারবেন না ।... continue reading

১৫ ১২০১

কামরুন নাহার ইসলাম

১০ বছর আগে লিখেছেন

মরুভূমীর দেশে

মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে ছোট্ট একটা দেশ কাতার। এর রাজধানী দোহা। কাতার সরকার ছোট দেশটিকে বিশ্বের দরবারে অনন্য দেশ হিসেবে তুলে ধরার জন্য সামগ্রীক মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এর মধ্যে পর্যটন শিল্প অন্যতম। 
কাতারের অধিবাসিদের বলা হয় কাতারী। তাদের শিল্প ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য নির্মান করা হয়েছে কাতারা গ্রাম (Katara Cultural Village)। দোহা শহরের পশ্চিমাংশে, west bay ও Pearl Qatar- এর মাঝামাঝি অংশে গড়ে উঠেছে এই কাতারা সাংস্কৃতিক গ্রাম। ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে জনসাধারনের দেখার জন্য খুলে দেওয়া হয় এই গ্রামটি। কাতারা সাংস্কৃতিক গ্রামটি বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক অঙ্গন হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে শিক্ষা, সংস্কৃতি, চলচ্চিত্র, ফাইন আর্ট, ফটোগ্রাফী... continue reading

১৪ ১৫৩৮

মরুভূমির জলদস্যু

১০ বছর আগে লিখেছেন

খাগড়াছড়ি ভ্রমণ - প্রথম পর্ব

 
২৫ তারিখ রাতে “খাগড়াছড়ির পথে” রওনা হয়ে ২৭ তারিখ সকালে পৌছাই খাগড়াছড়িতে। শ্যামলীর বাস এসে তার শেষ গন্তব্য খাগড়াছড়ির শাপলা চত্বরের সামনে আমাদের নামিয়ে দেয়।
বাস থেকে নেমেই দেখি অস্ত্রধারী কয়েকজন আইন-সিংখ্রলা বাহিনীর সদস্য দাঁড়িয়ে আছেন। আমি ওদের দিকে হেঁটে গেলাম, বাকিরা তখনো বাস থেকে লাগেজ নামাতে ব্যস্ত। অনেকেই এদের সাথে কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করেন, আমি করি না, বরং আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি এরা পথ আর হোটেল সম্পর্কে সবচেয়ে নির্ভর যোগ্য তথ্য দিতে পারেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না।  ওরা জানালো আসে পাশে কোন খুব ভালো মানের হোটেল নাই। মোটামুটি মানের হোটেল আছে। ভালো মানের হোটেল পেতে হলে যেতে হবে শহর থেকে সামান্য দূরে। ওদের ধন্যবাদ জানিয়ে দলের কাছে ফিরে এলাম। যেহেতু সাথে ফ্যামিলি আছে তাই শহরের বাইরে হোটেলে ওটার প্রশ্নই আসেনা। ঠিক করলাম, সামনের রেস্টুরেন্টে সবাইকে বসিয়ে আমি আর ইস্রাফীল বেরবো কাছের হোটেলগুলির পরিস্থিতি দেখতে।
আমাদের সামনেই দেখলাম “মনটানা হোটেল” (রেস্টুরেন্ট), এখানেই সবাইকে বসে আপাতত সকালের নাস্তা করার কথা বলে আমরা দুজন বেরিয়ে এলাম।
আসে পাশে দুটি মোটামুটি মানের হোটেলের নাম পাওয়া গেলো একটির নাম মনে নাই।  অন্যটি নতুন হয়েছে “হোটেল নিলয়”।  নাম মনে নাই  হোটেলে গিয়ে দেখি চার তালা পর্যন্ত সমস্ত রুমে তাদের গেস্ট আছে। আমাদের লাগবে ৩টি কাপোল বেড ও একটি সিঙ্গেল। কাপোল বেডের ভাড়া দিতে হবে ৬০০/= টাকা আর সিঙ্গেল ৪০০/= টাকা।  রুমগুলি মোটামুটি বড়ই বলা চলে। আমাদের চলে যাবে, তবে সমস্যা হচ্ছে বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে পাঁচ তালাতে উঠাটা পছন্দ হচ্ছে না। এখান থেকে বেরিয়ে ফিরে আসলাম রেস্টুরেন্টে। ৫ তালার কথা শুনে সবাই এক বাক্যে নিষেধ করে দিল।
আসে পাশে তেমন কোন হোটেল দেখলাম না।  তাই নাস্তা করে গেলাম “হোটেল নিলয়”-এ। শাপলা চত্বরের পাশেই। এখানেও নিচে কোন রুম নেই ৩ তালাতে একটি আর ৪ তালাতে বাকি গুলি দিতে পারবে। মাঝারি সাইজের রুম। কাপোল রুম ৫০০/= টাকা আর সিঙ্গেল রুম ৪০০/= টাকা করে। যেহেতু আমরা সকালের প্রথম গেস্ট আর অনেকগুলি রুম নিচ্ছি তাই আমাদের কাছে প্রতি রুমে ১০০ করে কম নিবে।
আমরা চিন্তা করলাম একটা রাতেরই ব্যাপার কোন রকমে কাটিয়ে দেই। আগামী কাল রাঙ্গামাটিতে ভালো কোন হোটেলে উঠবো। ইস্রাফীল গেলো বাকিদের নিয়ে আসতে আর আমি বেসে গেলাম হোটেলের ফর্ম পূরণ করতে। ৭টা ফর্ম পূরণ করতে করতে সকলেই চলে আসলো। আমি নিলাম ৩ তালার রুমটা বাকিরা উপরে। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে ওখানকার সিঁড়িটা কেমন করে যেন তৈরি করা মনে হল দোতালায় উঠেছি। এটা শুধু আমার কথা না, বাকিরাও একই কথা বলেছে।
যাইহোক, হোটেলে উঠে ফ্রেস হয়ে বেরিয়ে পরবো ঘুরতে। এই প্রস্তাবে বসির রাজি হল না। আমাদের অস্থির ড্রাইভারের কারণে সারা রাত ঘুমাতে পারে নি, তাই এখন ঘুম দিবে। আমি বললাম ঠিক আছে ১১টার মধ্যে সবাই বেরিয়ে পরব। আপাতত বিদায়, ওর রুমে ঢুকতে ঢুকতে বসির বলল -  “১২টার আগে ঘুমই ভাংবো না”।

দিনের বেলা আমার ঘুম হয় না, একটু গড়াগড়ি করে উঠে পরলাম। বসির তার কথা রেখেছে ১২টার পরে ঘুম থেকে উঠেছে।
[খাগড়াছড়ির হোটেল "নিলয়" এর চার তালার বারান্দা থেকে নিচের ব্যস্ত রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছি। ঝকঝকে রোদ উঠেছে। বেরানোর জন্য অতি চমৎকার আবহাওয়া। সবাই রেডি, বসির এখনো ঘুমায়।]

[সাইয়ারা, সব সময় সবার আগে রেডি]
 
সবাই যখন রেডি হয়ে বেরিয়েছি তখন দুপুরের খাবার সময় হয়ে গেছে। কোন দিকে না তাকিয়ে সেই “মনটানা” রেস্টুরেন্টেই গিয়ে বসলাম।
[বাম দিক থেকে স্বপন ও বসির]
খাবারের অর্ডার দেয়ার ফাঁকে আমি উঠে গিয়ে চাঁন্দের গাড়ী  আর মাহেন্দার (একপ্রকার টেম্পো) এর ড্রাইভারদের সাথে আলাপ করে আসলাম। আমরা যাব, প্রথমে আলুটিলা গুহা, সেখান থেকে রিসং ঝর্ণা, শতবর্ষী বটগাছ আর ঝুলন্ত সেতু। চাঁন্দের গাড়ী চাইল ৪,৫০০/= টাকা, আর মাহেন্দার চাইলো ২,২০০/= টাকা। মোটামুটি একটা আইডিয়া নিয়ে আমি দুপুরের খাবারে ফিরে আসলাম।

[আমাদের ভাড়া করা গাড়ী আসছে, বিরক্তি নিয়ে অপেক্ষায় আছে সাইয়ারা আর বুসরা।]
খাওয়া দাওয়া শেষে ঠিক করলাম একটি মাহেন্দার নিয়েই যাওয়া হবে। মাহেন্দার ড্রাইভার দের সাথে আলাপ করে শেষ পর্যন্ত ১,৮০০/= টাকায়... continue reading

৬৪৯