Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"দিনপঞ্জি" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

নূর মোহাম্মদ নূরু

১০ বছর আগে লিখেছেন

অনন্য প্রতিভাধর কথাশিল্পী ও ভাষাসৈনিক অধ্যাপক শাহেদ আলীর দ্বাদশ মৃত্যুদিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি

বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিসেবী এবং ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলনের একজন ভাষাসৈনিক অধ্যাপক শাহেদ আলী। তিনি ইসলামী চিন্তাবিদ, সাংবাদিক, অনুবাদক, গবেষক হিসাবেও পরিচিত। বাংলাদেশের পটভূমিকায় গল্প সৃষ্টিতে তিনি অসাধারণ পান্ডিত্যের পরিচয় দেন। তাঁর গল্পের মূল উপজীব্য বিষয় মানবতা, মনুষ্যত্ববোধ, নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ। গ্রামীণ চালচিত্র, গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ এবং আম জনতার জীবনচিত্রের সার্থক রূপায়ণে হৃদ্ধ শাহেদ আলীর সাহিত্যকর্ম। স্কুলজীবনে অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যয়নকালেই তার নিজের লেখা গল্প ‘অশ্রু’ প্রকাশিত হয় মাসিক ‘সাওগাতে’। ১৯৪৯ সালে ছাত্রজীবনে তার সর্বাধিক আলোড়িত ও সমাদৃত ‘জিবরাইলের ডানা’ প্রকাশিত হয় তারই সম্পাদিত সাপ্তাহিক ‘সৈনিক’-এ। ‘জিবরাইলের ডানা’ নিয়ে চলচ্চিত্র করতে চেয়েছিলেন অস্কারজয়ী পরিচালক সত্যজিৎ রায়। যদিও শেষ পর্যন্ত কাজটি সম্পন্ন হয়নি।... continue reading

৬৮৬

নূর মোহাম্মদ নূরু

১০ বছর আগে লিখেছেন

ব্রিটিশ ভারতে বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের ১৩৩তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা

ভারতবর্ষের রাজনৈতিক ইতিহাসে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস এক অবিস্বরণীয় নাম। তাঁর রাজনৈতিক মেধা, দক্ষতা আর দেশের মানুষের প্রতি অপরিসীম দরদের কারণে তিনি জনসাধারণের কাছে 'দেশবন্ধু' নামে পরিচিত ছিলেন। দেশদরদী এই নেতা রাজনীতি করতে গিয়ে ব্রিটিশদের রোষানলে পড়ে বহুবার জেল খাটেন। তিনি নানা ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে হিন্দু-মুসলিম ঐক্যবদ্ধ রাজনীতির পক্ষে অবিচল থাকেন। তিনি সব সময় ব্রিটিশবিরোধী লড়াইকে জোরদার করতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে নিজের মত প্রকাশ করেছেন। একসময় তিনি কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে স্বরাজ দল নামের একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এই স্বরাজ দলের প্রার্থী হিসেবেই ১৯২৪ সালে কলকাতা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। এ সময়ে তিনি নারী শিক্ষা, বিধবা... continue reading

৮৫৯

নূর মোহাম্মদ নূরু

১০ বছর আগে লিখেছেন

বহুমুখী সাহিত্য প্রতিভার অধিকারী কাজী ইমদাদুল হকের ১৩১তম জন্মবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা

বহুমুখী সাহিত্য প্রতিভার অধিকারী কাজী ইমদাদুল হক। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, প্রবন্ধকার, উপন্যাসিক, ছোট গল্পকার ও শিশু সাহিত্যিক। বিংশ শতাব্দীর সূচনা লগ্নে যেসকল বাঙ্গালী মুসলমান মননশীল গদ্য লেখক বিশিষ্টতা অর্জন করেন কাজী ইমদাদুল হক তাদের মধ্যে অন্যতম। শিক্ষা-দীক্ষায় অনগ্রসর তৎকালীন মুসলমান সমাজে তিনি এক ব্যাতিক্রমধর্মী প্রতিভার অধিকারী হয়ে সাহিত্য অঙ্গনে আবির্ভূত হন। স্বল্প সংখ্যক গ্রন্থ রচনার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে স্থায়ী আসন লাভ করতে সক্ষম হন। তাঁর অন্যতম রচনা থাকলেও একটি মাত্র অসমাপ্ত উপন্যাস “আব্দুল্লাহ” রচনা করে তিনি যে কৃতিত্বের নির্দেশনা রেখে গেছেন তাই তাঁকে বাংলা সাহিত্যে স্মরণীয় করে রেখেছে। আব্দুল্লাহ উপন্যাসে যে বিষয় বস্তু উপস্থাপনা করা হয়েছে তাতে বিংশ শতাব্দির... continue reading

৫৫৪

নূর মোহাম্মদ নূরু

১০ বছর আগে লিখেছেন

ঐতিহাসিক জেলহত্যা দিবসে চার জাতীয় নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

আজ ৩রা নভেম্বর, ঐতিহাসিক জেলহত্যা দিবস। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের জঘণ্যতম ও বেদনাবিধুর একটি অধ্যায়। যে কয়েকটি ঘটনা বাংলাদেশকে কাঙ্খিত অর্জনের পথে বাধা তৈরি করেছে, তার মধ্যে এই দিনটি অন্যতম। বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতে ৩৭ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অভ্যন্তরীণ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই জাতীয় চার নেতাই বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী হিসেবে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠনের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখেন। অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল রাজনীতিতে বিশ্বাসী এই চার নেতা বাঙালি... continue reading

৫৮১

নূর মোহাম্মদ নূরু

১০ বছর আগে লিখেছেন

মানবতাবাদী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও ভাষা সৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের ১২৭তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা

ভাষা সৈনিক ও সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত) মহান ভাষা সৈনিক, অভিজ্ঞ সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত একজন বাঙালি আইনজীবী সমাজকর্মী ও রাজনীতিক। তাঁর পরিচিতি মূলত একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে। দেশ বিভাগের আগে ভারতীয় উপমহাদেশের ভারত অংশে এবং পরে পূর্ব পাকিস্তানে তিনি রাজনীতিবিদ হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথমপর্বের শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা আন্দোলনের প্রথম নায়ক। আজ এই মহান মানবতাবাদী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ১২৭তম জন্মদিন। জন্মদিনে তাঁর প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা। 

(ধীরেন্দ্রনাথ দত্তেরবসত বাড়ির এ্খনকার অবস্থা)
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ১৮৮৬ সালের ২ নভেম্বর তৎকালীন বেঙ্গল প্রদেশের ত্রিপুরা জেলার (বর্তমানের বাংলাদেশ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রামরাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা জগবন্ধু দত্ত... continue reading

৯৭৬

নূর মোহাম্মদ নূরু

১০ বছর আগে লিখেছেন

ভারতের প্রথম ও আজ পর্যন্ত একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ২৯তম মৃত্যুবার্ষীকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

ভারতের প্রথম ও আজ পর্যন্ত একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধী। ডাক নাম ইন্দিরা। ইন্দিরা গান্ধী নামেই যিনি সমধিক পরিচিত। তার পরিবারে তিন প্রজন্ম ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তার পিতা জওহরলাল নেহরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং তার ছেলে রাজীব গান্ধীও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী ১৯১৭ সালের ১৯ নভেম্বর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত (১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টবর পর্যন্ত) ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ইন্দিরা গান্ধীর পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আর কোন নারী এখনো আসেননি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর রয়েছে অসামান্য অবদান। তিনি শুধু এক কোটি বাংলাদেশীকে আশ্রয় ও খাওয়া-পরার ব্যবস্থাই করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করেন।... continue reading

১৭০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু

১০ বছর আগে লিখেছেন

জনপ্রিয় টিভি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের নন্দিত উপস্থাপক ফজলে লোহানীর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

সাংবাদিক, লেখক, চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক ফজলে লোহানী। সাংবাদিক-সাহিত্যিক-চলচ্চিত্র প্রযোজকের পরিচয় ঢাকা পড়ে গিয়েছিল তার উপস্থাপিত ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের আড়ালে। বাংলাদেশের টেলিভিশনের প্রথম জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান যদি কিছু মনে না করেন এর সফল উপস্থাপক তিনি। বলা হয়ে থাকে টিভি মিডিয়ার ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের জনক তিনি। কথা বলার অসাধারণ অঙ্গভঙ্গি আর অভিব্যক্তি তাকে অসাধরণ করে তুলেছিলো। মিডিয়ায় তার গড়ে তোলা ট্রেন্ডের মাঝে আজও ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের সব ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান। টিভি ব্যক্তিত্ব ফজলে লোহানীর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৮৫ সালের ৩০শে অক্টোবর তিনি মৃত্যুবরন করেন। মৃত্যুদিনে তাঁর প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা। 

জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফজলে লোহানী ১৯২৮ সালের ১২... continue reading

৯৭৬

নূর মোহাম্মদ নূরু

১০ বছর আগে লিখেছেন

বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের ৭২তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা

বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত সাতজন অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধার অন্যতম হচ্ছেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান। ২৯ অক্টোবর ১৯৪১ সালে তিনি জন্মগ্রহন করেন। তিনি ছিলেন অসমসাহসী এবং প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী এক বীরযোদ্ধা এবং সামরিক অফিসার। ১৯৭১সালের ২০শে আাগস্ট করাচির মসরুর বিমানঘাঁটি থেকে টি-থার্টি থ্রি জঙ্গি বিমান হাইজ্যাক করেন এবং দেশে ফেরার পথে ভারতীয় সীমান্ত থেকে মাত্র ৩৫ মাইল দূরে থাট্রা নামক স্থানে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরন করেন। মতিউরের মৃতদেহ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধামাইল দূরে পাওয়া গেলেও তার অফিসার মিনহাজের লাশের কোনো হদিস মেলেনি। পরে মতিউরকে মসরুর বিমানঘাঁটির চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরবর্তী সময় বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরের দেহাবশেষ সরকারি উদ্যোগে ঢাকায় এনে মিরপুর... continue reading

১১৫০

নূর মোহাম্মদ নূরু

১০ বছর আগে লিখেছেন

বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

মোহাম্মদ হামিদুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অংশগ্রহণকারী একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করে। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের মিছিলে যে সাত জনের আত্মত্যাগ ও বীরত্বে জাতি তাঁদেরকে 'বীরশ্রেষ্ঠ' খেতাবে ভূষিত করে মরণোত্তর সম্মান দিয়েছে, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান তাঁদের অন্যতম। মাত্র ১৮ বছর বয়সে শহীদ হওয়া হামিদুর রহমান সাত জন বীর শ্রেষ্ঠ পদকপ্রাপ্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। ১৯৭১ সালের ২৮ আক্টোবর মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানার মাধবপুর ইউনিয়নের ধলই সীমান্তে এক সম্মুখ সমরে শহীদ হন মোহাম্মদ হামিদুর রহমান। তিনি তখন সেনাবাহিনীর সিপাহী এবং মুক্তিযুদ্ধের ৪নং সেক্টরের একজন যোদ্ধা ছিলেন। তাঁর... continue reading

৬৮৮

নূর মোহাম্মদ নূরু

১০ বছর আগে লিখেছেন

বাংলার বুলবুল গায়ক ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাস উদ্দীন আহমদের ১১২তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা

বাংলার বুলবুল গায়ক অমর ভাওয়াইয়া শিল্পী আব্বাস উদ্দীন আহমদের নাম শোনেনি এমন মানুষ খুব কমই আছে। একজন কণ্ঠশিল্পী হিসেবে আব্বাস উদ্দীনের পরিচিতি দেশজোড়া। আধুনিক গান, স্বদেশী গান, ইসলামি গান, পল্লীগীতি, উর্দুগান সবই তিনি গেয়েছেন। তবে পল্লীগীতিতে তার মৌলিকতা ও সাফল্য সবচেয়ে বেশি। ত্রিভূবনের প্রিয় মুহাম্মদ, তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে অথবা ওকি গাড়িয়াল ভাই, আমার গহিন গাঙের নাইয়া… ইত্যাদি গান গেয়ে যিনি সমগ্র বাংলা মাতোয়ারা করেছিলেন, তিনিই শিল্পী আব্বাস উদ্দীন আহমদ। অদ্ভুত সুন্দর-সুমধুর কণ্ঠস্বর, একবার শুনেই যিনি গানকে নিজের আয়ত্বে নিয়ে আসতে পারতেন, কেবল নিজের সাধনা বলেই যিনি নিখুঁতভাবে গান গাওয়া শেখেন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত গান... continue reading

৭৯৩