Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"কবিতা" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

চারু মান্নান

৬ বছর আগে লিখেছেন

মাগো তোমার শোকের বসন

মাগো তোমার শোকের বসন
একুশ এলো মাঘের শীতে
কুয়াশায় ডুবা ভোরে
শিশির ঝরে ঘাসের ডগায়
আকাশের খোলা দোরে।
মায়ের বোলে কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে
সর্ষে ফুল গায়
হলুদ রাঙা বেশুমার রং এ
একুশের কথা কয়।
মাগো তোমার শোকের বসন
তোমারই বেদনার তরে
ফিরে এলো একুশ বছর ঘুরে
তোমারই উঠান পরে।
continue reading

১৭৯

অনুপম শেখর

৬ বছর আগে লিখেছেন

ভুলে যাবো

ব্রিজের উপর মরে পড়ে আছে একটা কুকুর।
বিশ্রী গন্ধে যখন গা গুলায়, আমি টের পাই আমার ভেতরটায়ও ওরকম দুর্গন্ধ।
কত ইচ্ছে মরে যায় রোজ ; স্বপ্ন মরে যায় মানুষদের।
নদীতে একটা মাছ ধরা নৌকা দেখে মনে পড়ে যায় ,
সিন্দাবাদ হতে চেয়েছিলাম শৈশবে।
পাশ কাটিয়ে সাঁইসাঁই করে ছুটে যাওয়া মালবাহী ট্রাকের উপর ঘুমন্ত কিশোরের মুখটা বড্ড চেনা!
আমার ঘুমন্ত মুখখানা দেখতে কেমন? (বড্ড জানতে ইচ্ছে করে।)
মৃত কুকুরটার মুখে অতৃপ্তির ছাপ ;
(যেন "মানুষ" বলে গালি দিচ্ছে!)
এখনও মাঝেমাঝে শালতলা চলে যাই,
শৈশবের কতগুলো টুকরো পড়ে আছে ওখানে।
কমল পাগলার জন্য আমার মন কাঁদে কেন!
সে কি বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে?
একদিন তাকে মন... continue reading

২৫০

চারু মান্নান

৬ বছর আগে লিখেছেন

হাওয়ায় বেঁচে থাকা

হাওয়ায় বেঁচে থাকা
কোথা হতে বাতাস ছুটে আসে? 
কোথায় বয়ে যায়?
সব কিছুতেই তার ঠাঁই? কোথায় বল নাই?
তার কি মূল্য ভারি? বুঝতে কিসের লয়?
মহা বৈভব মহাকালের হাওয়ার পরতে পরতে
গেঁথে রয়; প্রকৃতির এক শুভ খেলা।

এই উধাও এই ছুঁয়ে যায়
অনুভবে কি বুঝতে শেখায়?
কোথায় উর বসত বাড়ি?
কে রাখে তারে সংরক্ষনাগারে?
একটু শুন্য হলেই ছুটে এসে ঢুকে পরে।

এই হাওয়ার কি তার মূল্য? 
বোধ গম্য নাহি হয়; মৃত্যুকালে একটু হলেও
এর সাধটি বুঝা যায়।

১৪২৪/ মাঘ/ শীতকাল।

continue reading

১৮২

অনুপম শেখর

৬ বছর আগে লিখেছেন

আমাকে একটি চিঠি দিও, প্রিয়তমা

বরং বদলে নাও তোমার প্রবঞ্চক ঠোঁট, প্রিয়তমা।
আমাদের হেটে যেতে হত একে অন্যের বুকের ভেতর দিয়ে অন্তত কয়েকশ মাইল।
অথচ আমরা এতটুকু সামনাসামনি কখও আসিনি যাতে আমাদের হৃদপিন্ডদ্বয় পরষ্পরকে দেখতে পায়।
বরং বদলে নাও তোমার প্রবঞ্চক হৃদপিন্ড, প্রিয়তমা।
আমাদের ভালবাসতে হত একে অন্যকে নিবিড়ভাবে অন্তত কয়েকশ বছর।
অথচ আমাদের এতটুকু জানাশোনা হয়নি যাতে পরষ্পরের নিশ্বাস চেনা যায়।
এখন আমি পথে পথে রক্ত জবা খুঁজে খুঁজে হয়রান।
আমি মন থুবড়ে পড়ে আছি শুক্ল পঞ্চমীর চাঁদ ডোবা মেঘে;
বরং সময় পেলে আমাকে একটি চিঠি দিও, প্রিয়তমা।
-(; ২১/০১/২০১৮, রবিবার ; বাগেরহাট) continue reading

২২৪

অনুপম শেখর

৬ বছর আগে লিখেছেন

ঈশ্বর বন্দনা

ঈশ্বর, তোমাকে চাই, এস; দেখা দাও।
শীতে শীত হয়ে এস ;কাঁপিয়ে কুঁকড়ে দাও।
এস, মেশো মুয়াজ্জিনের কাঁপা কণ্ঠের ফযর আযানে।
এস। মেশো যুবতী বৈষ্ণব সঙ্গীনীর খুব ভোরের দায়সারা স্নানে।
এস নাছোড় মাকড়শার অদম্য ইচ্ছাশক্তি হয়ে।
এস পথের ধারের দূর্বার মত শিশিরজলে নেয়ে।
ঈশ্বর, তোমাকে চাই। এস; দেখা দাও।
কামিনী হয়ে প্রচন্ড কামনায় জর্জরিত করে দাও।
গোল্ডলিফ হয়ে ভরে দাও মন তৃপ্তির আমেজে।
উষ্ণতা হও প্রেয়সীর বুকের খাজে, ওড়নার ভাজে ভাজে।
ঈশ্বর, ফুটে ওঠো কাকের কর্কশ-ঝাঝালো উদ্যম প্রেরণায়।
ঈশ্বর, এস। মিশে থাকো আমার রক্তকোষ লোহিকণায়।
ঈশ্বর, তোমাকে চাই, এস; দেখা দাও।
আমার হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দনে তুমি স্পন্দিত হও।
ঈশ্বর, মুগ্ধতা হয়ে এস হলদে গাঁদার ঘ্রাণে। continue reading

১৯৫

প্রিন্স মাহমুদ রহিম

৬ বছর আগে লিখেছেন

আমি কেউনা

ধরো-
আমি কেউনা।
আমি কেবল উন্মত্ত মরুঝড়ে অচেনা উৎস থেকে আচমকা পাওয়া পরিমাণমত অক্সিজেন।
ধরো-
আমি কেউনা।
আমি কেবল প্রচন্ড শীতের রাতে রহস্যাবৃত উষ্ণতা
তোমার শরীরে।
ধরো-
আমি কেউনা।
আমি কেবল পরীক্ষার আগের রাতে তোমার অসুস্থতার
সময়ে একটা দমকা হাওয়া।
নিমিষেই সুস্থ তুমি।
ধরো-
আমি কেউনা।
আমি কেবল দুঃসময়ে অজানা উৎস থেকে নির্গত এক চিলতে আলো।
তুমি মুহূর্তেই পথ খুঁজে পাও।
ধরো-
আমি কেউনা।
আমি কেবল তোমার তোমার ভয়ানক মাথাব্যথায়
এক কাপ চা।
ফুরফুরে তুমি অবিশ্বাস্যভাবে।
ধরো-
আমি কেউনা।
আমি কেবল তোমার বিষন্ন বিকেলে দখিনের দিগন্তে
হঠাৎ করে উড়ে যাওয়া একঝাঁক গাংচিল।
তুমি কেমন যেনো ভালোলাগায় শিহরিত হও।
ধরো-
আমি কেউনা।
আমি কেবল তোমার জ্বরের ঘোরে একটা জলপট্টি।
মোলায়েম... continue reading

১৪২

সমুদ্র মিত্র

৬ বছর আগে লিখেছেন

Prisoners Youth

Foggy afternoon,
There is no sun light and still,
to see each other's face .
There is no sky and white clouds float yet,
clouds in the sky like a kite in the evening.
And there are some unknown facts
some unknown fear.
Return home when the evening call to prayer.
The unknown night at seven and thirty,
Tunes hearing sorrow and tragedy.
Oil lamp light to illustrate books 
all the unclear face with red light .
There are plenty of iron sheet dabby.
Drawing the morning mist,
Smiley.
Little bushes before the window
There was the sound of crickets.
Some blue light,
burning out.
Remember, the freezing
darkness is... continue reading

১১৪

সমুদ্র মিত্র

৬ বছর আগে লিখেছেন

অনুপম শেখর

৬ বছর আগে লিখেছেন

আমার বুকের তলে একটা চিতা জ্বলছে

কারা যেন নিঝুম রাতে আমার বুকের খুব ভিতরে বসে সুর করে কাঁদে! আযান ভেবে ভুল করে বসি, কেউ আসেনা ওযু করে। হঠাৎ ভাঙ্গে ভ্রম ; ওটা জলন্ত চিতার হুঁহুঁ তান। আমার বুকের তলে একটা চিতা জ্বলছে। রোজ ভুলে যাই, কত রঙ আহুতি দিয়েছি নিয়তির শ্মশানে। কতশত শতাব্দী যে বসে রয়েছি সারা দেহে ছাই মেখে! (সে হিসেব কে রাখে!) তোমরা যারা আজও নাক সিঁটকাও আমায় দেখে ; চন্দন আর স্বপ্ন পোড়া ঘ্রাণের চাঁপাকষ্টটুকু ততটা খারাপ নয়।(জেনে রাখো।) আমার বুকের তলে একটা চিতা জ্বলছে। সেখানে আমি তবু ঠায় বসে রয়েছি। একদিন গঙ্গা ধারণ করবো মস্তকে। (দেখে নিও।) কতশত শতাব্দী যে বসে... continue reading

১২৩

অনুপম শেখর

৬ বছর আগে লিখেছেন

আজও কিছু বদলায়নি

আজও কিছু বদলায়নি।
সারারাত ধরে ফুরোতে থাকে রাত (রোজকার মত)।
তাতে কার কি এসেযায়!
এ তল্লাটে এখন শীতকাল ;
তবু আজও কিছু বদলায়নি।
রোজ ফজরের আযান শেষে শিউলি ঝরে আজও।
পৃথিবী ফর্সা হবে বলে বাদুড়গুলো ডানা ঝাপটায়।
তারপর মোরগের ডাক আর নেড়ি কুকুরগুলোর গোঙ্গানি।
আজও কিছু বদলায়নি।
টিনের চালে শিশিরের টুপটাপ শব্দ মনে করিয়ে দেয়, একটা ছাউনি আছে মাথার উপর।
দিন পোহালে রাত আর রাত পোহালে দিন;
বড্ড একঘেয়ে লাগে জীবনটাকে।
পালাবো পালাবো করেও লেপ্টে আছি জীবনের গায়ে।
আজও কিছু বদলায়নি।
টিকটিকির যেমন লেজ খসে পড়ে, আমিও কাটিয়ে উঠি পিছুটান।
আবারও লেজ গজায় টিকটিকির, আমাকেও আটকে ধরে সংসার।
আজও কিছু বদলায়নি।
continue reading

১৫১