Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"উপন্যাস" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

রাজীব নূর খান

৭ বছর আগে লিখেছেন

ধাবমান কালো চোখে আলো নাচে-৫ (ধারাবাহিক উপন্যাস)

'...শুন্যে দিলাম উড়ারে ভাই যাইতে চান্দের চর, ডানা ভাইঙ্গা পড়লাম আমি কইলকাত্তার উপর । তোমরা আমায় চিনোনি ... '
পাকিস্তানের জাতীয় কবি আল্লামা ইকবাল তার বাবাকে কথা দিয়েছিলেন তিনি কবিতা লেখার বিনিময়ে কোন অর্থ নিবেন না। সব কথা রাখা যায় না, একসময় টাকার অভাবে কবিতা দিয়েই জীবন নির্বাহ করতে হলো তাকে। কবিতার জন্য পেয়েছিলেন বৃটিশ সরকারের দেয়া নাইট উপাধি। বৃটিশদের নাইট উপাধি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও পেয়েছিলেন, যদিও পরে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে এই নাইট উপাধি ত্যাগ করেন। তবে এই দুজনের মিলও আছে। মিলটা কবিতা দিয়ে রাষ্ট্রে প্রভাব ফেলায়। ইকবালের লেখার দ্বারা খুব প্রভাবিত আরও দুজন মানুষ ছিলেন। একজন পাকিস্তানের কায়েদ-ই-আজম মুহাম্মদ... continue reading

৩১০

কল্পদেহী সুমন

৭ বছর আগে লিখেছেন

ভালোবাসি

কখনো সম্পর্কগুলো হয়তো বোঝা হয়ে উঠেনা কোনদিকে গড়াচ্ছে। হয়তো ভালোবাসা, গুরুত্ব, অনুভূতি এসব কিছুর কোন ঘাটতি নেই। তবুও কোন এক অজানা কারণে, অজানা ভয়ের কারণে হয়তো বলা হয়ে উঠেনা তখন অনেক কথাই। অথচ বুঝতে পারে তারা অনেক কিছুই তার। শুধু বলা হয়েই উঠেনা কেউ কাউকে। এই না বলাটাই কখনো কখনো সম্পর্কগুলোকে টিকিয়ে রাখে নতুবা হারানোর সেই আশংকা থেকে মুক্তি দেয়।
মাঝ রাতে মোবাইলের রিং বাজছিল। হিমেল ঘুমিয়ে ছিলো তাই বুঝতেছিলো না। দুই/তিন বার রিং বাজার পর হিমেলের বোঝে আসলো কেউ রিং দিচ্ছে। তবুও রিসিভ করতে পারলোনা। অপরপ্রান্তে অহনার তাই খুব রাগ উঠছিল। হিমেল মেসেজ দেখলো। "এই কি হলো? কথা... continue reading

৫৪০

শেখ আব্দুল্লাহ্ আল-কাফী

৮ বছর আগে লিখেছেন

অতঃপর মিসির আলী

তৃতীয় পরিচ্ছেদ কাব্যের যখন জ্ঞান ফিরল তখন রাত প্রায় আটটা।এই পুরোটা সময় সে অচেতন অবস্থায় ছিল।তাকে তার নিজের ঘরে শায়িত রাখা হয়েছে।একই প্লানের আটরুম বিশিষ্ট দ্বিতল ভবনের ফ্ল্যাট বাড়ি কাব্যদের।নীচতলার একটি ঘর তার ও তার বৃদ্ধ দাদীর জন্য।অন্য দুটি ঘরে যথাক্রমে তার মা-বাবা ও ছোট ভাই থাকে।একটি ঘর রাখা হয়েছে আগত অতিথিদের জন্য।উপরের তলা থাকে তালাবদ্ধ।
বাড়ির সামনে প্রশস্ত উঠান আর পাশে একটি ছোট্ট ফুলবাগান ও পুকুর।গ্রামাঞ্চলে সাধারণত এরকম বাড়ির দেখা মেলা ভার।কাব্যের বাবা জনাব নিজাম উদ্দীন সাহেব পার্শ্ববর্তী গ্রামের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের  প্রধান শিক্ষক।ছেলে কিংবা মেয়ে কাউকেই তিনি নিজের স্কুলে ভর্তি করেননি,করেছেন নিজের গ্রামের স্কুলে।সমাজের আর দশজন অভিভাবকের মত... continue reading

৫১২

শেখ আব্দুল্লাহ্ আল-কাফী

৮ বছর আগে লিখেছেন

অতঃপর মিসির আলী

 
                                                (দ্বিতীয় সংখ্যা)
হাফেজ সাহেব- এটা তোমরা ঠিক কর নি।এই সময়ে এদিক দিয়ে যাওয়াটা তোমাদের জন্য যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ।একটু কষ্ট হলেও চলাচলের জন্য তোমরা সবসময় স্বাভাবিক রাস্তাটা ব্যবহার করবে।
মিতা- আপনি চিন্তা করবেন না,চাচা।আমরা ঠিকই যেতে পারব।
হাফেজ সাহেব- না,না আমি বলছি তোমরা ফিরে যাও।
বয়োবৃদ্ধ কোন ধার্মিক লোকের তরফ থেকে এরকম বিধি নিষেধ আরোপের পর আর কোন কথা চলে না তবুও এতক্ষণে মুখ খুলল কাব্য।
কাব্য- অনেক আলোচনার পর আমরা এরকম একটি সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।এখন আপনি দয়া করে আমাদের প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ হতে দিবেন না।
প্রতিউত্তরে আর কিছু না বলে আব্দুর রউফ সাহেব অত্যন্ত গম্ভীর ভাব ধারণ করে সামনে এগিয়ে চললেন।বালিকারা পুনরায় তাদের কাজে প্রবৃত্ত হল।তারা স্বাভাবিক... continue reading

৪৩৬

kamrul Hasan Masuk

৮ বছর আগে লিখেছেন

রক্তাক্ত নারী NOBEL COMPETITION BLOGING 2016

    পার্ট ১   আমরা পাঁচ বোন। বাবা মা বাড়ীতে থাকেন। আমি ঢাকায় থাকি। থাকি বলতে বাধ্য হয়ে থাকি। কেউ কি সহজে ঢাকা থাকতে চায়। আমি ও ঐরকম। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে পড়ি। থাকতে হয় রোকেয়া হলে। পড়ালেখা ও শেষের দিকে। শুরুতেই বলেছি বাবা মা বাড়ীতে থাকেন। অবশ্য একটু বুদ্ধি থাকলে আমরা সবাই একসাথে ঢাকায় থাকতে পারি। আমার বাবা মা বুদ্ধিমান না। বাবার বুদ্ধি মার থেকেও কম। তা না হলে কি আমাদের এত কষ্ট করে জীবন পার করতে হয়। ঘটনাটা খোলেই বলি। আমার বাবার বাবা অর্থাৎ আমার দাদা ছিলেন ছোটখাট জমিদার। উনার অনেক সম্পদ ছিল। জনশ্র“তি আছে উনি সকালে জমি... continue reading

৪৮৩

শেখ আব্দুল্লাহ্ আল-কাফী

৮ বছর আগে লিখেছেন

অতঃপর মিসির আলী

                                                    
                                               
                                                           প্রথম পরিচ্ছেদ
সকাল সাড়ে আটটা।বাইরে নির্মল রোদ।মিসির আলী তার ঘরে বসে আজকের সংবাদপত্রের একটি সংবাদ খুব মনযোগ সহকারে পড়ছেন।
"নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জীবনাবাস"।এই শিরোনামের লেখাটি তিনিএকাধিকবার পড়লেন।এছাড়া হুমায়ূন আহমেদের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে আর যেলেখাগুলো ছাপা হয়েছে সেগুলিও পড়লেন।
হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর সংবাদ তিনি গতকাল রাতেই শুনেছিলেন।এই লোকটিসম্পর্কে সব সময় তার কৌতুহল ছিল। সংবাদপত্র পাঠ শেষে তিনি বাইরে বেরুলেন।
ইদানিং মিসির আলী পান্থপথের একটি ভাড়াবাড়ির নীচতলাতে থাকছেন।দ্বিতল ভবনেরউপর তলায় বাড়ির মালিক জনাব ফরহাদ উদ্দীন সাহেব তার পরিবারসহ থাকেন।নীচতলারএকটি পাশ তিনি তার ব্যবসার কাজে ব্যবহার করেন।এদিকটা তার কিছু গাড়ী এবংব্যবসার দ্রব্যসামগ্রীতে ভরপুর থাকে।আর একপাশে একটি বড় রুম,একটি বাথরুম ওরান্নাঘর।এটিই বর্তমানে মিসির আলীর অস্থায়ী নিবাস।অনেক কষ্টে তিনি ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অস্থায়ী অধ্যাপনার পদটি ফিরেপেয়েছেন।সেখানে সপ্তাহে তিনদিন তাকে ক্লাস নিতে হয়।এই চাকরী থেকে যা কিছুপান... continue reading

৫৭৭

শুভ ইসলাম খাঁন

৮ বছর আগে লিখেছেন

যান্ত্রিক শহরের নষ্ট মানুষ.........।।

মানুষের সব বিষাদ,দুঃখ পাখি হয়ে উড়ে যাক।
পৃথিবীর সব মানুষ গুলো ভালো থাকুক,সবুজ থাকুক............।। continue reading

৭১১

omar asif Omar Asif

৯ বছর আগে লিখেছেন

সেই অবেলায়

যদি কখনো এমন হয়,তুমি আছো আমি নাই।
শুধু নিরবে চেয়ে রবে মোর ছবি টার পানে|
যদি ভাবো আমি দুরে নেই ,বাড়িও তোমার হাত
পাবে আমায়, তোমার  হদয় পিনজরে।
continue reading

৬৭৯

আল মামুন সানি

৯ বছর আগে লিখেছেন

গল্প (তৃতীয় পরিচ্ছেদ)

দূর আকাশ থেকে কিছু জল জানালার পাশে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা ইটের দেয়ালে আছড়ে পড়ছে ,শব্দহীন সে মিলন। জানালার চারটি ছোট ছোট ভাগ। প্রতিটি ভাগে আছে দেড় ফুটের সরু তিন টুকরা কাঁচ। ঠিক এমন দুটি ভাগ সেদিন খোলা অবস্থায় আকাশ দেখার আয়োজন করছিল। দেয়ালের উপর জল পড়ে যে বিভক্তির সৃষ্টি হচ্ছিলো তার কিছু ছিটেফোঁটা জানালার খোলা অংশ দিয়ে প্রবেশ করছে আর মেঝে ভিজিয়ে জলের ধরায় নেমে আসার সার্থকতা বুঝিয়ে দিচ্ছে। প্রায়ই জানালার দুয়েকটা ভাগ এভাবে উন্মুক্ত রেখে প্রতিবেশীর মুখদর্শনে বেরোয় তিথি। ঘরে অষ্টপ্রহর বসে থাকতে ভাল লাগেনা তার। ছ’মাস হলো তিথির বিয়ে হয়েছে। বেলা দুইটা; কিছুক্ষণ আগেই তার ঘর কর্তা বের... continue reading

৪৫৭

তাহমিদুর রহমান

৯ বছর আগে লিখেছেন

উপন্যাসঃ নিশিযাত্রা (পর্ব ১৫)

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সী বিভাগের সামনে দাঁড়িয়ে আছে রফিক। রাত তিনটা, এভাবেই বাকি রাতটাও কাটিয়ে দিবে বলে ভাবছে সে। তার চোখে মুখে স্পষ্ট ঘুমের ছাপ, মাথাটা ভারি হয়ে আছে, ঘুম তাড়ানোর জন্যে ছয়-সাতবার চা খেয়ে ফেলেছে, শেষ চা খাওয়াটাও প্রায় আধঘন্টার মত হয়ে গিয়েছে। ঘুম আবারও একটু একটু করে কাবু করে ফেলতে চাইছে তাকে, আবার চা না খেলেই নয়। সমস্যা হচ্ছে, এই মধ্যরাতে দোকানপাট তেমন খোলা নেই। হাসপাতালের ক্যান্টিন বন্ধ হয়ে গিয়েছে সেই এগারোটায়, শেষবার চা খেয়েছে ভাসমান চা ওয়ালাদের কাছে, বিস্বাদ ঠান্ডা চা। এবারও খুঁজে পেতে হবে এমন কাউকে, গেটের দিকে হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে যায়।
 
... continue reading

৫৪৯