নিজের ঢোল নাকি নিজেরই বাজাতে হয়! অন্যকে বাজাতে দিলে ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশী, না হয় বাদক যথাযথ বাজাতে পারবেন বলে ভরসা করা কঠিন। বিষয়টি সর্বজন স্বীকৃত না হলে যে আজকাল এটাকে ঠেলে ফেলে দেয়া যাবে না। তাই সবাই মিলে “আপনা ঢোল আপনি বাজান”র প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। আমার কাছে বরাবরই বুদ্ধিজীবী ও প্রগতিশীল শব্দদ্বয় ভয়ানক। এই দুই বিশেষণে বিশেষিতদের পরিচয় পেলে আঁতকে উঠি কিংবা সূচ ফুটানো বেলুনের মতই চুপসে যাই, আত্মরক্ষার সুপথ খুঁজি আপন মনে। দ্বিধান্বিত হতে হয় নিজের দায়বদ্ধতার কথা ভেবে-ঘুরে দাঁড়ানোর উপায় কি? ভবঘুরে মনে কখন যে কী আসে তাঁর সমাধান খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। গত দেড় দশক ধরে আমাদের দেশে টিভি চানেলের ছড়াছড়ি। সন্ধ্যার পরে রাত্রি’র সাথে বাড়ে কথামালার ফুলঝুড়ি-টকশো;ঢোল বাজানোর এক প্রতিযোগিতা। কে কার আগে শুরু করতে পারে! আলোচনার বিষয়বস্তু পূর্ব থেকেই নির্ধারিত-শিরোনাম অনেকটা বাংলা ছবির মত যেন খুবই আকাল। আবার এসমস্ত ঢোলবাদকদের(দু-একজন ছাড়া প্রায় সকলেই কোন না কোন রাজনৈতিক দলের চিহ্নিত চামচা) সময় সংক্ষিপ্ত। একজায়গায় ঢোল বাজানো শেষ করে মানে একটা টকশো শেষ করে আরেকটাতে অংশগ্রহণকরতে হবে। বুদ্ধিজীবী কিংবা প্রগতিশীলদের কী ঘাটতি দেশে!একসময় বিশিষ্ট কোন নাগরিক টকশো-তে অংশগ্রহণ করলে তাকে সম্মানী দেয়া হত আরা এখন উল্টো টাকা দিয়ে কিংবা অনুরোধ করে অতিথি হওয়ার ঘটনাই বেশী বলে মনে হয়।হিসেবের খতিয়ানে লাভবান উভয়ই। প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবসায় বেতনভুক্ত পরিচালক(paid director)-এর কথা শোনা যায় ঠিক সেরকমই রাজনৈতিক বেতনভুক্ত বুদ্ধিজীবীদের অভিসার দৃশ্যমান হয় ক্যামেরার লেন্স-এ। হাল আমলে মুক্তমনা’র নামে ইসলাম বিদ্বেষী কিংবা যা খুশি তাই ব্লগে লেখা হচ্ছে। না চাইলেও প্রকাশ্যে এদের সমর্থন করেন না এরকম একজন বুদ্ধিজীবী’র নাম খুঁজে পাওয়া না। স্বাধীন মত প্রকাশের বিপক্ষে নই। তবে কোন স্বীকৃত বা গ্রহণ যোগ্য...
continue reading
Comments (0)
ভাল লাগলো
শুভেচ্ছা রইলো
ধন্যবাদ আপনাকে...
ভালো লাগা সহ শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
অসংখ্য ধন্যবাদ...
ভালো লাগলো।
সমর্থন ও শুভকামনা রেখে গেলাম।
আপনাদের ভালোলাগা ও সাথে থাকায় আমাকে সামনে যেতে সাহায্য করবে। ধন্যবাদ আপনাকে।।