অনেক সাধ করে চুল বড়ো করেছিলাম। সেই বড়ো চুলের ভেতরে অলিতে গলিতে সাধ করে সংসার পেতেছিলো উকুন। পুরুষ উকুন তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে কামড় দিয়ে বসতো। আমি মাথা চুলকে তাদের সংসার ভেঙে দিতাম। উকুনেরা রাগ হতো। আরো বেশি জোরে কামড়ে ধরতো চামড়া।
সবচেয়ে বড়ো সমস্যা করতো বাবা এবং মা। মা আফসোস করে বলতেন, 'একটা শিম্পাঞ্জী পুষছি ঘরে।' মায়ের কথা শুনে আমি শিম্পাঞ্জীর চেহারা মনে করতে চেষ্টা করতাম। চেহারা মনে পড়তো না। আমি টিভি কম দেখি। কম সময়ের বেশিরভাগ সময় দেখি খেলা। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি দেখা হয় না।
ঘুমানোর সময় হতো আরেক ঝামেলা। নাকের ফুটো কানের ফুটোতে ছোঁয়াছুঁয়ি খেলতো চুল। সুড়সুড়ি লাগতো। বিশ্রি অভিজ্ঞতা।
বাউল হওয়ার সাধ বিসর্জন দিলাম সেলুনে। সেলুন থেকে যখন বের হয়েছি তখন থেকে আমাকে আর আমার মতো দেখাচ্ছে না। আমাকে দেখাচ্ছে ধান্ধাবাজদের মতো। যে চেহারা সুরত ফিটফাট করে ক্লাবে গিয়ে বোতল খায়। কি সর্বনাশ!
আমি বাদে আমার পরিচিত সকল মানুষই আমার ধান্ধাবাজদের মতো চেহারা সুরত দেখে খুশি। কি দুঃখ! কি দুঃখ!
আহারে আমার সাধের চুল! আর এতো দুঃখই বা কোথায় রাখি আমি?
Comments (12)
fvj jvMj| ï‡fPQv iBj|
শুভেচ্ছা আপনাকেও দাদা । খুব ভাল থাকুন ।
চমৎকার হয়েছে, ভালো লাগলো ।
শুভেচ্ছা জানবেন । ফের দেখা হবে কবিতায় ।
ঠিকই বলেছেন পৃথিবীটা ঘুমের ভেতরেই সুন্দর ।সুন্দর পৃথিবীটাকে আমরা আমাদের বিষাক্ত কর্মগুলোকে দিয়ে বিষে বিষে ভরে দিয়েছি ।বেশ উপলব্দি দিয়ে লিখেছেন ।
শুভেচ্ছা জানবেন । প্রকাশিতব্য নতুন বইয়ের জন্য এক সমুদ্র শুভকামনা । সফল হোক সমস্ত আয়োজন ।